একটি ননসেন্স গদ্য

[contact-form][contact-field label=”Name” type=”name” required=”true” /][contact-field label=”Email” type=”email” required=”true” /][contact-field label=”Website” type=”url” /][contact-field label=”Message” type=”textarea” /][/contact-form]

 ★আহাম্মকের গদ্য★

                                                                                                ছবি গৌতম মাহাতো

নতুবা কোনও তিরস্কৃত দৌহিত্রির চ্যাংদোলা মার্কা গগল্সের প্রান্তে ফিনফিনে টোকা দিতেই খুলে এলো সেই সদ্যজাত পিন।এই সময় তোমরা বলে উঠবে মরহব্বা.. মরহব্বা..
তখনই পিছলে পড়বে অগনিত নিরাকার।আসলে আমরা প্রত্যেকেই সাংখ্য ব্যবহার করি,ভাবে জন্ম নিই আবার পটলও তুলি।গোপনে।আর সে সবই প্রকাশিত হয় অজান্তে সর্ব সমক্ষে।
‘ধরিলাম তাহাদের ব্যাড়া আর আমার ছাগলের সাথে বিশেষ পরিচয় নাই।নাই বলিয়াই চতুস্পদের কোনও রূপ আনন্দ বর্ধক ক্যাপস্যুল ব্যবহারের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা আপাতত দেখি নাই…’
এই বিশেষ মুহূর্তটিকে ক্যাপচারের জন্য আমি সম্পুর্ণত নির্ভরশীল হই বিশেষ বুদ্ধিজীবি মিঃ কাকেশ্বর কুচকুচের।অনন্ত তাঁর পাণ্ডিত্য।তিনিই আমায় পোত্থোম অঙ্ক কষে বুঝিয়ে দ্যান -দরজাটা বন্ধ কর।আসলে তা না মার্কোপোলো যে গবেষনাটা করছিলেন সেটা মূলত আহাম্মকির বুৎকারের।তাই চোখ খোলার সাথে সাথে সকাল হয় আর সকাল হলেই আমার প্রাতঃক্রিয়া হাত ধরে নিয়ে যায় বিচিত্র নগরের দিকে।সে এক অনন্ত নির্বাণ।নির্বাণ আবার কয়েক প্রকারের,গঠনগত দিক থেকে আমার উল্টো হাঁটার কথা বা নৈমিষারণ্যে ভুক হরতাল করা উচিৎ কিন্তু হল না।হল না মানে ইয়ে ওই -দরজাটা বন্ধ কর, দরজা বন্ধ।আর দরজা বন্ধ মানে আমি খরগোসের যথার্থ সহোদর।জানি তোমরা বলবে মরহব্বা… মরহব্বা…
কিন্তু মোহাই তা বললে তো আর অঙ্ক হবে না!! অঙ্ক মিলবে উত্তরে সাড়ে ২৫ক্রোশ তিন ছটাক পদাঙ্কের পর।তার জন্য দরকার একাগ্রতা আর অনন্ত ধৈর্যের।আর এই ধৈর্যের যথার্থ পরীক্ষা তখনই হবে যখন বুম্বাদার একটা আস্ত মিমিক্রি দেখবেন ২ঘন্টা সাড়ে পঁচিশ মিনিট মাথাটা পায়ে রেখে,হুঁহু…বাওয়া সাধনা কি অত্ত সোজা বস্তু!!!!!

            ***     ***    ***
বিগলিত চোখে এতক্ষন শুনছিলেন আলিন্ডিয়া রেড়িও।”বালতি যে দুধে ভরে গ্যালো ঘোষ মোহাই!! –ভরবে না!! কোপিলা গো খাদ্য কি এমনি এমনি খাওয়াই”।কেউ কেউ হয়তো বলতেই পারে আমি তো এমনি চেটে চেটে খাই।তা খান।এখানে আবার কি বাচক প্রশ্ন করলে সেন্সারে ঘ্যাচাং ফু..কারণ সবাই সবার পিছনে আর সবার হাতেই কাঁচি।কাঁচির কথায় মনে পড়ল আজ আবার বেসপত্তিবার,এই দিনগুলোয় ইয়ে নাকি আবার বড় ছোট হয়।তো যাই হোক টেবলের ওপর রাখা দুটো কাঁচি দিয়ে W বানাতে গিয়ে বুঝলাম লুঙ্গিটা আমার জন্য নয়,তার আদর্শ আমার পাগড়ি হতে পারে কিন্তু কাছা মারলেই কেলো..বড় রাস্তাটাও তার তলায় সামান্য লেগে থাকে।আর সেটা বাড়তে বাড়তে বুক ছাপিয়ে মাথা হয়ে মস্তিস্কের অভ্যন্তরে অবলীলায় বিচরন ও বিস্তার ঘটে।এই রাস্তার ধারে একদিন হিসু করেছিলেন অ্যান্ড্রুজ নিকোলস্কি।তার জিপ টানতে গিয়ে সেখানেই অনুভব করলেন সেই সামান্য চেনের এপারে কি নিরঙ্কুশ অন্ধকারের সংখ্যা গরিষ্ঠতা।আর আমরা প্রতিটা মিনিট প্রতিটা সেকেন্ড আর সেকেন্ডের ভগ্নাংশে মিশে যাচ্ছি সেই অলিখিত অন্ধকারের গহ্বরে।কেষ্ট গহ্বর!! কে জানে? হয়তো..হিসেব কষে একদিন হয়তো বলবে মিঃ কাকেশ্বর কুচকুচে…আর তোমরা সবাই সমস্বরে বলে উঠবে
মরহব্বা…… মরহব্বা……

                  ********

হাতিয়ার তো বুমেরাংও।অতএব আমাদের বুদ্ধি আজ আর বোধহয় মিত্রশক্তির আওতায় নেই(আশঙ্কাজনক শব্দ)।বিশ্বাসের গলায় পা রেখে টেনে নামাতে চেষ্টা করছি কিছু ভাবধারা।একটা অপশক্তিকে হটাতে সন্তর্পনে মদতপুষ্ট হচ্ছে আরও এক অপশক্তি।না না সেই ভুত আর সরসের কথা পুনরুত্থানের বিন্দুমাত্র চেষ্টা আমার নেই।আসলে আক্রমন পশুও করে,তবে তা নিতান্ত নিরুপায় হয়ে(অরণ্যের বিশ্বাস)।কিন্তু আমরা করি এমনি এমনি।তক্ততাজের নিমিত্তে।এখানে আবার আক্রমন আর প্রত্যাঘাত দুটো গুলিয়ে ফেলবেন না খুড়ো।আমার খোলসটা বেশ গান্ধি গান্ধি টাইপ।আসলে অন্যকিছু না আমি সর্বগামী(অদ্বৈতবাদ অবলম্বনে)।
অতএব “পাগলা খেটে খা”
একটা পিঁপড়ে মারা যাওয়ার পর যদি বাকি পিঁপড়েরা বেশ শ্রাদ্ধানুষ্টান যথানিয়মপূর্বক সমাধা করেও তবে কার বাবার কি।অন্তত আমার বাবার কিছু যায় আসে না।কারণ আমি এইটুকু জানি পিঁপড়ের জীবন সাড়ে তিনদিন।আর তাদের বুমেরাং মুখি সেই বুদ্ধিও নেই।অতএব ফেউ ভামদের পাগলু ডান্স ডান্স ডান্স……এই ধরুন মনুকাকা বললেন ইস্তিরি লোকের ইয়ে মানে… না থাক।নেপোয় দই মেরে দিতে পারে এই সুযোগে।কি দরকার বাওয়া।ছা পোষা মাল ছারপোকা চাষে বিশেষ প্রয়োজন বোধকরছি না।এমনি তো মানুষ যেমনই হোক সে আমার তো কোনও খেতি করে নাই।তবে খামখা আখের রস পুঁই ডাঁটায় ঝেড়ে লাভ কি কত্তা।
এই যে ধরুন আমি যদি বলি
“রাজা তোর কাপড় কোথায়!” মাকালি বলছি গেদে ক্যালাবে মাইরি,কি দরকার বাওয়া আমার তো আমে কাজ বাগান দেখে কি বগল বাজাব??
হুঁ হুঁ ভাববেন নি কত্তা আমি ভেদো মৎস্য!
সব বুঝি এটা অন্য কথা যে আমি কিছু করার মুরোদ আমার নাই
তাই খাই দাই আর বগল বাজাই
তবে আমার মিত্রশক্তি ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে আর বুমেরাং নামক একধরনের অতি কার্যকরি হাতিয়ারও নাকি ছিল…

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *