জ য়ি তা ভ ট্টা চা র্য–র গুচ্ছকবিতা
অ-সময়
যখন দিন ফুরিয়ে এলো
তখনও আমাদের কিছু কথা বাকি ছিলো।
কথার ভেতর অন্য কথা,
বৃষ্টি এসে গেলো। তারপর,
ভিজে পথে ভিজে ভিজে ফিরে গেছি বাড়ি।
এখন নিশ্বাস নিতে কষ্ট,
এখন সময় ভালো না।
ছেড়ে যেতে পারো
যখন-তখন।
নীল ফুল,লাল ফুলে ধরেছে পচন,
নয়ানজুলি উপচে কালো জল।
কথাটুকু বাকি রয়ে গেল__
সেই কথা ঝোপে- ঝাড়ে হয়।
এখন সবুজ ক্ষেতে পড়ে আছে ধর্ষিত রমণী।
আলপথে খুন হয়ে গেছে অনিল ঘরামি।
নিশি চাঁদ নিরন্ন বয়স ভারে
ঝুলে থাকে ডালে,
গ্রহণের পথে
সূত্রের পরে সূত্র বেবাক হেরে যায়,
ক্ষিদের প্রকোপে।
দেশে দেশে সেই কথা হয়
নেই যার কোনো সমাধান
রাতের মানুষ আঁধারের গাছ হয়।
ধান
অনন্তর দিকে তাকিয়ে মায়া।
অনন্ত বেড়ার পাশে খুঁটি পুঁতে নিশান করে রাখে।
মায়া প্রতিটা মরসুমে গর্ভবতী হয়।
মাঠ ভরে যায় বনস্পতি।
মায়া জানে এ গ্রহের নাম ধান।
এ গ্রহ নারী জানে অনন্ত।
ওদের উঠোনে ছাপকা শাড়ি ওড়ে
ওদের উঠোনে দুঃখের মতো মেঘ ভাসে।
ধান
ভরে যায় একদিন সমস্ত দরিদ্র বাতাসে…
ঘর
যখন সব কিছু খরচ হয়ে যায়,
মেয়ের নাম রাখি ঈশ্বরী।
চৈতালি বাতাসে এলোমেলো নীড়,
নষ্ট
ঝড়ে।
সব পাখি ছেড়ে গেছে ,
ভাঙা বাসা;
জাত সাপ
কাঁটা বিষ
এক ছোবলেই শেষ।
আমার ছেলের নাম
সিদ্ধার্থ হলে
সেও কি চলে যেত মা-কে ফেলে?
আমি দেবদাসী, নগরের,
নগ্ন শরীর ঝলসে পোড়া
গাজনের সং,
কাঁটার ওপর দাঁড়িয়ে।
রঞ্জাবতী আঁধার রাতে শরীর বেচে হাটে-বাটে।
দুপুরে
ঘুঘু ডাকার দুপুর
লুকোচুরি,ছোঁয়া-ছুঁয়ি।
আঁশ ঠোঁটে চুমু খায়
মাছরাঙা,মায়াবী আলোয়।
এ শহরে মৃত্যু নেই
নেই জন্ম অথবা বিবাহ।
এখন স্বপ্ন শহরে বাস
নাতিশীতোষ্ণ ঘর-দুয়ার।
এইসব দুপুরে আমার জ্বর আসে রোজ।
পাখিরালয়
আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ,
বিকেলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
স্বপ্ন এখন মাধবীলতা
পাতায় পাতায় জড়াজড়ি।
তোমার অরূপ সিক্ত করে,
নদীর মধ্যে আরেক নদী।
ঠোঁটে ঠোঁটে কথা বলে
পাখির প্রণয়।
খড়কুটোতেই বাসা করে,
একটি ঝড়েই ভেঙে যাবে।
কে না জানে!
তেমন হলে শুষে নেব
এক নিমেষে
তোমার আগুন।
তেমন হলে ডুবে যাবো
চোরবালিতে
চোরবালিতে।।