সো হে ল ম ল্লি ক – এর কবিতাগুচ্ছ
আহ্ রে মানুষ
মানুষ কি রাখে মানুষের খোঁজ?
কাগজের পাতায় দেখি রোজ–
গুম, খুন, রক্তাক্ত লাশ
মানুষ কি ফেলে দীর্ঘশ্বাস?
আহ্ রে মানুষ! মানুষ কি জানে?
মানুষ কি পস্তায়?
মানুষেরই মাংস বাজারে বিকোয়
সবচেয়ে সস্তায়!
জীবন
একটি বিড়াল হঠাৎ করে
রাস্তার ম্যানহোলে পড়ে গেছে
সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি ক্ষীণচিৎকার– মিউ মিউ
পাশ দিয়ে কতো মানুষ হেঁটে গেছে সারাদিন
একটিবার ঘুরেও তাকায়নি কেউ।
দুদিন বাদে সেই ম্যানহোলেই যখন
জনৈক ব্যক্তির হাজার টাকার একটি নোট পড়ে গেলে–
কতো কসরতই না চলে টাকাটা তুলতে!
জীবনের চেয়ে টাকা যে মূল্যবান
তা আর কেউ না বুঝুক
শুধু স্বার্থপর মানুষ বোঝে– পারে না ভুলতে।
বিশ্বাস
স্ত্রী কয়েকদিনের জন্য বাপের বাড়িতে গেছে
এই সুযোগে স্বামী তার অফিসের
মহিলা কলিগকে বাসায় এনে তুলেছে।
আনন্দ-ফুর্তি সবই চলছে– এই ফাঁকে
যে কুকুরটা অনেক বছর ধরে
বাসার পাহারায় ছিলো– সে পালিয়ে গেছে।
মাংস
হাট-বাজারে গরু-ছাগলের মাংসের যেমন
বেচা-কেনা আছে।
তেমনি মানুষের মাংসেরও
বেচা-কেনা আছে।
মানুষ যখন মানুষকে খুন করে
টাকার বিনিময়ে,
তখন তো মৃত ব্যক্তির
রক্ত-মাংসের মালিক হন–
খুনি কিংবা খুনির মদদদাতারাই।
কবিরাও নবি
হাজার বছর আগে
লোকে নাকি কহিত–
কবিদের কবিতাও অহি তো!
কবিরাও বলে যাহা– সহি তো!
শোনো কবি,
তোমরাও নবি।
পোয়েট-ট্রি ও পোয়েটট্রি
কবি একটি গাছ লাগালেন
গাছটির নাম রাখলেন…
কবিগাছ মানে পোয়েট-ট্রি
কবিগাছ বড় হয়ে উঠলো
শরীরে ডালপালা গজালো
অতঃপর ফলবতী হলো,
কবি এবার গাছটির
নতুন নাম রাখলেন :
কবিতা মানে পোয়েটট্রি
ভালোবাসায় দূর চলে যায় দূরে
ডুব দিতে চাও সুখ-সাগরে একা
তাই তুমি আজ করলে না যে দেখা
স্বার্থপরের মতো তুমি
ভাঙলে আমার মনোভূমি
দুর্ভাগ্যের এই কবিতা তোমার হাতে লেখা।