অভিসার
সু ত পা চ ক্র ব র্তী
ছবিঃ গৌতম মাহাতো
একঃ
এ সময় মনের উপর চাঁদ পড়ে। তার আলো শরীরের খাপেখোপে নিজেকে গুঁজে নেয়। আবারও তোমায় দেখতে চাই। এরকম নতজানু হয়ে আমার সন্মুখে বসে আছো কেন? ঘর সংসার সন্তান সবই তো একত্রে পেয়েছি। এখন ঠোঁটে ঠোঁট রাখার সময়। দাম্পত্য প্রহর। ওঠো। ওঠো বলছি!
দুইঃ
এই যে হাত পাতলুম। এসো, স্পর্শ করো প্রেম! লাঙলে নদীর গর্জন। আমার ঠোঁটে নদীর পাড়। মাটির ঢেউ। তুমি কী অক্লেশে চুমু খাও গো! আমার ঠোঁটেমুখে গোলমরিচ গোঁফ
তিনঃ
আরো কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে থাকি। এমন নিভৃত খাঁচা পৃথিবীর আর কোনো পাখিরই নেই। নীলচে শার্টের বোতামে এখনো আমার মুখের লালা লেগে আছে! এরে তুমি কী বলো, প্রেম? আমার বুকে ভাদ্রের মেঘ!
চারঃ
তুমি আমার । দিনে কত কতবার শোনো তুমি। তোমার চোখে আশ্চর্য এক পুকুর আছে। প্রথম দিনই পা পিছলে পড়েছি সেখানে। এবারে আমার চুলে হাত ডুবিয়েছো। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো তোমার শরীরে প্রবেশ করছি
পাঁচঃ
এভাবে এতোটা স্পর্শ পেলে আয়ু বেড়ে যায়। আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছো তুমি। পায়ের উপরে আমার পা। হাওয়ায় দুলছে জন্ম। পাশের ঘরে বসে আছেন সার সার গৃহদেবতারা। কে যেন তিনবার শঙ্খ গেয়ে উঠল! তুমি কী এবারে সিঁদুর পরাবে?
সুতপার আগের গুচ্ছ কবিতার ডালি
সুতপা চক্রবর্তী-র কবিতাগুচ্ছ