নিরাপদ আশ্রয়ের অধিকার – আলেহো কার্পেন্তিয়ের

পর্ব-২

              নিরাপদ আশ্রয়ের অধিকার 

                  আলেহো কার্পেন্তিয়ের

          ইংরেজি থেকে অনুবাদ : শৈবাল কুমার নন্দ

                                                             ছবি গৌতম মাহাতো

               ঢুকে পড়, যেখানে কেউ চেনে না তােমায়। তােমার একমাত্র আশা কোন লাতিন আমেরিকান দূতাবাসে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজা। তুমি সুন্দর মেহিকান দূতাবাসের কথা ভাবাে, যেটাতে ফ্ল্যামবয়েন্টস ফুলে ভরা বিশাল বাগান রয়েছে। তুমি ব্রাজিলীয় দূতাবাসের কথা ভাবাে, যেটাতে ছিমছাম একটা সুইমিং পুল আছে। ভেনিজুয়েলান। দূতাবাসের কথাও তােমার মনে ঝিলিক দেয়, যেখানে একটা বিশাল চমৎকার লাইব্রেরি আছে ও প্রাতরাশে ভুট্টা দিয়ে বানানাে প্যানকেক দেওয়া হয়। কিন্তু ওগুলাে সবই বেশ দূরে দূরে। এবং যেহেতু তুমি মিরামমান্তেস প্রাসাদের চৌহদ্দির মাত্র একশাে গজের মধ্যেই থাকো, তুমি পকেটে আজ সকালে দু-এক পেসার বেরােও নি। তাছাড়া, মাবিলানের বাহিনী শীঘ্রই লাতিন আমেরিকান দূতাবাসগুলাের সংলগ্ন এলাকাগুলাের দখল নেবে যাতে লােকজনেরা ওখানে নিরাপদে আশ্রয না নিতে পারে।। বেশি আর কিছু নিয়ে হঠাৎই অলৌকিক শক্তির অধিষ্ঠাত্রী নামকরা অঘটন পটীয়সী ভার্জিন অফ দ্য ওয়াইল্ডারনেসের পড়ার মত তেতলা বাড়ির সামনে যার এক তলার ব্যালকনিতে লাতিন আমেরিকান একটা দেশের পতাকা দেখা যাচ্ছে; পতাকাটাতে সাদা লম্বাটে দাগ রয়েছে ও এটার ওপরে জাতীয় অস্ত্রশাস্ত্রের ছবি : দুটো প্যান্থার ওৎ পাতা অবস্থায় – কিন্তু সদা সতর্ক – একটা সােনালী ত্রিভুজ উপরের দিকটাতে যার মাঝেই দুজন মহিলা মিলিত হাত দিয়ে (একজন ইন্ডিয়ান ও আরেকজন শ্বেতাঙ্গিনী, এমন এক দেশের যেখানে সাদা চামড়ার মহিলারা কখনাে ইন্ডিয়ানদের সাথে কথা বলে না) ভেঙে টুকরাে করে দিচ্ছে অত্যাচারের শেকল। এই ছােট্ট দূতাবাসের অন্য দিকে গােমেজ ভাইয়েদের একটা হার্ডওয়্যারের স্টোর। উল্টো দিকে বিশাল এক আন্তর্জাতিক উত্তর আমেরিকান বিপনীর শাখাকেন্দ্রের গীর্জার মােড়টাতে ঘুরে, তুমি থামাে একটা ছােট্ট এক নজরে না দেওয়াল যেটা গােটা মহাদেশ জুড়ে রমরমিয়ে এর ব্যবসা চালাচ্ছে। কোন দ্বিধা নয়। তুমি ভেতরে ঢােকো। ছােট্ট ক ধাপ সিঁড়ি পেরােও। দূতাবাসের দরজায় নক করাে, যেখানে একটা ফলকে ঘােষনা করা আছে বেলা এগারােটার আগে কেউ ভেতরে ঢুকতে পারবে । রাষ্ট্রদূত পাজামা পরা অবস্থাতে দরজা খুলে দেন। “আপনি কি নােটিশটা দেখেন নি?” আলতাে ভাবে তাকে একপাশে সরিয়ে তুমি আলাের মুখােমুখি একটা আরাম কেদারার ওপর নিজেকে ছেড়ে দাও। “আমি এখানে আপাততঃ থাকছি,” তুমি বলাে। প্রথমে চিনতে না পারার জন্য। কিন্তু এখন এই জানালা দিয়ে আসা সূর্যের আলো “আমি ঠিক বুঝলাম না, মিঃ একান্ত সচিব, এবং দয়া করে মাফ করবেন আপনাকে “প্রাসাদের বাহিনীও জেনারেল মাবিলানের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে যােগ দিয়েছে। দেশের সরকারের প্রতিনিধিরা বন্দী হয়েছে। আমি কোন রকমে পালিয়ে গ দিয়েছে। গােটা এসেছি। ১৯২৮ এ হাভানাতে প্যান আমেরিকান সম্মেলনে ঘােষিত উচ্চ মানসিকতা সম্পন্ন নীতি সমূহ অনুযায়ী আমি এই দূতাবাসে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এসেছি।” রাষ্ট্রদূতের মুখ রক্তাভ হয়ে ওঠে, এবং তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন : “কিন্তু এটা অসম্ভব, আমার প্রিয় মহাশয়। অসম্ভব। আমি একটা গরীব ও খুব ছােট্ট এক দেশের রাষ্ট্রদূত। আপনি জানেন, অন্য যে কারাের থেকে ভালাে করেই জানেন, আমাদের মত কিছু দেশের রাষ্ট্রদূতেরা কি শােচনীয় পরিমান ভাতা পেয়ে থাকেন।” | “আমি প্রতি মাসে আমাকে পাঠানাে প্রায় পাঁচশাে পেসাের মত ব্যবস্থা করতে পারি, তুমি বলে ওঠো। একজন মহিলার গলা শােনা যায় তােমার পেছন দিকে: “একজন মানুষের থাকার। জন্য আমাদের একটা খুব সুন্দর ঘর রয়েছে, শুধু ও ঘরটা থেকে কয়েকটা সুটকেশ বের। করতে হবে।” তুমি ঘাড় ঘােরাও। রাষ্ট্রদূতের পত্নী, সুন্দরী এক মহিলা, পরনে এক চমৎকার কিমিনাে» যেটা তাঁকে জাপানী কনসালের পত্নী দিয়েছেন, তােমার সামনে। তুলে ধরেন এক কাপ কফি। “আমি আশা করি আমাদের দুজন বেশিবয়সী মানুষের সঙ্গ তােমায় খুব একটা বিরক্ত করবে না।” জরুরী অবস্থা জারি হল বিকেল চারটেতে যতক্ষণ না পরবর্তী নির্দেশ আসে। রাত আটটাতে জেনারেল মাবিলান জাতির উদ্দেশে ভাষন দেবেন, এবং আটটাতে তিনি সত্যিসত্যিই জাতির উদ্দেশে ভাষন দিতে গিয়ে, প্রথমে স্বাধীনতাযুদ্ধের নায়কদের প্রসঙ্গ তুললেন, ভবিষ্যতে স্বাধীনতা ও সামাজিক ন্যায় ফিরিয়ে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন, দেশের পতাকা ও সেনাবাহিনী যে গৌরবময় ঐতিহ্য তুলে ধরেছিল, এবং আরাে অনেক গুরুগম্ভীর কথা একই রকম ভাবে বলে গেলেন।ঐ দিনের গৌরবময় ঘটনাগুলােকেও আমেরিকার মহান মানুষদের আদর্শবাদের সঙ্গে একাত্ম করলেন, এবং অন্যান্য অনেক জিনিসের সঙ্গেও একইরকম ভাবে একই করে দিলেন। তিনি ঘােষনা করলেন যে মঙ্গলবার একটা স্বাভাবিক দিন হিসেবেই গন্য হবে – যদিও কারফিউ তখনাে বিকেল চারটেতেও জারী থাকবে। সবশেষে তিনি ঘােষনা করলেন মহান জনপরিষেবামূলক কাজগুলাে শুরু হবে একদম দেরি না করেই : কাম্বােকারা বাঁধ, কোসাল নদীর ওপর সেতু – যেটা স্থাপত্যবিদ্যার এক অঘটন; পশ্চিমমুখী রেলপথ; এবং নুয়েভা করদোবা৪ থেকে পুয়েরতাে কাদেনাস পর্যন্ত মােটর চলাচলের সড়কপথ বানানাে। “তারা খুবই তৎপর হয়ে উঠেছে”, তুমি বলাে, “এখনাে তারা শাসন পরিচালনা শুরুই করে নি, অথচ ইতিমধ্যেই তারা লুঠেরাদের মত হয়ে উঠেছে। শুধু একবার ভাবুন তাে স্লিপার, রেললাইনগুলাে, পেরেক, রেলপথের পাথরকুচি, টেলিগ্রাফের খুঁটিগুলাে যেগুলাে সব পশ্চিমমুখী রেলপথ তৈরিতে লাগবে সেগুলােতে কত দালালি পাওয়া যাবে সড়কপথটার ব্যাপারে, তাদের খেলাটা সহজ ও চিহ্নিত করা অসম্ভব : অনুমােদিত এমন কি রেলইঞ্জিন, সেতু ও স্টেশনগুলাের জন্য নিলামে টেন্ডার ডাকার আগেই। সড়ক পথটার ব্যাপারে,তাদের খেলাটা সহজ ও চিহ্নিত করা অসম্ভব:অনুমোদিত নকসাতে দেখানাে হবে আট মিটারের এক প্রস্থ; যখন আপনি ওর ওপর গাড়ি চালাবেন, দেখা যাবে প্রস্থ দাঁড়িয়েছে সাড়ে সাতে। একবার কল্পনা করুন চারশাে কিলােমিটারে লাভ তাহলে কততে দাঁড়াচ্ছে।” ঐ রাতের শহরে গুলিগােলার আওয়াজ শােনা গেল। “কি মুর্খতা!” রাষ্ট্রদূত বললেন। “লাতিন আমেরিকার ক্ষমতা দখলের অভ্যুত্থান সবসময়েই সফল হয়।”
           “এর সবচেয়ে খারাপ দিকটা হল, যে লাশগুলাে পড়ে সেগুলাে কখনােই কান্ট্রি ক্লাব বা ধনীরা যে জেলাগুলােতে থাকে সেখানকার লােকেদের হয় না,” তুমি বলে। “লাতিন আমেরিকার অস্ত্রাগারগুলাে গরীবদের মেরে ফেলার মধ্যেই নিজেদের আটকে রেখেছে।”

                                 

 আরেকটা সােমবার (কোনটা তাতে কিছু যায় আসে না) 
আমার একঘেয়ে লাগছে। এক ঘেয়ে লাগছে। আমি বিরক্ত হয়ে উঠেছি। এবং আমার চারপাশে যে জিনিসগুলাে ঘিরে রয়েছে সেগুলাে আমার বিরক্তি যেন নতুন করে বাড়িয়ে তুলেছে। আমার এ অবস্থার কারণ কিন্তু এই নয় যে যে কোন মুহূর্তে বাইরে বেরােতে পারি না, এমন কি সিনেমা-থিয়েটারের হলটাও আধখানা ব্লক পেরােলেই (দুজন সেপাই এখন সবসময় দূতাবাসের ফটকে মােতায়েন) আমার বিরক্তির কারণ এটাও নয় যে আমার থাকার জায়গাটা পরিণত হয়েছে একটা সরু বিছানা সমেত বেডরুম ও ক্যাম্পবেলের স্যুপের বাক্সের( যেটা দিয়ে বিছানার পাশের ছােট টেবিলের কাজ চলছে) মধ্যে, দেওয়ালে ঝােলা জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানীর একটা ক্যালেন্ডার (যেটাতে পরপর কলােরাডাের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, দ্য গােল্ডেন গেট, দ্য রকি মাউন্টেনস, ট্রাউট মাছ ধরার ছবি সমেত আরাে কিছু ছবি রয়েছে) ও ফনােগ্রাফ রেকর্ড নির্মাতাদের একটা সংস্থার আরাে একটা ক্যালেন্ডার, যেটাতে তখনাে অবশিষ্ট সেই পাতাগুলাে যেগুলাে উৎসর্গ করা হয়েছে ওয়ান্দা লান্দোসকাণ, আল জনসন, এলিসাবেথ স্কোয়ারসকফ, লুই আর্মস্ট্রং, দাভিদ ওইসত্রাখ, এবং তাতুম শিল্পকলার উদ্দেশ্যে। এগুলাের মধ্যে সবচাইতে খারাপ হচ্ছে বাইরের দৃশ্য। অঘটন পটীয়সী ভার্জিন অব দ্য ওয়াইল্ডারনেস গীর্জাটির পূর্বদিকের ধনুকের মত খিলানটি গড়ে তুলেছে এক পুরােপুরি খাড়া এক বাধাপ্রাচীর যা ফ্ল্যাটটার খাবার ঘরের জানালার মাঝ দিয়ে দেখা যায়। এই স্বাভাবিক স্থাপত্যশৈলী শােভিত চোঙাকৃতি গড়ন, যা ১৯১০ এ বিশুদ্ধতম গথিক রীতিতে নির্মিত হয়েছিল, সবসময় আমায় বিব্রত করে পরিষেবাসংক্রান্ত লাতিন শব্দগুলাে দিয়ে। এখন কিন্তু আমি আমার অন্তর দিয়ে জানি সান্ধ্যস্তোত্রগুলাের প্রতিটা শব্দের অর্থ ; এবং, দিনের পর দিন এই ঘরবন্দী অবস্থায় কাটানাের পর, অবশেষে আমার সমস্ত বার ও তারিখের হিসেব গােলমাল হয়ে গিয়েছে। আমি সামনে গােমেজ ভাইয়েদের লােহালক্কড়ের বিশাল দোকানটার দিকে তাকিয়ে থাকি (যেটা ১৯১২তে চালু হয়েছিল, যে কেউই সামনের লেখাটাতে পড়তে পারে), এবং দোকানটাতে বিক্রি হওয়া কতকালের পুরনাে তারিখের হিসেব না পাওয়া জিনিসগুলাে দেখতে দেখতে মগ্ন হয়ে পড়ি। মানুষের শিল্পের ইতিহাসের ক্ষেত্রে, প্রাক ঐতিহাসিক সময় থেকে বৈদ্যুতিক আললা আবিস্কার পর্যন্ত, গােমেজ ভাইয়েদের বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা জিনিস ও সরঞ্জামগুলাের মধ্য দিয়ে সমস্ত কিছু চোখের সামনে মেলে ধরা হয়েছে : ইউলিসিসের ব্যবহার করা কাছি, কপিকল, এবং দড়াদড়িগুলাে; বিভিন্ন ধরনের দাঁড়িপাল্লা ও বাটখারা যা অনেক পিছনের সময়কে মনে করায়, যখন মানুষ আন্দাজে বা পিস হিসেবে ফল, মাংস ও মাছের বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছিল, এবং তার বেচাকেনার জিনিসপত্র ওজন করতে শুরু করল, এভাবে ব্যবসা বাণিজ্যের মধ্যেও আইন-আদালত ও বিচারকদের অন্তর্ভুক্ত করল; অসংখ্য ছিদ্রময় পাথর দিয়ে বানানাে খল ও হামানদিস্তাগুলাে, মনে করায় এ দেশের সেই আদিম যুগের মানুষেরা এগুলাে ব্যবহার করত; বড় ও ছােট নেহাইগুলাে, প্রাচীন কিংবদন্তিগুলাে মনে করায়; এক ডাকিনীর বিশ্রামের সময়ে লাগা কড়াইগুলাে, চৌকো করে কাটা স্পেনীয় পেরেকগুলাে, আধ বিঘত পরিমান লম্বা, ঠিক সেগুলাের মত যেগুলাে বেঁধানাে হয়েছিল খ্রস্টের শরীরে এবং কয়েকটা খুব জগদ্দল লম্বা বাঁটের কোদাল যেগুলাে স্থানীয় গ্রামবাসীদের খুব পছন্দের জিনিস, এবং সেই একই আকারের এবং মজবুত, শক্ত হাতলের ঠিক যেগুলাে শশাভা পায় মধ্যযুগীয় বিভিন্ন সময়ের বইগুলােতে কৃষিকার্য ও রাখালিয়া জীবন (প্রায় সবসময় মার্চ মাসের সঙ্গে যুক্ত) সংক্রান্ত ক্ষুদ্র চিত্রগুলােতে দেখা কৃষকদের হাতে।
     ভেতরে ভেতরে এ সমস্ত একঘেয়েমিতে প্রায় অসুস্থ হয়ে, আমি সামনের জানালাটার দিকে এগিয়ে গেলাম, যেটার মুখােমুখি ছিল ঐ বিশাল আমেরিকান ভান্ডারের খেলনা সংক্রান্ত বিভাগটি। এবং সেখানে, গীর্জা থেকে আসা সমস্তরকম সাড়াশব্দ, পাঠদান এবং নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানাদির মধ্যেও, গােমেজ ভাইয়েদের লােহালক্কড় ও যন্ত্রপাতির দোকানের আধুনিক বাসনপত্রের সেকেলে ভাব সত্ত্বেও, ডােনাল্ড ডাকও ছিল সদাই অচঞ্চল ও নিজের জায়গাতে স্থির ভাবে আসীন। সেখানে সে ছিল, পেস্টবাের্ড দিয়ে বানানাে তার জীবন, তার কমলা পাগুলাে সমেত, দোকানের জানালার এককোনে, ছােট্ট রেললাইনের উপর চলন্ত রেলগাড়িগুলাের, মােমের ফল দিয়ে সাজানাে ডিশেভরা টেবিল, কাউবয়দের পিস্তলগুলাে, তীরেভরা তুনগুলাে এবং রঙীন পুঁতিবসানাে একটা ডান্ডা সমেত খেলনা ঘােড়ার গাড়িগুলাের এই গােটা দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রন করছে সে। তার জায়গাতে ছিল সে, যাদও সারাদিনে ডজন খানেক বার সে বারবার বিক্রি হচ্ছিল, যখনই কোন একটা বাচ্চা খুজছিল “ওই যে ওটা,” জানালার কোনেরটা, এক মহিলার হাত তার কমলা পা দুটো ধরে তাকে সরিয়ে দিয়ে আরেকটা একই রকমের ডােনাল্ড ডাককে রেখে দিচ্ছিল তার  জায়গাটাতে। একটা জিনিসের বদলে ঠিক আরেকটা ওরকম জিনিসের এই অবিরত  অনুমােদিত প্রতিস্থাপন, একই স্তম্ভমূলে স্থির দাঁড়িয়ে থেকে,আমাকে শাশ্বত নিত্যতার কথা মনে করালো।

                                                           ক্রমশ

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *