★ ★★★ ★
ছবিঃ গৌতম মাহাতো
সমুদ্র-সংযোগ
কিছুকাল নিঃসঙ্গ…
রৌদ্রতা বিনিময় ক’রে
পাতায় পাতায় খুঁজি
জীবন সংযোগ,
বাতাসের কানে কানে
গোপন না রেখে কিছু
ঢেলে দিই…
চুয়াল্লিশ দুর্ভোগ!
তারপর ক্রমাগত
স্রোত বেয়ে বেয়ে
সেই তো
সমুদ্র খুঁজে নেবো,
ছায়ায় ক্লান্তি এলে
জড়তার নিদ্রা দূর ক’রে
দুজনে – দুইভাবে
ডুব দেবো !
ব্রাত্য
রক্ত গড়িয়ে পড়ে মাটি ভিজে লাল
তোমাতে শান্তি খুঁজি পলাশ বিকাল
কৃষ্ণচূড়ার সাঁঝ আলতো স্পর্শে
প্রসন্ন রাত চাই
এক ডজন ভবঘুরে
সমুদ্র থেকে
পাহাড়ের কোল
পাহাড় থেকে জঙ্গল
নগর গ্রাম ওদের দখল
গাছের তলায় ঘাসের বিছানা
নিকষ আঁধার কিংবা সফেদ জোছনা ।
বৃষ্টির সাথে বোঝাপড়া
তাপিত রৌদ্রের সাথে পসরা
হাট মেলা বাস ট্রেন তৃণাসন
বিশ্বের প্রতিটি প্রাঙ্গণ
আমি…
আর এক ডজন ভবঘুরে ।
আমি খুঁজি শান্তি
ওরা কিছু খোঁজেনা
কিংবা কী যে খোঁজে
আমি স্বার্থপর… তা বুঝিনা ।
উদ্বাস্তু
সময়ধারায় গড়িয়ে যাচ্ছে জীবন
থাকে না তাই নিত্য নিথর হয় ভুবন
ঘরে বাইরে অবিরাম মন ছিন্ন
আমি সহসা আমাতেই আজ ভিন্ন !
কেউ দেশ কেউ সমাজ বা রাজনীতি
পিষ্ট হয়েই , ছিন্ন করছে প্রীতি
আমি নিজেতেই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে কিন্তু
হবো ঠিক দেখো সত্যিই উদ্বাস্তু !
রোদ্দুর
আমিও
মহিনের ঘোড়া হতে চাই
কচি চাঁদে
চুমু দিয়ে তৃষ্ণা মিটাই
বাউলিয়া
মন খুঁজি মনের ভিতর
রোদ্দুর
হতে চাই ভীষণ প্রখর
হৃদয়ে ধুলো উড়ে যায়
এক
সময় বদলে যায় তুমিও যাও বদলে
সূর্য আবির ঢালে পশ্চিমে বিকেলে।
একঝাঁক জোনাকি আসে না সন্ধ্যায়
তোমাকে ডাকি না আর কোনো কবিতায়।
এখন তো শালিকেরা মাতে না ঝগড়ায়
হৃদয় শুকনো ক্ষেত , ধুলো উড়ে যায়।
দুই
এর আগে কখনো
এই ভাবে জ্বলে যাবো ভাবিনি ,
জ্বলবার আগে
অন্তত একত্রিশ বার আশা ক’রেও
অপূরণ থেকেই গেলো পূর্বের মতো ।
জ্যোৎস্নার ফেনায়িত কোলে শুয়ে
দখিনা জানালা খুলে
পদ্মপাতার ওপর মুক্তশিশির দেখে
মনে খুশির জোয়ার তুলে
জ্বলবার সাধটা অধরাই থেকে গেল।
একবার সাধ মিটে গেলে
প্রিয়জনের মানা উপেক্ষা ক’রে
মৃত্যুর পরও হেঁটে ফিরে আসবো বাড়ি,
তোমার খবর নেবো…
আমাকে ছেড়ে কেমন আছো
দুঃস্বপ্নের পথে পথে !
★★★