নী প বী থি ভৌ মি ক-র গুচ্ছকবিতা
জ্বর
প্রতিদিন কি আর জ্বর আসে, না জ্বরকে আসতে দিতে নেই প্রতিদিন?
রক্ত ক্ষরণ হয়ে জন্ম নেয় শিশুগাছ
ফুল পাতা ছেয়ে বৃক্ষমুকুল…
নদীর কাছে বসে বসে যারা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল কখনো
একমাত্র তারাই জানে কতখানি নীরবতা জমা হলে জ্বরকে জীবন মনে হয়…
ঘুম
জলকে চেনে আর কজন?
নিজেকেও বা !
আঙুলকে চিনেছ হয়ত তুমি। স্পর্শ চিনেছ কি
তার কখনো?
মৃত্যুকে চিনছি আজন্ম,
অথচ ঘুমকে চেনা হলো না আজও।
সম্পর্ক
নড়বড়ে, ভাঙাচোরা
অথচ ছায়ার মতো আড়াল করে থাকে
ভালোবাসা ছাড়া আর কোন সেতু?
সময়
ব্যবধান মুছে গেলে পাথর আর জল
সেই একই জীবাশ্মের গল্পকথা।
পেন্সিল
গা থেকে খুলে যাচ্ছে সমস্ত অভিমান
চোখ আর কান জুড়ে এখন শুধু দৃশ্য।
একটি অসম্ভব চরিত্রের মুখোমুখি আজ,
যত ছবি আঁকি না কেন,
দৃশ্যে ফুটে ওঠে না বাস্তবের সততা।
আলো আর ছায়া। ছায়া আর আলো।
মুখ আঁকতে চাই,অথচ পেন্সিলের শরীর
জুড়ে নেমে আসে মৃত্যু !
কালো পর্দায় আড়ালে জীবন হারিয়ে ফেলে
সবুজ কোনো রং…
চরিত্র আঁকতে আঁকতে আসলে
পেন্সিল এটাই বুঝেছে স্বচ্ছতা
আর নেই তার চোখে।
সীস উগরে দেওয়া দেহ নিয়ে সততার
ছবি কি আঁকা যায় কখনো?