আর্যাবর্তেরর কথা
দু র্গা শ ঙ্ক র দী র্ঘা ঙ্গী
ভারতবর্ষের আর্য সভ্যতা ,ভাষা,র্ধর্মীয় জীবন এবং বাংলা সাহিত্য,মহাপুরুষদের প্রভাব।
এক
উপরোক্ত বিষয় নিয়ে বহু তথ্য, অনেক ধর্মীয় মূলক কাহিনী, বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের মতামত আমরা পেয়েছি। এটা সত্য আমাদের ভারতবর্ষ
ছিল এক উন্নত প্রাচীন সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক
দেশ। আর্যগণ এদেশের দ্রাবিড়ীয় জাতিসমূহের
ধর্ম সংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান গ্রহন বর্জন অর্থাৎ
সাঙ্গীকরণ করেছিল এবং ভারতীয় আর্য সভ্যতা
গড়েছিল। পরে বহুজাতি এই দেশে এসে এবং
এই সমাজের সঙ্গে মিলেছে। এই মিশ্রিত আর্য
সভ্যতাকে বৈদিক আর্য সভ্যতা বা ব্রাহ্মণ্যবাদ
বলা হয়ে থাকে।
দ্রাবিড়ীয় জাতি বা বহুজাতিক তথ্য সম্পর্কে বলার আগে পিছনের ইতিহাস জানা দরকার।
“Anthropology tells us that the people
of Bengal are composed of diverse racial
elements -North Indian(Aryan) Longheads,
‘Alpine ‘ shortheads, Dravido-Munda Longheads, and Mongolian shortheads. The presence of a Negroid elements (like the one found in some costlands of India, and in South India) has been traced among the Nagas in the hills of Assam, but not so
far in the Bengali people.
বিভিন্ন জাতির ভাষার যোগসূত্র নিয়ে যদি না ও
উল্লেখ করি বাংলায় বিভিন্ন জাতির আলাদা
ভাষা আছে অতীতের দীর্ঘ সময়কাল থেকে যেমন
অষ্ট্রিক(Mon-Khmer and Kol), দ্রাবিড়িয়ান,
সিনো- তিবেতান অথবা তিবেতান- চাইনিজ, এবং
শেষে ইন্দো- ইউরোপিয়ান।
সম্ভবত: বাঙ্গালী জাতির গঠন, ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছিল। অতীতের পূর্বের প্রাকৃত ভাষা যা মগধে
প্রচলন ছিল বাংলা য় ছড়িয়ে পড়ল: প্রথমে পশ্চিমে এবং উত্তর বাংলায় তারপর মধ্য ও পূর্ব
বাংলায় মগধ জাতির অনুপ্রবেশের মাধ্যমে।
অনুপ্রবেশ করেছিল ব্যবসায়ী, যোদ্ধা, শিক্ষিত
সম্প্রদায, কৃষক সম্প্রদায়; ব্রাহ্মণ গোষ্ঠী, শ্রমণ এবং বিভিন্ন জাতির লোকেরা। মন্ত্রী বা অবস্থাবান
লোকেদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের জন্য ব্রাহ্মণ, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর লোকজন,জৈন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে উপর ভারতের বিভিন্ন জাতি
অনার্য জাতির অনুপ্রবেশ ঘটেছিল।
এই সব আর্যদের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল অনেক আগে শান্তি পূর্ণভাবে । তারপরে পশ্চিম বঙ্গ, উত্তর
বঙ্গের অনার্যদের সংযুক্তি হয়েছিল রাজনৈতিক ভাবে। আর্যদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
★আর্যদের বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তার, তাদের ভাষার প্রভাব পড়ল অনার্যদের ভাষার উপর।
(দুই)
দলে দলে আর্যদের আগমণ, বিস্তার হয়েছিল
সারা বাংলা জুড়ে। ধীরে ধীরে অনার্যদের কথোপকথন, ব্যবহারের উপর আর্য ভাষার
প্রভাব পড়ল। এবং তারা ব্রাহ্মণ, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অর্জন করল। বলা যায় বাংলায় মৌর্য্যের মগধ শাসনে এই ধর্মীয় বিশ্বাস
অনেকাংশে সাহায্য করেছিল। মগধের রাজ ভাষা
বাংলায় ব্যবহৃত হোল। এর প্রমাণ আমরা বোগড়া জেলার উত্তর পূর্বের ‘মহাস্থানগড়’এ মৌর্য্য ব্রাহ্মীর
অক্ষর পেয়েছি। এটাই হোল সবথেকে পুরানো সময়ের অস্থায়ী বাংলার ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক
বাংলার দলিল। (The official language of
Magadha was used in Bengal, as in the
Mauryan Brahmi inscription discovered at ‘Mahasthan’ in the Bogra district of North -Central Bengal, which is the oldest contemporary documents we have of history and culture in Bengal. ” The Brahmi
record at Mahasthan, which is usually assigned to the Maurya period, refers to
Pundranagara as a prosperous city. It undoubtedly enjoyed the blessings of good government. It’s store house was filled with coins styled gandakas and kakanikas which were at the service if the people in the time of emergency due to water, fire, and pests. . . .. . . . As is well known, numerous punch maked coins have been
discovered in various parts of Bengal”
অর্থ যা করলে বোঝা যায়, মৌর্য্য কালীন
মহাস্থানগড়ের ব্রাহ্মী লিপির ব্যবহার যা মৌর্য্য
সময়ে প্রয়োগ হয়েছিল । ফলস্বরূপ পুন্ড্রনগর
শহরের সমৃদ্ধি। এদের মালখানাতে প্রচুর পরিমাণে
গন্দকস এবং কাকানিকাস আকৃতির ন্যায় মুদ্রা
সঞ্চিত থাকতো আপৎকালীন প্রয়োজনে যেমন
বন্যা, আগুন লাগার এবং ফসলে পোকার আক্রমণের জন্য।
ক্রমশঃ…
তথ্য ঋণ: The History of Bengal, (hindu period) , Dr. R. C. Majumdar