শ্রী কানাই লাল দীর্ঘাঙ্গী-র
চন্দ্রকোনার হারিয়ে যাওয়া ছোট ছোট ইতিহাস নিয়ে
মেদিনীপুরের ভুলে যাওয়া ইতিকথা
ছবিঃ গৌতম মাহাতো
পর্ব-২৫
চন্দ্রকোণার রাজা হরিনারায়ণ বা রাজা হরিভান ভান সিংয়ের সুযােগ্য পত্নী লক্ষণাবতী যিনি বিষ্ণুপুর মল্ল রাজবংশের হােল রাজার কন্যা, নারায়ণ ভূপের ভগিনী রাজা মিত্র সেনের মাতা খুবই ধর্মপ্রাণা ছিলেন। তিনি লালগড়ে গিরিধারী জীউর নবরত্ন মন্দির প্রতিষ্ঠাকরেন। সেই সময়কাল হ’ল ১৫৭৭ শকাব্দ বা ইং1655 খৃষ্টাব্দের কথা। শ্রী শ্রী লাল জীউর মন্দির শিলায় উল্লেখ আছে। দু:খের কথা! লালগড় দুর্গের সেই নয়নাভিরাম নবরত্ন মন্দির আর নেই। কালের করালগ্রাসে তা নষ্ট হয়ে গেলেও সেই প্রামাণ্য শিলা লেখাটি আজো ঠিকই আছে। বিশ্বাসঘাতক সাতবেড়ের রাজা মান সিংহকে বর্ধমান হ’তে চন্দ্রকোণা আগমনের পথ দেখিয়ে দিয়ে পুরস্কার স্বরূপ ভান রাজবংশের ঠাকুর রাধা-শ্যাম বিগ্রহ কে চন্দ্রকোণা থেকে নিয়ে গিয়ে সাতবেড়েতে সহাপন করেন। যার জন্যে পরবর্তী কালে রাজা মিত্র। সেনের মা লক্ষণাবতী পুনরায় রাধা- গিরিধারীর শ্রী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা ক’রতে বাধ্য হন। আর এই হরিসিংপুরেই তাে ছিল সেই “শ্রী কৃষ্ণ পদারবিন্দ রসিকা রানী লক্ষণাবতী স্মৃতি মন্দির যেখানে একদিন সাজাহানের মতাে হৃত-সৰ্ব্বস্ব ও শােক-সন্তপ রাজা হরিভান চোখের জল ফেলতেন আর বকুল ফুল দিতেন। তা’ছাড়া ঐতিহাসিকরাও তাে বলে থাকেন এখানে ই ছিল ‘রাজার নতুন-গড়’ আর তাঁর নামেই এই গ্রামের নামকরণ হয়েছে হরিসিংপুর। সেদিন চন্দ্রকোণার দুই বিশ্বাসঘাতক মঙ্গল বা মংলি -বাই ও নটু সওদাগরের সহায়তায় কপট মান সিংহ গুপ্ত পথে এই গড়ে প্রবেশ করে, অন্যায়
ভাবে আমাদের রাজাকে হারিয়ে দেয়। সেই সময় মৌলা গ্রামের নিকট রন-কাঁকিতে পড়েছিল অম্বরাধিপতির শিবির। রাজকুমারী নামে খ্যাতা রাজার এক পালিতা কন্যা অঞ্জলি নাকি এই সময়েই বাদশাহী কামানের গােলায় উড়ে যায়। আজো যার বক ফাটা আর্তনাদ কখনাে কখনাে। লােকে এখানে শুনে থাকে। Our Chandrakona and it’s adjacent areas along with Vishnupur are called Temple city. During those period Temple construction movement were going on throughout the Country for their dedication and devotion to God & Goddess. Later on Our Zamindars, rich persons of villages Continued to do so. It is fact Temple construction with terracottas of God and Goddess,flowers, Rath Yatra, elephants and horses, sailing of boats, battle field etc. stone and brick made temples or earth work for big pond created varieties job for artisans and shilpi and common people of villages. Chronicles of Chandrakona written by Chandrasekhar Bandopadhyay, Deputy Magistrate, friend of Bankim Chandra Chattopadhyay wrote an article in Calcutta review in the year 1883 published by Calcutta University (ref. জাড়া রায় বংশের পরিচয় মৃগাঙ্ক নাথ রায়,সম্পাদনাDr. Professor Pranab Roy) : The earliest seat of the Aryans in West Bengal, one of the oldest towns in the country and the centre for native industry, chandrakona, had no written records of its past history. Its annals are preserved in oral tradition only and although bards and minstrels have flourished in the vicinity, None ever sung of its valiant kings or it’s merchant princes, whose monuments and names yet survive… and the records obtained from the archives of one or two of the adjacent Principalities. Chandrakona (Latitude 22°44’22” North. Longitude 87°33’20”) Stands on the extreme eastern edge of the highland ridge whence the country suddenly breaks from hillocks, forest and rock down to a deltaic plain. The extensive track of jungle land known as paragana Bogri, on the Western borders of Hugli and North western limits of the Midnapore district, adjoins the town immediately on its west. It seems one of the earliest gleanings from the primitive jungle where a town sprung up and a principality flourished.p Immediately on its east, the tableland slopes in gentle undulations until it rests in a low, flat plain, forming the basin of the Silaboti and presenting evident traces of a river, once much broader than the present stream… The date of the inscription indicates that the chunder Ketu family must have been overthrown towards the close of the fifteenth century and only two princes of the line of Bir Bhanu reigned after him. The Princes are: 1. Bir Bhanu 2.Hari Narayan a and 3.Mitra Sen The reigns of these princes occupied little more than a country. As early in the 18th century, Chandrakona was arrested by the Maharaja krit Chandrakona of Burdwan (1702 A. D.,1740 AD) of Raising Hari Narayana little survives but the name in the inscription. To Raja Mitra Sen, Chandrakona owes the establishment of the bustier “Mitra Senpur” and the construction of the Fort of Raghunath -garh. He gave the name of Durga Singapur,now known as Dursingpur, to the principal gate, or approach to the Fort… মাতা শ্ৰীযুত মিত্র নৃত্য বিক্ষ্যার্ত কির্তে ক্ষিতৌ।। শ্রীনারায়ণ মল্ল ভূপ ভগিনী রম্যংদদৌ মন্দিরং।। গিরিধারি পদাম্বােজে নবরত্ন মিদংশুভংL. নিৰ্ম্মায় বহুযত্নেন শমর্পিত বতী মুদা।। পৌরাণিক শ্রী মােহন চক্রবর্তি, গােকুল দাস Raja Mitra Sen died without issue. His father Hari Narayan, as we have seen in the inscription notice above, married into a family of the Mallya Bhups. This circumstances probably favoured Mitra Sen’s relatives in the maternal line in occupying the principality, which went Out of the hands of the Mallyas, after the days of Khaer Mallya.
This sudden break of sunshine, however, Proved short lived. The rays were not to smile long on the fortunes of the Mallyas. They were able to hold the Raj for a short time only as the “adventurous spirit of Maharaja Kirti chand impelled him to fight with the Rajas of Chandrakona and disposses them of their principality. It is Raja Kirti Chand’s munificence that the idols Raghunath and Lalji owe their present splendid temples. Kirti Chand also recovered from the hands of the priests the temple and the endowments of Mallyanath, which they were managed to hold as their own since the fall of Kheer Mallya. He also built or repaired the present elegant temple of Mallyanath. There were four cannons yet attached to the temple which bear the name in the Persian character of Chittra Sen, the sun and the heir of krit Chand. Having brought to order the affairs of the Raj, he left it to be managed by his brother-in-law,Ramji Baboo. His management of the Raj was disturbed by the increased activity of the Chuars of Bogri. Their frequent in roads called for interference of Maharaja To like Chand, until the disturbances gave away to the general peace to which the country was reduced under the powerful paw of the British Lion.
★ Ref: 1.Bhagna Deuler Itibritta
2. Bidrohi Raja Hari van Kanai Lal Dirghangi
3. Chronicles of Chandrakona(Calcutta review) – Chandrasekhar Bandopadhyay, Deputy Magistrate of district Cuttack) rare article recovered by Dr. professor Pranab Roy.