★অঞ্জন দাসের কবিতাগুচ্ছ★
জুনিয়র মিনিট
***************
অঞ্জন দাস
আমাকে উচ্ছিষ্ট লিখো
সাদা নদী
ভাসি স্রোত আছি যার
বইবার ভারে ভেতর থেকেই ডুবি
৷৷ গাছের উপরে গাছ শুকোই জ্বালানি
কিবা ক্ষতি কার
নিত্য -বারংবার
৷৷ নিশ্চিহ্ন হবার নয় স্রোত কিংবা জুনিয়র মিনিট
হাঁটা দিলেন আমার ওসব অজ্ঞতার অধিদপ্তর
যেখানে সূর্যমুখী পেতে দেন কমলা আসন
ভাসান গানের সাথে
৷৷ পরিচারিকা তুমিই মিষ্টিমুখ
আমি তার ফেলা গেলো রস
রসিকতা লেখিকার নদী
উচ্ছিষ্ট আমাকে লিখো মাস
মাসের বরষ
—————–
সফল অর্জন ভ্রমর কইয়ো গিয়া দেখি
*********************************
একটা তিনফুট চার ইঞ্চি মাপের মানুষ বলেছেন যা কিছু হলুদবাড়ী চোখের উঠোনে দেবী ঈর্ষা হবে তুমি! আমিও অসুখে আক্রান্ত। হতে পারো গভীর কিন্তু এর সত্যনিষ্ঠ উত্তরে যাওয়া প্রশ্ন বারবার মনে হচ্ছে না বরং আমি ভেঙ্গে গেলে তোর পড়শী বলবেন দাদা আর একটি ডাবল ক্লিক করুন ” এবং ” সংরক্ষণ ও বিতরণ করা হবে, আমিও। গভীর সমুদ্র মডেল আর অভিনেত্রী তিনি এবং সংরক্ষিত বের করে পাকা উচ্চারণ। ঠোট দেখি সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে।
না লাইক না কমেন্ট। ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন হয়। ভ্রমর কইয়ো গিয়া দেখি ততক্ষনে আমি ,গড়াগড়ি খাচ্ছে উপত্যকায় । পরিণতির জন্য এনাদেরকে আমার দিকে তাকিয়ে আছি গুরু । দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এ কারণে বৃষ্টি বাড়ি ফিরে এলাম, আমার পেটের উপরে। তারপর পাতাঝরা হয়, ঠিক তেমনি ভাবে দাঁড়াতে হলে ফিল্ডিংয়ে উন্নতি চান সাকিব। ভালোবাসা দিলসে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করো উচ্চারণ। ফিরে এলে আমি- ভেঙ্গে যায় ছক। তৈরি হোক কোন এক অজানা কারণ। ছক্কা নয় বরং একটা চাদর টেনে শরীরটাকে এদিকে ওদিকে ছুটিয়ে সেঞ্চুরি করতে শেখালে গুরু।
একটা তিনফুট চার ইঞ্চি মাপের মানুষকে কারা হিংসে করেছো ?
বলেছেন যা কিছু হলুদবাড়ী চোখের উঠোনে ‘দেবী, ইর্ষা হবে তুমি !
