ল ক্ষ্মী কা ন্ত ম ণ্ড ল-র কবিতাগুচ্ছ
আত্মীয়
গরল পান করে নির্জনতা চাইছেন মহাকাল –
দোরগোড়ায় তখন মৃত্যু পরিমাপক যন্ত্র ; তারও বেশি দুর্বলতা নিয়ে পৃথিবী আকর্ষিত হচ্ছে বিভিন্ন বিদ্বেষে – বসে আছে নির্জন আঁকা স্নেহার্ত সময়
কোনো ধ্বনি নেই – প্রতিধ্বনি কিংবা ইশারা-সংকেত –
ইথারে জড়িত কান্না আর সীমিত বিকেল নিয়ে আমি তাঁর জাগরণ পর্যন্ত অপেক্ষা করি –
প্রানিক
কাতরতার মাঝে যে ফুল উড়ে আসে , তার উৎস আলো কিনা জানা নেই – কোনো পাখি কি পূর্ণিমা হতে পারে –
অন্ধকার থেকে মলয় বাতাস নিয়ে চলে যায় রাত্রি – গান দিয়েছিলাম তার ঠোঁটে – কোন হিসেব নেই অকারন অভিসারে –
হঠাৎই আমার বুকের ভিতর শূন্য বিস্তার করেছে রঘুবংশে ফিরে যাওয়া পুষ্পরথ –
প্রতিরূপ
নীল যাজ্ঞবল্ক্যের সমুদ্র দর্শণের পর উড়ে গেছে মেঘ – ভেদ করে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের কাছে এক সুতীব্র অশ্বের আকর্ষণ – চারদিক থেকে উড়ে আসে পাতাপত্র –
সেখানে নিউট্রন শক্তিও হার মানে – এক উন্মুক্ত তারার কাছ দিয়ে অষ্ট বসুর ইচ্ছে উড়ে যায় -মিশে যায় মোহ অথবা চিৎসাঁতার
আকাশের দিকে উন্মুখ নক্ষত্রের কাছে মৃত্যুর হিসেব চাইতেই হারিয়ে যায় পূর্নিমার অস্তিত্ব –
পূর্বাদ্রি
একটি কেন্দ্র বিস্তারিত হতে হতে বিকিরণ করছে উজ্জ্বলতা – তারই সমগ্রতায় উপমাবর্জিত সব চন্দনগাছ – সেই আলোতে হেঁটে চলেছে অংশত মেঘলা আকাশ…
আদিগন্ত জলাশয়ে সন্ধে নামের কেউ নেই – কেবল দিক পাল্টে যায় ভৈরব রাগের শুরু থেকে শেষ – শূন্যের অবশিষ্ট থাকে শূন্য
সূর্যের থেকে দিব্যতার মৃত্যু হলে আমারও মৃত্যু হয় অবশেষে…
নিশ্বাস
মেঘ বিচ্ছেদের গা ঘেঁসে পরপর দুটো বক উড়ে যায় – ডানার নিচে শরীর আঁকা মৃত্যু আর মুক্তি – মুক্তি আবিষ্কার করতে পারে না কোন মৃত্যু নামক সময় –
মৃদু মৃদু আলোর শেষে আমাকেও বুঝে নেয় সমস্ত অরণ্যকাণ্ড
সম্মুখের সুদীর্ঘ পথে সরাসরি রাস্তা – নিশ্বাসের কাছে পরিতাপের নগ্ন শরীর ; অন্ধকার নামে – কয়েকটি ক্ষীণ পিপীলিকা ক্রমশ নিশ্চুপ –
ধ্রুব
উড়ে আসে গোপন বাতাসের অহংকার , কোলাহল থেকে বেশ দূরে নিমগ্নতার সাররূপ – একটা ছোট পাখি বনের প্রতাপ থেকে নতুন অস্থি গড়িয়ে আনে
অস্তিত্বের উপর তোমার ঠোঁটের ভাঁজ ; আহা ! – এই পরম সুরে মৃদু মৃদু আলোর তরঙ্গ আমাকে নিয়ে যায় পবিত্রতার আত্ম রূপায়নে-
কক্ষপথ নিয়ে সমস্ত জনম মহাকাশ হয়ে যায় –