দে ব যা নী ব সু-র কবিতাগুচ্ছ
ঈর্ষাহলুদ রান্না
জল ও পালকগুচ্ছের মিথুনপক্ষ
বালু ঘড়ি কাশবনে মৃত
গাছগাছালির চিকিৎসায় নয়া মোড়
অভ্যস্ত ধারণা মোচড় খাচ্ছে
জলে যা হয় না তার উল্টো দিকে কে?
একাকী লগি
দুটি বাঁধ কাছাকাছি আসে না তাই
বেলে পাথরের হাত পা থুরথুরে
স্তনজন্মের জনঅরণ্যপদ
রুজি রোজগার থমকে দাও প্রেতাত্মাদের
গোটা নদী চুরি ধর্ষণ ও হত্যা করে নৌকারা পালিয়েছে
হুমড়ি খেতে জন্মিয়েছি ভুলে যাই।
সাধারণ প্রেতাত্মা
নদীটির মুখে লক্ষ কোটি মানুষের নাভিছাই জমে
জমে জমে মোহনার চর
চর নড়াচড়া করে চরকাশ্যপায় নমঃ
তার চলার শব্দে মাথা ঠেকাই
গামার গাছের রক্তে মেয়ে কুমিররা ফেসিয়াল
সেরে নিল
জলদস্যুদেরকে ভালোবেসে নদীরা ঘর বাঁধে
দস্যু নাম কেবলম্
বনভোজন শীতলা মাসের পেটে জন্মায়
আবার কতোখানি বনকে খাবে সে
ডিজে বক্স অহরহ চিল্লিয়ে জানায়
লক্ষ্মণ বলে সাধারণ প্রেতাত্মাদের ক্ষিধে কম।
অংক কোথায়
পা টিপে হাঁটলেই কঠিন জীবন পালিয়ে যায়
নৌকা ছুটি পেয়ে চড়ায় আটকায় স্বেচ্ছায়
বনস্পতিরা কখোন নাক সিঁটকাবে কেউ জানে না।
ঝুঁকে পড়ে কোলে নিতেও পারে
নামচিহ্ন পিঠে
সেই অবেলায় শরীরে অচেনা এক সৈকত
রঙ বদলানো আকাশের অকাজ
তার দিকেই রথযান দেবযান অভিযান ঠেলে নিয়ে যেতে হয়
না দেখা সিনেমার ডাকে শিশুদের মাটির পুতুলভাঙা চোখ চোখে বসেছে।
কবিদের অংককবিতা মরুবালির রেখামালায় রোদ পোহায়।
আকাশের অনেক চোখ
এখন পুরো আকাশটাই পুঞ্জাক্ষি।
পাইলটের ককপিট। জলের যেখানে খুনী জেগে থাকে। নেশামাশুল। তর্পণসিদ্ধ স্রোত চোরা ঘূর্ণিঘর। প্রতিকূল ক্ষয়ে ক্ষয়ে চড়া জেগে ওঠে। সবটাই লিঙ্গের অপভাষায় তৈরি। পিউমিস হয়ে কোনো স্তন জন্মায় না আজও। ক্ষয়রূপা। দেউলিয়া ডাকের সুরে কান সুরবসা। নালাপথ নালীপথ ভৈরব গলির সুরে বয়ে যায়। রোদপাতা ছায়াপাতা নেশা পাতা মেলে সাগরপারের আত্মা ছুটে আসে। হেসে ওঠে আমাদের কলিন্স তোয়ালে আর বাকেট।
অনির্ণেয়
অবাক হবার কিছু নেই নক্ষত্ররা যদি রোজ
ভোরের অপেক্ষায় থাকে
জন ও মানুষের চিরস্থায়ী ঘুমের মধ্যে চাঁদ
উঠে স্থির থেকে ডোবে
নীল মিথেনের মায়ায় গ্ৰহটি আটকে আছে
তাকে প্রতিবার মুক্তি দেয় আগুনচোর হাওয়া
ইঁটভাটার মাটির যৌবন শ্রম দেয়
লাল করতলের ত্রিতাল
সাগর পেরিয়ে যুদ্ধের গন্ধ আসে প্রায়ই
সাদা ভাতে শিউলিঝরন আল্পনা
পথ জুড়ে আক্রোশ ছাপের দাপাদাপি
জানি এখন আকাশ লুঠের সময়
হিসেবের বাইরে যা জমা হয়েছিল ভয়ে
ঢুকে পড়ছে হিসেবের ভিতর।
ঘোড়াপুরাণ
নিজস্ব সমবায় ভেঙে প্রেম পালিয়েছে। হাতের মুঠোয় সততার কাছে গল্প জিতে গিয়েছে। ধামার চোদ্দ গুষ্টি এসে চাপা দিচ্ছে অনুমান। চোখগোল্লা ইতিহাস। পাকা চাষী হয়ে ওঠে গল্প বাবাজীবন। অপাঙ্গে তাকাই কৃষ্ণচূড়ার দিকে। তার আকাশ চুরি করেছিল ব্যালকনি। বলিদানের রক্তে কড়াইতে টগবগ করে ফোটে চাঁপা গাছ। রয়ে গেছে বারমুডা লীলা। চেতাবনি এসেছে ঘোড়ার সঙ্গে কথা বলা শিখে তারপর কোতল করার। শেষে সেলফোন আটকে রাখার গল্প সামুদ্রিক ব্যালকনি ভাসায়। একসময়ের ঘোড়ার সঙ্গে এখনকার ঘোড়ার অনেক তফাৎ।