সো হে ল ম ল্লি ক – এর কবিতাগুচ্ছ

পরিচিতি
সোহেল মল্লিক। জন্ম : ২০ ডিসেম্বর ১৯৬৭, ঢাকা, বাংলাদেশ। পিতা : মো. আবু সাঈদ মল্লিক। মাতা : ডা. সুরাইয়া মল্লিক। ধানমন্ডি গভঃ বয়েজ হাই স্কুল থেকে এস এস সি, নটর ডেম কলেজ থেকে এইচ এস সি, ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন এবং ঢাকা থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি নেন। পরবর্তীতে পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে গ্রাজুয়েশন ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি নেন।সবচেয়ে কম বয়সে হয়েছিলেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি.) এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্য।প্রকাশিত গ্রন্থ : ভালোবাসায় দূর চলে যায় দূরে, জলে ভেজা আগুন সহ ২০-এর অধিক।উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ও সম্মাননা : এম. নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১২, চ্যানেল আই আয়োজিত এসিআই-আনন্দআলো শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৭, অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৮ ইত্যাদি।বর্তমানে একটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের অ্যাডভোকেট।

সো হে ল ম ল্লি ক – এর কবিতাগুচ্ছ

আহ্ রে মানুষ

মানুষ কি রাখে মানুষের খোঁজ?

কাগজের পাতায় দেখি রোজ–

গুম, খুন, রক্তাক্ত লাশ

মানুষ কি ফেলে দীর্ঘশ্বাস?

আহ্ রে মানুষ! মানুষ কি জানে?

মানুষ কি পস্তায়?

মানুষেরই মাংস বাজারে বিকোয়

সবচেয়ে সস্তায়!

জীবন

একটি বিড়াল হঠাৎ করে
রাস্তার ম্যানহোলে পড়ে গেছে
সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি ক্ষীণচিৎকার– মিউ মিউ
পাশ দিয়ে কতো মানুষ হেঁটে গেছে সারাদিন
একটিবার ঘুরেও তাকায়নি কেউ।
দুদিন বাদে সেই ম্যানহোলেই যখন
জনৈক ব্যক্তির হাজার টাকার একটি নোট পড়ে গেলে–

কতো কসরতই না চলে টাকাটা তুলতে!
জীবনের চেয়ে টাকা যে মূল্যবান
তা আর কেউ না বুঝুক
শুধু স্বার্থপর মানুষ বোঝে– পারে না ভুলতে।

বিশ্বাস

স্ত্রী কয়েকদিনের জন্য বাপের বাড়িতে গেছে
এই সুযোগে স্বামী তার অফিসের
মহিলা কলিগকে বাসায় এনে তুলেছে।
আনন্দ-ফুর্তি সবই চলছে– এই ফাঁকে
যে কুকুরটা অনেক বছর ধরে
বাসার পাহারায় ছিলো– সে পালিয়ে গেছে।

মাংস

হাট-বাজারে গরু-ছাগলের মাংসের যেমন
বেচা-কেনা আছে।
তেমনি মানুষের মাংসেরও
বেচা-কেনা আছে।
মানুষ যখন মানুষকে খুন করে
টাকার বিনিময়ে,
তখন তো মৃত ব্যক্তির
রক্ত-মাংসের মালিক হন–
খুনি কিংবা খুনির মদদদাতারাই।

কবিরাও নবি

হাজার বছর আগে
লোকে নাকি কহিত–
কবিদের কবিতাও অহি তো!
কবিরাও বলে যাহা– সহি তো!

শোনো কবি,
তোমরাও নবি।

পোয়েট-ট্রি ও পোয়েটট্রি

কবি একটি গাছ লাগালেন
গাছটির নাম রাখলেন…

কবিগাছ মানে পোয়েট-ট্রি
কবিগাছ বড় হয়ে উঠলো
শরীরে ডালপালা গজালো

অতঃপর ফলবতী হলো,

কবি এবার গাছটির
নতুন নাম রাখলেন :

কবিতা মানে পোয়েটট্রি

ভালোবাসায় দূর চলে যায় দূরে

ডুব দিতে চাও সুখ-সাগরে একা
তাই তুমি আজ করলে না যে দেখা
স্বার্থপরের মতো তুমি
ভাঙলে আমার মনোভূমি
দুর্ভাগ্যের এই কবিতা তোমার হাতে লেখা।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *