ক্রিয়েটিভিটি / নেগেটিভিটি
মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির মধ্যে এই ভাবনাটাও।যেমন খাওয়া মলমুত্র ত্যাগ কাঁদা ইত্যাদি..
কিন্তু বিশেষ ভাবে ভাবাটা হল ক্রিয়েটিভিটি।ধরা যাক কেউ পিকনিক করতে গ্যালো, হই হল্লা করল সারাদিন নাচাগানা হল বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়ল।মানে তিনি আহার নিদ্রা ও মৈথুনের বাইরে আর কিছুই ভাবেন না বা ভাবতে পারেন না।এটা অতিসাধারন যাপনের অংশ।এরচেয়ে একটু উন্নত ভাবনাকার সেখানের সৌন্দর্য চাক্ষুষ করে মুগ্ধ হবেন সেটা অতিসাধারনের একটু উপরে রাখব।কিন্তু যিনি এই ভাবনাটা গচ্ছিত করার চেষ্টা করবেন তাঁকে সামান্যতঃ প্রথম দফার ক্রিয়েটিভ বলা চলে।
আবার তিনি যদি সেটাই মৌলিকতার ছাপ টানতে পারেন তবে যথার্থ ক্রিয়েটিভ।এর সাথে আরও একধরনের ক্রিয়েটিভিটির কথা না বললেই নয়।সেটা হল তার ভাবনাও মৌলিক ও তার বহিপ্রকাশও মৌলিক।তাঁরা হলেন জিনিয়াস ক্রিয়েটিভ।সেটা নেগেটিভ দর্শনও হতে পারে পজেটিভও।মানে য্যামোন ধর পিকনিকে গিয়ে কিছু বাচ্ছা ছেলে বা মেয়েরা এসে অবশিষ্ট খাবারের জন্য বাসন মেজে যায়।তাদের যাপনের দিকে যাদের ভাবনা এবং তাদের মৌলিক বক্তব্য রেখে যেতে পারেন তাঁরা এই গোত্রিয়।এখন প্রশ্ন আসবে তাহলে তো এটা একটা নেগেটিভিটি,যা নাকি ক্রিয়েটিভ মানুষজনের থাকতে নেই।তবে আমি সে দলে নেই।আমি বরং উল্টোটাই দেখি।নেগেটিভিটিই হল ক্রিয়েটিভিটির পজেটিভিটি।
শরৎচন্দ্র অবশ্য এটাকে একটা অন্যরকম শব্দবন্ধে ধরার চেষ্টা করেছেন–“দুঃখবিলাসী”।যদিও আমি সেই নেগেটিভিটির কথা বলছি না।আমি বলছি উলঙ্গ নেগেটিভিটির কথা।যার জন্য বহু ক্রিয়েটিভ মানুষ বিমর্ষ যাপন করেন বা অবনমনে নামতে নামতে আত্মহননের পথ পর্যন্ত বেছে নিয়েছিলেন( তথ্যের জন্য গুগুলবাবা জিন্দাবাদ)।তবে কি তাঁদের ক্রিয়েটিভিটির উৎকর্ষতাতে সন্দেহের বীজ বপন করতে বসব এই ভর সন্ধ্যায়??