১
ভোর চারটেই জেগে ওঠে দৌড় লাগায় মাঠে
তিনটি ঘন্টা সাঁতার কাটে ঘোষ পুকুরের ঘাটে।
তারপরে জিম যায়
কিছু পাতা নিম খায়
বাগবাজারে বিকেল বেলা খালি পায়ে হাঁট
২
ফুটবল খেলতে গিয়ে নিধুবাবুর ছেলে
লাফ মেরে দৌড় দিলো জুতো জোড়া ফেলে।
এমন কি ঘটেছিল ?
একজন মোটে ছিলো
হাঁক মেরে বলেছিলো,”মারবো তোকে পেলেই”।
৩
চলো তবে গান গাই গাছের’পর চড়ে
আলপিন ফুঁড়ে দিই হাঁক মারি জোরে।
ভেংচে মুখ হাসবো
নাকি সুরে কাশবো
সুড়সুড়ি কানে দিয়ে পালিয়ে যাবো দৌড়ে।
৪
ওই দেখো দেখা যায় আকাশটা নিল
তার কাছে উড়ে যায় কতোগুলো চিল
সাদা রঙের মেঘের ভেলা
করছে যেন মজার খেলা
প্রকৃতির সব কিছুই ছবির সাথে মিল।
৫
আমার সাথে কুস্তি করে জিতেনি কেউ আজকে
যতই বড়ো কুস্তিগির বাসন গিয়ে মাজ গে;
আমার সাথে পারবি না
কথা দে তুই মারবি না
তবেই আয় কুস্তি করি যাস ভুলে তুই কাজ কে।
৬
দুটি পাখি উড়ছে দেখো মনের সুখে আকাশে
কি মিষ্টি লাগছে ওদের যেন ছবি আঁকা সে।
ঘুরে ফিরে গাছের ডালে
আসছে ওরা কি খেয়ালে
তাকিয়ে দেখি দুটো ডিম সাজিয়ে ছিলো রাখা সে।
৭
নদীর খালে জমা হয়ে সব রাখালের গাই
মনের সুখে বুক ভরে খুশিতে জল খায়
তার পরে উঁচিয়ে গলা
মাঠের পানে এগিয়ে চলা
সবুজ যতো ঘাস জমেছে ওটা খাওয়া চাই।
৮
বনের পাশে একটা হনু খুব জোরে নাক ডাকত
বনে কোথায় ভালো খাবার সবার খোঁজ রাখত।
সারা দিন আরাম করে
রাত হলে বেড়ায় চরে
নদীর কাছে ভেজা কাদা সারা শরীর মাখত।
৯
শেয়াল মামা ভারি চালাক লুকিয়ে শুধু থাকে
মুরগি, হাঁস পেলেই দেখা জাপটে ধরে তাকে।
পেট ভরে আহার করে
গর্তে ঢুকে বসে পড়ে
সেখান থেকেই সারা বনের সব খবর রাখে।
১০
বিমল বাবু আলো জ্বেলে বসে নিয়ে ছাতে
লেখেন ছড়া মজার যতো উঠে আসে রাতে।
তাই নিয়ে ভোরে উঠে
সম্পাদকের বাড়ি ছুটে
দিয়ে আসেন হাসি মুখে সেই ছড়া হাতে।
১১
গল্প লেখেন সমর বাবু বলছি নাকো ভুল
সব গল্প সত্যিই ওনার দিচ্ছি নাকো গুল
লিখে ভূতের গল্প
নাম পেয়েছে অল্প
তাই ভূতেরা পেলেই দেখা টানেন মাথার চুল।
১২
অদ্ভুত ছড়া লিখে নাম পেয়েছেন বেশ
ছড়া লিখেই সাদা ওনার হয়ে গেছে কেশ।
বলেন আরও লিখতে হবে
সব কিছুই শিখতে হবে
তবেই তোমায় এক নামে চিনবে সারা দেশ।
★★★