বিশ্বমিথের দরবার(৮ম পর্ব)
কলমে-দে ব লী না রা য় চৌ ধু রী ব্যা না র্জি
ছবিঃ সু নি পা ব্যা না র্জি
সাইবেরিয়ান পুরাণকথাঃ(শেষ পর্ব)
আজ সোমবার। সাইবেরিয়ান মিথলজির শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আর Siberian Pantheon বা সাইবেরিয়ার দেবতাদের কথা আলোচনা করবো। এই সভ্যতায় দেবতাদের সংখ্যাও কম এবং জটিলতর কোন বিভাগও নেই। প্রকৃতিকে সহজ চোখে দেখে, আশেপাশের বিষয়গুলির উপর দেবত্ব আরোপ করা হয়েছে। প্রাচীন এ সভ্যতায় অনেকগুলি জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস ও দেবতাদের কথা একসাথে মিশে আছে সাইবেরিয়ার মিথগাথায়
সৃষ্টিকে সাইবেরিয়ার প্রাচীন মিথে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নাম আর তোরূম নামে দুই দেবতার কথা পাওয়া যায় যারা নাকি মাঝে মাঝেই সারা পৃথিবীর উপর টহল দেন , সবদিকের ভারসাম্য ঠিক আছে কি না দেখতে।
ভোগাল নাম বলে একজন আকাশের দেবতার কথা পাওয়া যায় যিনি আকাশের সপ্তম ও উচ্চতম স্থানে থাকেন। তিনি জলের অধিষ্ঠাতা, যাদুশক্তির দেবতা। এই দেবতার সাথে নর্সদের ওডিনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। প্রাচীন লোকবিশ্বাস – আকাশের চন্দ্র ও সূর্য হলো এই দেবতার দুই চোখ। ইয়াকুত মিথ অনুযায়ী উলু তোজোন বলে এক জন আকাশের দেবতা আছেন যিনি তৃতীয় স্তরে থাকেন। পৃথিবীর উত্তর-পূর্ব অংশ ও পাতালের উপর শাসন করেন।ইনি নাকি বজ্রপাতের দেবতা এবং মানুষকে আগুনের ব্যবহার ইনিই শিখিয়েছেন। কাহিনীটি গ্রীকদের প্রমিথিউসের সাথে সাদৃশ্য আছে। শামানরা এই দেবতার থেকে সৃষ্ট বলে মনে করতেন।
পূর্বে চুয়ান্নজন তেঙ্গরি বা শুভ শক্তি আর পশ্চিমে পঁয়তাল্লিশ জন অশুভশক্তির বাস। সংখ্যাটা খেয়াল করুন 54 এবং 45 দুইয়ের যোগফলই নয় (09)। নয় সংখ্যাটি আবার দৈবশক্তি ও সামঞ্জস্যের প্রতীক। এসেজ মালান পশ্চিম আকাশ ও এর্লিক, মৃতজগতের দেবতা হিসেবে পূর্ব আকাশে অবস্থিত।
সাইবেরিয়ার বিশ্বাস অনুযায়ী আকাশের যেমন দেবতা, পৃথিবীর তেমনি দেবী। তিনি শান্ত, স্নিগ্ধ। ফসলের ফলন হয় বলে তার কল্পচিত্রটি কমনীয় ও সুন্দর। তুর্কিদের মধ্যে পৃথিবীর দেবীকে উমাই, য়িমাই বা মাই বলার চল ছিল। তারা কল্পনা করত যে এই দেবীর মাথায় সোনালী চুল প্রাচুর্যে প্রতীক। তিনি বিবাহ অনুষ্ঠানেও পুজো পেতেন। তুর্কি সম্রাট জেঙ্গিস খান আকাশ ও পৃথিবীর দেবতার পূজারী ছিলেন।
সৃষ্টিকে সাইবেরিয়ার প্রাচীন মিথে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নাম আর তোরূম নামে দুই দেবতার কথা পাওয়া যায় যারা নাকি মাঝে মাঝেই সারা পৃথিবীর উপর টহল দেন , সবদিকের ভারসাম্য ঠিক আছে কি না দেখতে।
ভোগাল নাম বলে একজন আকাশের দেবতার কথা পাওয়া যায় যিনি আকাশের সপ্তম ও উচ্চতম স্থানে থাকেন। তিনি জলের অধিষ্ঠাতা, যাদুশক্তির দেবতা। এই দেবতার সাথে নর্সদের ওডিনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। প্রাচীন লোকবিশ্বাস – আকাশের চন্দ্র ও সূর্য হলো এই দেবতার দুই চোখ। ইয়াকুত মিথ অনুযায়ী উলু তোজোন বলে এক জন আকাশের দেবতা আছেন যিনি তৃতীয় স্তরে থাকেন। পৃথিবীর উত্তর-পূর্ব অংশ ও পাতালের উপর শাসন করেন।ইনি নাকি বজ্রপাতের দেবতা এবং মানুষকে আগুনের ব্যবহার ইনিই শিখিয়েছেন। কাহিনীটি গ্রীকদের প্রমিথিউসের সাথে সাদৃশ্য আছে। শামানরা এই দেবতার থেকে সৃষ্ট বলে মনে করতেন।
পূর্বে চুয়ান্নজন তেঙ্গরি বা শুভ শক্তি আর পশ্চিমে পঁয়তাল্লিশ জন অশুভশক্তির বাস। সংখ্যাটা খেয়াল করুন 54 এবং 45 দুইয়ের যোগফলই নয় (09)। নয় সংখ্যাটি আবার দৈবশক্তি ও সামঞ্জস্যের প্রতীক। এসেজ মালান পশ্চিম আকাশ ও এর্লিক, মৃতজগতের দেবতা হিসেবে পূর্ব আকাশে অবস্থিত।
সাইবেরিয়ার বিশ্বাস অনুযায়ী আকাশের যেমন দেবতা, পৃথিবীর তেমনি দেবী। তিনি শান্ত, স্নিগ্ধ। ফসলের ফলন হয় বলে তার কল্পচিত্রটি কমনীয় ও সুন্দর। তুর্কিদের মধ্যে পৃথিবীর দেবীকে উমাই, য়িমাই বা মাই বলার চল ছিল। তারা কল্পনা করত যে এই দেবীর মাথায় সোনালী চুল প্রাচুর্যে প্রতীক। তিনি বিবাহ অনুষ্ঠানেও পুজো পেতেন। মোঙ্গল সম্রাট জেঙ্গিস খান আকাশ ও পৃথিবীর দেবতার পূজারী ছিলেন।
এছাড়া যে উল্লেখযোগ্য দেব দেবী আছেন তারা হলো –
আনাপেল – জন্মান্তরের দেবী
বুগাদি মুসুন – প্রাণীকুলের দেবতা
কায়রা – তাতারদের বিশ্বাসে সৃষ্টির দেবতা
নাম তোরাম – দেবপিতা
পুগু – সূর্য দেবতা
তদোতে – মন্দশক্তি ও মৃত্যুর দেবতা
তোকোয়তে – প্রশান্ত মহাসাগরের দেবতা
তোমাম – পরিযায়ী পাখিদের দেবী
জার্গী বা মাঙ্গী – মৃতলোকের দেবতা।
জঙ্গেট – পশু-পাখির দেবী।
এছাড়াও সাইবেরিয়ান বিশ্বাসে বেঁচে আছে একাধিক সৃষ্টির দেবতা।
দেবতাদের সৃষ্টি মানুষ করে নাকি ঘটনাটি উল্টো? জীবনযাত্রার সাথে, জীবনচর্যার সাথে তাল মিলিয়েই দেবতাদের কর্ম নির্ধারিত হয় এ কথা বারবার প্রমাণিত হয়েছে এবং হবেও। তাই সাইবেরিয়ার মিথলজিতে দেখা যায় দেবতাদের সাথে স্থানীয় পরিবেশ, অবস্থান মিলেমিশে একাকার হয়ে ছিল।
আজ এই পর্যন্তই । পরের পর্বে আবার নতুন এক সভ্যতার ইতিহাসে হাত ধরে দেখা হবে।
দেবলীনার আগের পর্বগুলি চোখ বোলাতে ক্লিক করুনঃ
বিশ্বমিথের দরবার(পর্ব-দুই)-লিখছেনঃ দেবলীনা রায়চৌধুরী ব্যানার্জী
বিশ্বমিথের দরবারঃ(পর্ব তিন) কলমে-দে ব লী না রা য় চৌ ধু রী ব্যা না র্জি
বিশ্বমিথের দরবারঃ (৪র্থ পর্ব)–দে ব লী না রা য় চৌ ধু রী ব্যা না র্জি
বিশ্বমিথের দরবার(পঞ্চম পর্ব) কলমে-দে ব লী না রা য় চৌ ধু রী ব্যা না র্জি
বিশ্বমিথের দরবার(৭ম পর্ব) কলমে-দে ব লী না রা য় চৌ ধু রী ব্যা না র্জি