ভবেশ মাহাত-র কবিতাগুচ্ছ

    ★ ভবেশ মাহাত-র কবিতাগুচ্ছ★
               

ফিরে এসো প্রিয়তোষ
……………………………..

তোমাকে ভীষণ মনে পড়ে প্রিয়তোষ
আমগাছের ছায়া, কলেজের ক্লাস,
তোমার দেওয়া ছেঁড়া-ফাটা নোট
জমিয়ে জমিয়ে একশো তেইশ টাকা সর্বমোট,
তোমার মোটা ফ্রেমের চশমা, আর
ফেটে পড়া হাততালি অগণিত জনতার,
আমি এখনও, এখনও চশমা কিনি
সবাইকে তুমি মনে হয়, যাদেরকে না চিনি,
তোমাকে অতটা মনে নেই তোমার কথারা জেগে
ফিরে এসো প্রিয়তোষ তুমি এখনো কেন আছ রেগে?
………….

নদীর হাসি

একটি নদী জল থইথই
একটি গেছে শুকিয়ে,
একটি নদী মুচকি হাসে
আরেকটির পানে তাকিয়ে।

একটি নদী ভুলেই গেছে
কেমন ছিল গতি,
একটি নদী গড়েই চলে
আর একটি ক্ষতি।

একটি নদী হাসছে দেখে
অন্য নদী হাসে,
একটি মানুষ গাছ কাটে আর
অন্য মানুষ ভাসে।
…………

ভয় পেয়েছি

আমি ভীষণ ভয় পেয়েছি
তোমার ব্যবহারে,
হঠাৎ হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়
একলা অন্ধকারে।

দুদিন ধরে খোঁজ পাইনি
মেসেজও নেই কোনও
মেসেজ নাহয় না-ই করলে
করতে যদি ফোনও।

তাতেই আমি ধন্য  হতাম
খুশি হতাম বেশি,
ওসব কিছু পাইনি বলেই
কান্না এবং হাসি।
……….

সেই থেকে

আমি যে দেখেছি আমারই বন্ধু দেবদাস হয়ে কাঁদে
যে মেয়েকে ভালোবেসেছিল তারই পাতা ফাঁদে।

 আমি যে দেখেছি আমারই বন্ধু চুরমার হয়েছে গোপনে কখনো বুঝতে না দিলেও কথা বলতে শুনেছি ফোনে।

আমি সেই থেকে হয়ে গেছি যথেষ্ট সাবধানী,
আমি সেই থেকে ঈশ্বরকেও আমার শত্রু মানি।
………….

এক হয়ে বাঁচতে চাই

হয়তো একদিন মিশে যাবো মাটিতে
হয়তো থেকে যাবো কারো হৃদয়ে,
কী লাভ হবে শুধু শুধু ঝগড়া ঝাঁটিতে
তুমিও এসো বেঁচে নিই এক হয়ে।

হয়তো কেউ কখনো বিষ দেবে ঢেলে
খাওয়া ভাতে ঢেলে দেবে ছাই,
তুমি খাওয়াবে এমন খাবার পেলে
বিষটাও অমৃত ভেবে খাই।
…………

কুঁয়োর ব্যাঙ

রাজায় রাজায় যুদ্ধ বাধে
প্রজার ভাঙে ঠ্যাঙ,
কেউ ভাবেনা কারোর কথা
ভাবে কুঁয়োর ব্যাঙ।

রাজায় রাজায় যুদ্ধ বাধে
মাথা ফাটে প্রজার,
সেই মানুষও মানুষ নাকি
পা-চাটে যে রাজার!
                 ★★★★★★
       

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *