কার ভাষা কিসের ভাষা

২১শের ছুঁচ

গৌতম র ফলায় গাঁথা কালিকলম

 কার ভাষা কিসের ভাষা
আগ্রাসন।শব্দটা নতুন নয়।ডমিনেশন,তাও বহুল প্রচলিত।ছাগলের তৃতীয় সন্তান!! এটাও কিঞ্চিত শ্রুত। অথবা নয়।যাগ্গে যাক।কিন্তু..
  আবার কিন্তু!! এই কিন্তু জ্বালিয়ে খেল মাইরি!কতবার বুঝিয়েছি এসব ভ্যানতিরিকিটির যুক্তি যুক্তি মার্কা পোশ্নোগুলো মনে না আসতে!! শুনবে? বাপু ভালোই আছো গাছের দেখছো তলার তুলছো..  শুধু খেয়াল রাখার বলতে ওগুলো তোমার না সোনা।
       সারাদিন খালি খাই খাই খাই খাই কর কেন বলতো!! যাও আগে আন্দোলন আন্দোলন খেল।কুচু মুনু.. তুনু তুনু.. উনু বুনুবুনু.. যাও

দেখছো না চারিদিকে কত্ত যুদ্ধ! এখন আবার ছুরু হবে বাংলা ভাষা বাংলা ভাষা নড়াই
     “আর হ্যারিসন রোড চলে তার পিছে পিছে”

চারিদিকে কত কাজ দেখছো না উফঃ বাবাঃ তার মাঝে আবার জ্বালিয়ে খেল দেখছি এই কিন্তুটা..
 আচ্ছা বক কি বকতে চাও।পেট গুড়গুড়?? ক্ষুধামান্দ্র্য চোঁওয়া চোঁওয়া ঢেকুর?? তবে!
   আজ্ঞে আগেও বলেছি তবে তেমন আমল তামল পাইনি কি না তাই আরেক্টিবার যদি সুযুগ দেন তো ফ্যানাই। বলছিলাম বলতে ওই ভাষাটাসা নিয়ে কি সব য্যানো একটা শুনছি জানেন আর আমার ভেতরের ঈর্ষাগুলো মুহূর্তে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেছল জানেন তো!! এতদিন ধরে বিভিন্ন প্রদেশের নির্দিষ্ট ভাষা আগ্রাসনের ভিত্তিতেই পাকাপাকি ভাবে গুছিয়ে বসে পড়ল অথচ উপজাতিদের প্রাচীনতম ভাষাগুলি যখন ধুঁকতে লাগল তখন বলা হল যা সরলিকৃত সর্বজনগ্রাহ্য সেটাই গ্রহনযোগ্যতার আসনে থাকবে। আর বাকিগুলো?? লড়াই করবে, স্বীকৃতির জন্য পঠনপাঠনের জন্য প্রচারের জন্য..
কিন্তু তখন বোঝা হয়ে ওঠেনি নিজের সাথে নিজের লড়াই ভাষার লড়াই।টিকে থাকার লড়াই না হারমানার লড়াই আর তার সাথে কৌশলের, আগ্রাসনের,ডমিনেসনের বিরুদ্ধে উঠে লড়াই। এটা কোন শতাব্দি খ্রীষ্টপূর্ব আগের কথা না,এটা এখনও জারি আছে।নরিপ্পেত্তালিফ, ভেবোনা, লড়াই এখনও চলছে।এতে কোনও কিন্তু নেই কারণ আক্রমন এসে রোজ কড়া নাড়ে সমাজের হাত ধরে সংখ্যার হাত ধরে কিম্বা সংস্কৃতির ঘাড়ে চেপে।কই কারুর একবারও মনে তো হয়নি আহাঃ এ কেমন আগ্রাসন!এ ক্যামন অসম লড়াই!ওদেরও একটু শ্বাস নিতে দে!!
   জানি জানি মেশোমশাই বলবেন কই আমরা তো বাধাও দিইনি!! ঠিক তার মানে আমরা তো আগ্রাসনের পক্ষের লোক বলব কেন…এঁহহ বোকা ঠাওরালে হে!! এজ্ঞে লাই হুজুর তরহাকে বকা বইলব্য ঘাড়ে কটা মাথা আছে রে ব!!
কিন্তু এতদসত্ত্বেও স্পষ্টতই বলি আমার বিশ্বাস বাংলা ভাষার অস্ত্বিত্বের বিপক্ষে ওঠা সব কৌশল ও পন্থার বিরোধতায় সব আদিম উপজাতিদের পাশে পাবেন।কারণ তারা জানে ভাষার অস্তিত্বের লড়াই মানে কি।একটা ভাষা শুধু ভাষা নয় একটা জাতির কাঠামো।যারা পুরুষানুক্রমে মুখে মুখে পাখির মত বয়ে বেড়িয়েছে তাদের আত্মপরিচয়।তারা বোঝে একটা ভাষা অবদমিত হলে তার মেরুদন্ড সোজা করতে ঠিক কত ভরবেগের প্রয়োজন।জানি অনেকেই বলবেন —কেন এর আগে য্যানো বাংলা ভাষা আন্দোলন হয়নি!! 
  না সত্যিই হয়নি এমন স্বতঃপ্রণোদিত এমন কি আপনার রান্নাঘর থেকে কলঘরে অবধি যার  নিরন্তর যাতায়াত সেরকম ভাষার বিরুদ্ধে সত্যিই বাংলা ভাষাকে আগে লড়তে হয়নি।আজ হতে পারে..একবার ঈর্ষায় মুহূর্তের জন্য সত্যিই মনে হয়েছিল –এবার এসো দুটিতে একই ডালে বসি।
  পরে মনে হল– মাঁঈ গ চাঁড়ে মাড়ে দে ন দুটি খাতে গাদ্যেঁ ভখাঞছে..

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *