পর্ব-২৮ শ্রী দুর্গাশঙ্কর দীর্ঘাঙ্গী-রঃ “মেদিনীপুরের ভুলে যাওয়া ইতিকথা” — প্রাচীন যুগে বাংলা

পর্ব-২৮

শ্রী দুর্গাশঙ্কর দীর্ঘাঙ্গী-
চন্দ্রকোনার হারিয়ে যাওয়া ছোট ছোট ইতিহাস নিয়ে       

                                                                                                ছবিঃ গৌতম মাহাতো

                  
           মেদিনীপুরের ভুলে যাওয়া ইতিকথা

                                পর্ব-২৮

                    প্রাচীন যুগে বাংলা

অতীতের হিন্দুযুগের বাংলাদেশের  ইতিহাস সম্পর্কে আমরা এখনও সব জানতে পারিনি। পরবর্তী কালে মুসলমান রাজত্বকালে যে ভূখণ্ড ছিল তাহা প্রাচীন কালে অনেকগুলো খণ্ড রাজ্যে
বিভক্ত ছিল। পশ্চিমবঙ্গে তখন রাঢ় ও তাম্রলিপ্তি, আর তখন পূর্ব বঙ্গে বঙ্গ, সমতট, হরিকেল ও বঙ্গাল, উত্তর বঙ্গে পুণ্ড্র ও বরেন্দ্র এই কয়েকটি
পৃথক রাজ্য ছিল। এইসময় গৌড়, পুণ্ড্র, বঙ্গ, সমতট, সুম্ভ,রাঢ় ,তাম্রলিপ্ত- এই সব প্রসিদ্ধ
রাজ্য বা জনপদগুলিকে নিয়ে বাংলা নামে পরিচিত। প্রাচীন বাংলা চারটি  বিভিন্ন প্রদেশে
বিভক্ত ছিল যেমন বরেন্দ্রী, সুম্ভ(বা রাঢ়া), বঙ্গ ও 
ও কামরূপ। ‘গৌড় বলতে  সাধারণত রাঢ় -বরেন্দ্রী 
অর্থাৎ উত্তর ও পশ্চিম বাংলা  আর বঙ্গ শব্দে বঙ্গ-কামরূপ অর্থাৎ দক্ষিণ , পূর্ব ও উত্তর পূর্ব বাংলা বোঝাত। (সুকুমার সেনঃ প্রাচীন বাংলা ও বাঙালী, ১৯৭২ পৃ -৮)। আর্যদের আগে বিভিন্ন জাতি অষ্ট্রিক, দ্রাবিড়, মোঙ্গল এখানকার অধিবাসী ছিল। মৌর্য বিজয়ের পর থেকে (আনুমানিক খ্রীস্টপূর্ব ৩০০ অব্দ)  এই অঞ্চলে
আর্যীকরণ শুরু হয় আর তা চলে ৫০০ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত। এই দেশ ছিলসমগ্র ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। একসময় ভারতীয় সংস্কৃতির  ধারক ও বাহক ছিল। বিশেষ পরিবেশ, জলবায়ু, মাটি, নদনদী এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করেছিল 
আলাদা সত্তা আর বিকশিত করতে তার  নিজস্ব ভাষার জন্ম হয়েছে। 
বাংলা’ বা’ বাঙ্গলা’ নামটি সর্বপ্রথম  মুসলমান আমলেই পরিচিতি লাভ করে । ‘আইন- ই- আকবরী’ গ্রন্থের প্রণেতা আবুল ফজলের মতে
বাংলাদেশের প্রাচীন নাম ছিল ‘বঙ্গ ‘ এই দেশের
রাজারা খুব উঁচু আল নির্মাণ করিতেন। আল আর বঙ্গ মিলে বাঙ্গলা নামের উৎপতঐতিহাসিকগণ এই যুক্তি মেনে নেন নি। ডক্টর রমেশ চন্দ্র মজুমদার
প্রমুখ ঐতিহাসিকদের মতে ‘বঙ্গাল’ দেশের নাম 
হইতেই বাংলা নামের উৎপত্তি হয়েছে। 
তবে’ বাংলা’ নামটি মুঘল যুগেই সর্বপ্রথম সমগ্র
দেশবাচক নাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। গুপ্তোত্তর
যুগে গৌড় বলতে সমগ্র বাংলাদেশকে এবং পশ্চিম ও উত্তর- বঙ্গকে বুঝাইত। পালযুগে গৌড়ের রাজ্য সীমা  খুব বিস্তার লাভ করেছিল। কাশ্মীরী ঐতিহাসিক কল্ হণ তাঁর রাজতরঙ্গিনীতে পঞ্চ গৌড়ের কথা উল্লেখ করেছেন। এই পঞ্চগৌড়
বলিতে গৌড় বা বাংলাদেশ, সারস্বত অর্থাৎ পাঞ্জাবের পূর্বভাগ, কান্যকুব্জ বা কনৌজ, মিথিলা বা উত্তর বিহার, উৎকল বা উড়িষ্যা এই কয়েকটি অঞ্চল কে বুঝাইত। ইংরেজ বণিকগণ – ই সর্বপ্রথম
বাংলাকে বেঙ্গল (Bengals) নামে অভিহিত করিতে শুরু করেন। 
 প্রাচীন কালের বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানা নির্দেশ করা সম্ভব নহে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন অংশের যে পরিচয় পাওয়া গেছে
তা হ’ল উত্তরে হিমালয়, হিমালয় হতে নেপাল, সিকিম ও ভুটান রাজ্য, উত্তর পূর্ব দিকে ব্রহ্মপুত্র নদ উপত্যকা; উত্তর পশ্চিমদিকে দ্বারবঙ্গ পর্যন্ত ভাগীরথীর উত্তর সমান্তরালবর্তী সমভূমি; পূর্বদিকে
গারো-খাসিয়া-জয়ন্তীয়া-ত্রিপুরা- চট্টগ্রাম শৈলশ্রেণী বাহিয়া দক্ষিণ সমুদ্র উপকূল পর্যন্ত;
পশ্চিমে রাজমহল-সাঁওতাল পরগণা- ছোটনাগপুর-মানভূম-ধলভূম-কেওঞ্জর-ময়ুরভঞ্জের শৈল্য এবং অরণ্যময় মালভূমি; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। বাংলার ইতিহাস লেখার
পিছনে এক দীর্ঘতম কাহিনী আছে। 
The History of Bengal Publication Committee :-
The idea of writing a comprehensive History of Bengal on modern scientific lines may be traced back to 1912 when
Lord Carmichael, the first Governor of the Bengal Presidency, took the initiative and invited MM Haraprasad Sastri to prepare a scheme. It is proposed to publish the history in three volumes dealing respectively with the Hindu, Muslim and British periods. Several meetings were held  in the Government House, Calcutta, but what became of this plan and how far it was matured are not definitely known. 
Some years later, the Raja Prafulla Nath Tagore, the grandson of the famous Kali Krishna Tagore, volunteered to pay the entire cost of such a publication, and invited the late Mr. Rakhaldas Banerji to
draw up a plan along with some other well-known scholars of his time, Several meetings were held in the house of the
Raja, but ultimately nothing came out of it. 

