রাজা ভট্টাচার্য্য–র কবিতাগুচ্ছ
লিটল ম্যাগাজিনেই তার স্বাচ্ছন্দ্য।প্রচারের বাইরে দাঁড়িয়ে তার চর্চা ও চর্যা।লিখছেন বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে,তবে তা তাঁর সামর্থ্যেরর তালুতে অবিচল ভ্রমণ।
সঙ্গম
আর কত অভিমান নিয়ে ভাঙবে তুমি
তিরে ছড়িয়ে দেবে বুক ভাঙার শব্দ
মৃত বালির বুকে রেখে যাবে সঙ্গমের ছাপ
আমি চরিত্রহীন হতেই পারতাম
তুমি কেন ভালবেসে ফেললে।
চাকা
প্যাডেল পাক খাচ্ছে একটা গোটা সংসার
মাঝে মাঝে চেন খুলে যায়
আটকে যায় সংসার যন্ত্রের বিকেল
বাবা আবার ঠিক চেন পরিয়ে দেয়
আমাদের সংসার সচল থাকে
কিন্তু বাবার হাতে লেগে থাকা ময়লাগুলো
ধুতে ভুলে যাই আমরা সাধারণত।
ভাষা
জয়া ভাদুড়ী আর সঞ্জীব কুমারের কশিস্ দেখে বেরোনোর পর কে যেন জোরে ধাক্কা মারে চোখে …মূক বধির ছিলাম,অন্ধও হয়ে গেলাম- এখন আমার আর সিনেমা দেখতে ভালো লাগে না …তবে নিজেকে সঞ্জীব কুমার আর তোমাকে জয়া বলেই মনে হয় …চলোনা আর একবার চেষ্টা করি বাঁচতে …
রঙ
১.
পলাশ চেয়েছিলে আমার কাছে
তোমায় কিছু দুর্লভ আগুন দিয়েছিলাম
২.
কৃষ্ণচূড়ার অভিমান তুমি বোঝনি রাধা
সব ফুল ঝরিয়ে দিয়ে আমি আজ শেষ বসন্ত
৩.
কালোর মধ্যে কি রঙ খোঁজ
দেখ তোমার ছায়া জড়িয়ে ধরেছে আমায়
৪.
অনেক সাদার মধ্যে শরীর খুললাম
তোমার চোখে সেই কাজল কই
৫.
নীল রঙ ভালবাসতেই পারি
যদি তুমি মৃত্যু হতে পার
৬.
লালের অহংকার তোমার সর্বাঙ্গে
তবু রাত্রি হলে আমায় কেন ডাকো
৭.
ভালবাসলে মন হয়ে যায় সবুজ
আর ভালবাসা হারালে অভিমানী ধূসর
৮.
নষ্ট করে দাও আমার যত রঙিন
কষ্ট করে নাই বা তোমায় পেলাম
৯.
যৌনতার রঙ আমার জানা নেই
তবে শেষ চুম্বনে মৌনতা ছিল বেশি
১০.
মাটির কাছে রঙ চাইতে গেলাম
আমায় দু হাত ভরে শৈশব তুলে দিল
★★★