মেদিনীপুরের ভুলে যাওয়া ইতিকথা পর্ব-৯

চন্দ্রকোনা হারিয়ে যাওয়া ছোট ছোট ইতিহাস  নিয়ে  লিখছেনঃ–    দুর্গাশঙ্কর দীর্ঘাঙ্গী

             মেদিনীপুরের ভুলে যাওয়া ইতিকথা

                                  পর্ব-৯

                                                             ছবি গৌতম মাহাতো

  চন্দ্রকোণার আদমশুমারি ও ব্যবসা বাণিজ্য। 

“এই শহরে বার বার বর্হিশত্রুর আক্রমণ, যান্ত্রিক শিল্পের প্রসার, সমাজে অসাধু ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাচার পরায়ণ ব্যক্তিগণের প্রভাবে এই প্রাচীন
শহরের শিল্প-সমৃদ্ধি, ব্যবসা বাণিজ্য ও কৃষি প্রগতি
বহু পূর্বে নষ্ট হয়ে গেছে। তদুপরি এই শহর ধ্বংসের আর একটি প্রধান কারণ হ’ল সর্ব্বনাশা ‘প্লেগ’ও
‘ম্যালেরিয়া’ মহামারী। ১৮৬৯ সালের ১লা এপ্রিল
তারিখে বাবু চন্দ্রশেখর দাস বক্সী মহাশয় কর্ত্তৃক
চন্দ্রকোণা পৌরসভা স্থাপনের পর বিভিন্ন আদমশুমারি অনুযায়ী শহরের লোক সংখ্যা ১৮৭২
সালে ২১৩১১,১৮৮১ সালে ১২২৫৭,১৮৯১সালে ১১৩০৯, ১৯০১ সালে ৯৩১৩,১৯১১ সালে ৮১২১,১৯২১ সালে  ৬৪৭০,১৯৩১ সালে ৬০১৬,১৯৪১ সালে ৬৪১১, ১৯৫১ সালে ৫৭১৭ ও
১৯৬১ সালে ৭৪৩৩ জন ছিল।
একমাত্র মহামারীর প্রকোপেই জনসংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে হ্রাস পেয়েছিল। এই সঙ্কট কালে
বাবু ব্রজেন্দ্র নাথ সরকার মহাশয়ের মত দেশ হিতৈষী প্রতি শত চেষ্টা করেও এই মহামারী একে
নির্মুল করতে পারেন নি। এতে কত লোক যে প্রাণ
হারিয়েছেন, কত লোক যে দেশ ত্যাগ করে অন্যত্র
স্থানান্তরিত হয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। শুধু চন্দ্রকোণা কেন এরপার্শ্ববর্তী কুঁয়াপুর, ঝাঁকরা, ছত্রগঞ্জ, ক্ষীরপাই, রামজীবনপুর, রাধানগর ও
ঘাটাল প্রভৃতি স্থানের কুটীর শিল্পে সমৃদ্ধিশালী
অতি সুপ্রাচীন জনপদ গুলিরও উপরোক্ত কারণে
অপূরণীয় ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। “—–
 “ ভগ্ন দেউলের ইতিবৃত্ত” – শ্রী কানাই লাল দীর্ঘাঙ্গী

” In administrative matters, the fiscal divisions of Chandra Kona, which comprises the tract of the old principality,
Was, until lately, placed at a great disadvantage. It was one of the outlying
Portions of the Hughli district . It is not too
much** to say that it was little cared for
by the district authorities, or the local committee from the distance. The state of its communication was much behind that of other parts of the district. The post hardly travelled to it once a day from Calcutta. In postal affairs, it was once subject to the authorities in Cuttack………
…………….. Notwithstanding these drawbacks the export trade of Chandra Kona and it’s vicinity may yet be valued at 50 lakhs of Rupees per annum. Until the Ghatal and Chandra Kona road was metalled some years ago, the indigenous
trade of the country had no convenient outlet.
** The annual Value of the entire trade of Ghatal which is the port of Chandra Kona and the adjoining countryis estimated at one crore of Rupees or one million sterling. The value of trade at the Orissa ports from Balasore to Puri is exhibited at Rs. 9,196,352.00only annually.”
 ———Chronicles of Chandra Kona
          Shri Chandrasekhar Bandopadhyay
          Dy. Magistrate, Cuttack in1870
           Published by Calcutta University
            at Calcutta Review in the year 1883.”

                                                            ক্রমশঃ……

                               ★★★

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *