সুমন বাল্মিকী-র গুচ্ছকবিতা
মাত্র এই
সে যদি জলের লোক
কোনো সরোবরে দেখা হোক…
পাখি অনুবাদ
আমাদের শিবরাম হাসায়
মন এসে নয়ন কাঁদায়
কাঁদতে জানি। মানি না পাঁচিল
প্রকাশ করেছে গাঙচিল
ডানা খুলে , ডানা মুড়ে বই
উড়ে যায় বিদেশ বিভুঁই।
এই হল পাখি অনুবাদ
কে কাকে বাঁচায় জিন্দাবাদ ?
ঈশ্বরের বর্ণপরিচয়
ভাষাটাও রঙে তৈরি হয়
হয় হোক। মনে মনে বলি
ভাষাবিদ সুনীতিতে
দলে দলে চলি।
শাস্তি
না-লেখা কবিতা সব আমার
না লেখা কবিতা সব তোমার
না-জন্মানো সন্তানের কাছে
সাদা লেখা খাতা রাখা আছে
রাখা থাক! আয়োজন করে
কখন সে মনে মনে পড়ে।
আর যা যা লেখা এতদিন
কে নবীন বন্ধু , কে প্রবীণ
পাঠালাম বাংলাভাষা ছাদে
কবিতা লেখার অপরাধে…
রাক্ষস
ভাবি , তুমি মাংস রাঁধছ
ফোন করে যেই তার গন্ধটুকু দাও
হ্যাঁ এখুনি , খেতে বসি ভেবে
আরও দুটো রুটি চাইতে গিয়ে
চোখে পড়ে–চোখে মটরশুঁটি
ঘুরপাক খাছে সবুজ
আসতে বলছে , কাছে…
কী করে জেনেছ, এ শহরে
রাক্ষস লুকিয়ে আছে ?
কাঠুরে
ভাবি , গাছ পোঁতা যাক
ফলবতী গাছ
ফল ধরবে , বসবে পাখি
ছায়া হবে–মাতৃস্নেহ ছায়া
হাত এসে হাতের ওপর
দানাপানি খাক
বুঝেছি কী ছাই
উপকারী জমি মায়া!
ফ্লাট হবে , হয়ত বা সড়ক–
রাস্তা দিয়ে ছুটবে গাড়িঘোড়া
বুকের ভেতর গাছ কেটেছি
এমনই কপালপোড়া