Ever since the foundation of the University of Dacca, it was felt that the University should take up the task of preparing a History of Bengal as early as practicable. 
This idea received an impetus from 
Sir Jadunath Sarkar, who, in the course of a lecture delivered at the University about the middle of July 1933,emphasised that a 
History of Bengal on modern scientific lines was a long overdue and that this University, standing as it does in the very
heart of an ancient and important seat of Bengal Culture, should in the fitness of things take up  the work. Sir Jadunath 
Promised  his whole-hearted support and 
active co-operation in this enterprise. 

The scheme received a new impetus from
Mr. (now sir) A. F. Rahman, when he joined the University as Vice- Chancellor in  July
1934.In his first convocation address next 
month he emphasised the need  of commencing the work, and in his second
Convocation speech, in July 1935, he announced that some preliminary work had already been done. 
By the end ofAugust1935, the scheme took
Definite shape, as professor R. C. Majumdar , Head of the Department of History, who had so long been pre-occupied with his own research work
On the history of Ancient Indian Colonies in
the Far East, was now free to take up the
Work. 
Ref: The History of Bengal – Edited by
Dr. (Professor )R. C. Majumdar., 1943
     Indian History-Dr. Kiran Chandra Chowdhury. 
      Banglar Mandir Sthapatya-Dr (Professor) Pranab Roy. 
          
                                                 ক্রমশঃ

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *