সৌ মি তা-র গুচ্ছকবিতা
তিন ছক্কা পুট…
এক
ছাল ছাড়া মুরগী হয়ে ঝুলে আছি জীবনের দিকে।
গলা কাটা।
তবু বডি কেঁপে উঠছে তিরতির।
এমন বিবশতা দেখে মানুষের জিভটানা বাড়ে।
দু’কোয়া রসুন বেশী দেয় বাটা মশলায়।
মরা চোখে আশা রেখে প্রভুকে ডাকি।
হে ঠাকুর
আর কখনো মানুষ যেন কোরো না আমায়।
দুই
ধম্মের পাঠ অনেক তো পড়ালে আমাকে।
বলো নি তো আজতক্ পাপের কথা!
যে পাপের স্খলন চেয়ে একে একে শুষে নিলে ছিপছিপে নদী
পার, তল, জল, স্রোত পলিগর্ভসার!
বলো তবে সে পাপের দায় হবে কার?
সত্য অশ্রাব্য হলেও অকথ্য যে নয়
কেন তা স্মরণে প্রিয় থাকেনা তোমার!
তিন
নতুন লেখা লিখতে বসলেই তেড়ে আসে আগের কবিতারা।
তাদের প্রতি করেছি যেন কত না জুলুম!
কতই অন্যায়!
আচ্ছা, তোমারও কি কখনো এমন হয়!
মানে, ধর, এই তুমি হাতে তুললে তোমার চিকন্ প্রেমিকাটির তুলতুলে হাত
ওমনি মনে হল অনাদিকাল ধরে কুপিয়ে যাচ্ছ আমাকে!
আসলে কি জানো,
সম্পর্ক আর কবিতা যেহেতু সম্পর্কিত
ভালবেসে পুঁতে দিলেও লকলকে পাপবোধে ফুটেই থাকে।
চার
আনন্দ ধারণা মাত্র,
বেদনাও তাই।
এই নিত্য এই ব্রহ্ম
ধরে নিয়ে নিজেকে ফেরাই।
বাঁচা সত্য, বাঁচা শক্তি
অযথা চাইবো কেন নরম নিস্তার!
খুলে ফেলেছি দ্যাখো পাখিপড়া যত সহবৎ
যেন গতরাতেরই বাসি ব্রেসিয়ার।