সৌ ম না দা শ গু প্ত-র গুচ্ছকবিতা
নিজস্ব রক্তাল্পতা
এক
তবে খুলি, খুলে ফেলি রোদনপোশাক
ক্যাটাস্ট্রোফিক ঋতুগুচ্ছ থেকে
বিষদাঁত, মাংসইশারা
তুমি তো খোলস ছিলে
রেটরিক বিদ্যুৎপ্রপাত
স্বপ্নআবাসিকের ঘুমে ক্যাকটাস
দুই
শিরিষ কাগজে ঘষা চাঁদ
বৃষ্টি
নুনচাটা রাত
দুটো হরিণ তাকিয়েছিল কবে
সে-কথা মনে পড়ে না আর
মনে পড়ে পুরোনো চায়ের দাগ
পেয়ালা-পিরিচ
তিন
গাছটির মাথা ছুঁয়ে চলে যাচ্ছে হাওয়া
একটিও পাতা নড়ছে না
নিরক্ষর কিছু শব্দ দাঁড়িয়ে দরজায়
তাদের ঠোঁটের থেকে উড়ে যাচ্ছে হাসি
তাদের ঠোঁটের থেকে উড়ে যাচ্ছে সাপ
চার
মাঝপথে ট্রেন থেমে আছে
রেলপথ থেকে দূরে হু-হু এক মাঠ
মাঠশেষে একা এক ঘর
ওই ঘরে কেউ থাকে
ওই ঘরে কেউ থাকে
ওই ঘরে আমার থাকার কথা ছিল
ওই ঘরে আমার থাকার কথা ছিল
পাঁচ
হা-হা কুয়াশার মাঝখানে একটি দোলনা
বাতিল রানওয়েজুড়ে লাল কাঁকড়ার সারি
ধানখেতে একা-বোকা কাকতাড়ুয়ার মুখ
এক বিঘত দুই বিঘত সরে যাচ্ছে চাঁদ
আলপথে গড়িয়ে চলেছে ছায়া
ছয়
রাত এক অবোধ ভালুক
মধু চাটে মধু চাটে
রেকাবিতে কাটা মাথা
রেকাবিতে কাটা জিভ
রেকাবিতে নিরক্ত জরায়ু