—————-
★ কি নাম দেবো
*****************
।।পরিক্রমণ
নেই বলে আগামী দিনের সশ্রম কারাদণ্ড চোখ মোছে আমার বালিয়াড়ি। পাঠ্য বনের একান্ত পূজা
।।ঐরকম
সকাল, অনধিক পাঁচ বছরের পুরনো ঘাসেই আঁকো প্রতিযোগী
।। বাঁচুক শহর
মিথ্যা নোবেল চাই শান্তি নেই মায়ের সঙ্গে ওরা কবিতা সম্মেলন স্থগিত করেছে
।।বৃদ্ধকৃষক
তন্তু ফসল, তোলার অপেক্ষা করতে থাকে জলে
।।অমেরুদণ্ডী
গাছের বাতাস ভাঙতে ভাঙছে গাছ রটিয়ে দিচ্ছে পরদিন চকলা সাহস। দুপুর নাগাদ ইরানীয়দের সাথে দেখাও হয়েছে
।।তৈলমর্দন
এসব শিখতে কবিতা লিখতে পারিনা। আমাদের ঘরে আসে রাত কাটায় খোলা মেলা ঢিলে প্রেস্টিজ
।। ঐরকম
ঘামগন্ধ চুরির অপরাধে শহরের নাক ছিটকে দিয়েছে। বেরিয়ে আসছে গায়ে পড়া লোভী গেঁয়ো গোঁয়ার বাতাস
।।সুগারফল্ট
বাতাস গোছাতে গোছাতে গ্রাম, কবিতার শহর হয়েছে
।।পরিক্রমণ
আহা আমার নিশ্বাস তোমাকেই ঘিরে। তোমাকে নদী জলে দেখি
সমুদ্র ধোয়ায় পা। শ্মশানী উনুনে তুমি, পোড়ে শ্রম।
।।ভ্রমণ
তেমন পিপাসা অনুভূত, কম্পনে বিস্তার ঘটেনি তার।
তিনি
নেই চেপে গেছেন
ছাপা হলে পোস্টে পাঠাবো, কি নাম দেবো
—————-
★আমাদের মুগ্ধ দিনের ঘাট
***********************
পদ্মাবতী ঘাট
প্রফুল্ল জীবন
কালো মাছেরা লাভ দিয়ে মৌমাছি খাচ্ছে
বুকে জল নিয়ে বাড়ছে পদ্ম শিশুরা
বিধবা মায়ের পাড়হীন কাপড়
পাতায় পাতায় কলঙ্কিত চাঁদ
আমাদের মুগ্ধ দিনের কোলাঘাট
লিখিত খাতায় জমা হচ্ছে অসময় বৃষ্টিরা
ফেটে যাচ্ছে পাতার মোমে
কালো দিখিতে লাফ দিচ্ছে হিরে
অনন্ত জীবনে জীবন
আমাদের বাংলা অরাজ অহঙ্কারী
ঈশ্বরের আংটি থেকে বাতাস খুলে দিচ্ছে
আমাদের জীবিত অবস্থান
পদ্মাবতীর ঘাটে ধূনোর গন্ধ
রামায়ণ অস্বীকার করছে দানব
অসহিষ্ণু কাব্য নয়
আমাদের পার্থিব আচার আজানের শেষকথা
যে ঈশ্বর ভাবেন তাঁকে ও ভাবতে হয়
শ্রেষ্ঠ সনাতন থেকে পৃথক সংস্কৃতি
মানবকে দানবের রজ্জুতে কখনো বাঁধতে নেই
তুমি ছাড়া শ্রেষ্ঠ মানব হীন জগৎ সংসার
একথা ভাবার আগে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ওতার
প্রতিষ্ঠাতা নষ্ট হয়ে যায়
পদ্মাবতীর ঘাটে ধুনুচির মেঘে হাসেন তথাগত
কালো মাছ লাফ দিয়ে মৌমাছি খায়
——————
★ সেলফোন ও অতৃপ্ত আত্মা
তুমি নামলে দেখো
***********************************
অন্ধকার!
প্রমোদ নেই বিছানার হাই পেলে
আলোযন্ত্র স্পর্শ আমোদে অন
অহঙ্কার খুলে আত্মা রেখে চলে গেল বডি
নিজস্ব সীমানা পেরোলে
আলো ও সমর্পিত দ্রৌপদী, গতিবেগ নামো অন্ধকারে
গতিবেগে নামে অন্ধকার
ভেসে যায় পাঠ প্রতিক্রিয়া
সুদূর দূরত্বের বিশিষ্ট ব্রহ্মা
অভিমানে বসে রওয়া সত্য অহঙ্কার
হাত ধরে টেনে আনি
প্রফুল্ল বাগানে আলোযন্ত্র আমার অতসী।
সার্চকরে পাওয়া যায় বলিনি আগের রাতে যাকে
হয়তো অবসর ছিল, মনে ছিল ব্যস্ত কল্পনা
দূরতম তোমার উত্তরে আসার অযোগ্যে আছি
চাকা ঘোরা বন্ধ হলে ধন্যবাদ জানাবো নিশ্চয়।