চ ন্দ ন রা য়-র কবিতাগুচ্ছ

পরিচিতিঃ  কখন যেতে হবে জানিও কয়েকটা বই সঙ্গে নেব, আর একটা লাঠি ঠিকানা দিও, বাড়ির রঙ পথের ধারে কোনো পুকুরে জলের নিচে লুকিয়ে থাকে ইতিহাসের শঙ্খ শব্দ… … কবি মনে করেন আলাদা করে দেবার মতো কোনো পরিচিতি তাঁর নেই। তাই কবিতার মাধ্যমেই পরিচয় দিতে চেষ্টা করেন। আটটি কাব্যগ্রন্থ আছে। অজস্র পত্র-পত্রিকায় লিখে চলেছেন। “নতুন মান্দাস” নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করছেন। মানুষের ভালোবাসাই তাঁর পাথেয়। ….আজ বাইফোকালিজম্-র পাতায় পড়ুন চন্দন রায়ের কবিতা।

 

চ ন্দ ন   রা য়-র কবিতাগুচ্ছ

 

এখনো দাঁড়িয়ে

 

এখনও দাঁড়িয়ে আছে। বাগান ভর্তি ছায়া।
পিপাসার বসন্ত এখন নেই। সজাগ পুকুর।
মাছরাঙা পাখি। পুরোনো পায়ের চাপে ভেঙে পরা
বিবাহের মন্ত্র লাগা শাড়ির টুকরো। ঝুল বারান্দার
কোণে। অসংখ্য ছবির অকূল রহস্যময় টান—-

এখনও দাঁড়িয়ে আছে। প্রতীক্ষা না কি শূন্যতার
আলিঙ্গনে বর্তমানের দর্পণ খোঁজা ! আজ বন্ধ
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে, হারিয়ে যাওয়া কথারা
একটা রোদের ভিতর সাঁতার কেটে গেল
দীর্ঘ সাঁতার——

 

এখানটায় বসো

 

এসো। এখানটায় বসো। শরীর ছুঁয়ে থাকি।
কিছু না থাক গন্ধ তো আছে। যেই দিয়েই
আজ নাহয় সেই সময়ের বয়স খুঁজে দেখি

তুমি গান গাইতে , মনের কথা বলতে আসতো
পায়ের আলতা, কাঁচের চুড়ি, নীলরঙ
বাতাসের ওপর দাঁড়িয়ে সন্ধ্যে পেরোত
রাত হাতের মধ্যে হাত জড়িয়ে ঘন নিঃশ্বাসে
ভরিয়ে দিত বেঁচে থাকার সমস্ত উত্তর—

দূরে নয়। এখানটায় বসো
শরীরের সহজ চিৎকার না থাক
চোখে বঁধু শব্দটার ঝলকটা তো থাকবে
তাই দিয়েই আজ নয় গর্ভবতী মেঘের সেই ডাক
লিখে দিক মুহূর্তের কবিতা—

চামড়ার সোহাগ লিপি-১২

 

একি দাদা গোটা পিঠটায় হাতের লাল লাল ছাপ!!
বৌদি চাপড়েছে ?
দূর বৌদি চাপড়ালে তো আকাশের দিকে মুখ তুলে
গোটা তিনেক চুমু ছুঁড়ে দিতাম
এ হলো বিখ্যাত মানুষদের পিঠ চাপড়ানি
আমি নাকি বিশাল মাপের কবি !
কবিতা লেখার ফলক আর গলায় গামছা জড়ানো
পুরস্কার !
বুঝলে !

 

চামড়ার সোহাগ লিপি –১৮

 

বালিকারা সাপ হয়ে উঠলে
বারান্দা থেকে নেমে আসে সিঁড়িভাঙা
সবল পেশী , বিষয়টা স্বীকার শেষে
বিশ্বের সমস্ত কণ্ঠে উচ্চারিত হয়
বিপ্লবের গান—–

চিহ্নিত দেয়ালে
পালকের মত ফুটে ওঠে
এক একটা স্বপ্নের আঙুল ছোঁয়া বৃষ্টির রেখা—–

চামড়ার সোহাগ লিপি-২

 

হাড় থেকে খসে গেছে
রঙের আলিঙ্গন
এখন যার স্পর্শে নরকের প্রশস্ত দরজা খোলে
তারই সন্ধানে
হলধর ক্ষেতের পাশে গান গায়
মাটি খামচে সাজিয়ে রাখে সমস্ত বাসনা
রাত্রি জাগে

লেখা পাঠাতে পারেন
Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *