অ স্মি তা রা য়-র গুচ্ছকবিতা
দেবাঞ্জন
অনেক দিন পর,
আজ তোকে দেখলাম দেবাঞ্জন।
হয়তো অন্য কারোর রূপে;
অন্য কারোর চেহারায়;
অন্য কারোর আবির্ভাবে।
চোখে ভেসে উঠিস,
তুই হঠাৎই..
তখনই মনে জেগে ওঠে
তোর স্মৃতি..
বুকে বেজে ওঠে যন্ত্রণার সুর।
আমাদের একসাথে কাটানো আনন্দের দিনগুলো;
আকাশে রামধনুর মতো
চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে
সারা জীবন।
অস্মিতার বন্ধু হয়ে,
না থাকলেও,
এমন কারোর বন্ধু হোস-
যে তোকে বাঁচিয়ে রাখবে
মা বাবার কোলে চিরকাল…।
পুরুষোচিত
বেঁচে নেই মন,
আছে শুধু শরীর।
মনেরও অঙ্গনে,
যৌনতা গোপনে।
গন্তব্যের পথে,
মানুষরূপী পিশাচের কবলে-
জীবন বীতশ্রদ্ধ।
সুরক্ষিত রাখার আড়ালে
নির্যাতন করে চলেছে যারা
প্রতিদিন রাতে।
ক্ষমতা প্রদর্শনীর
বিশাল আয়োজনে…
বুঝে নিতে চায় তারা
নিজের অধিকার।
সাত্ত্বিক অধিকার
খর্ব হলে,
ঘা লাগে রতিশক্তিতে।
হেরে যাওয়ার ভয়ে
ভীত সন্ত্রস্ত জনগোষ্ঠী
বেড়ে চলেছে ক্রমাগত।
কমছে : আদর্শ
পুরুষোচিত আচরণ
যার ফলে
কিছু প্রজাতি
স্বীকার হচ্ছে
যৌন নিপীড়নের।
অপর
প্রতিনিয়ত কাউকে
না কাউকে;
খুশী করার চেষ্টায়
মেতে উঠেছি সকলে।
ছোট ছোট মুহূর্তে
বাঁচার আনন্দ ভুলে,
চলেছি যেন
মহাপ্রস্থানের পথে…
আবেগ ঝেড়ে ফেলে
আপন করে নিয়েছি ধন।
ঘনিষ্ঠ হয়েছে
মুখোশধারী মানুষ।
স্বয়ং
আজকাল,
সব থেকে বেশি
দেখা করি
নিজের সাথে।
নিজেকে গড়ে তুলছি
এমন ভাবে,
যাতে কিনা
সকল প্রত্যাখ্যানকে
মেনে নিতে পারি
সহজে….
আশার আবেগ থেকে বেরিয়ে,
আবিষ্কার করতে চাই
নিজের ভেতর-
লুকিয়ে থাকা
ঈশ্বরকে।
তাই প্রয়োজন
নিজেকে জানার
নিজেকে বোঝার….।
ত্রুটি
মক্ষি দেহের লাবণ্যে
থমকে যায় পুরুষত্ব।
অলঙ্কারের দীপ্তিতে
শতগুণ মহিমান্বিত
হয়ে ওঠে
আভরণহীন শরীর।
সেতারের তারে
সুর দেয় শিল্পী,
তাকে সঠিক সুরে
বাজাতে না পারলে,
তা শিল্পীর ত্রুটি।
বাদ্যযন্ত্রর নয়।