অ ম লে ন্দু চ ক্র ব র্তী–র গল্প
রাক্ষসগলি
(১)
সুন্দর পৃথিবীতে সবার সমান অধিকার। থাকার কথা। বিভেদ সৃষ্টির মূল, ক্ষমতা জাহির করা গাজোয়ারি করা। অক্ষমদের প্রতি অন্যায় অবিচার অত্যাচার করা। তাঁদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রতিবাদ হয় প্রতিকার হয়না। এ এক স্থবির জগদ্বল অনড়। যেন বা সৃষ্টির মূহুর্ত থেকেই অধিকার নিয়েই জন্মায় !
‘তেরে গলিয়োঁমে না রক্ষেঙ্গে কদম’
তিন ফুট চৌড়া তিরিশ ফুট লম্বা গলি,তারই মধ্যে দুপাশে খুপরি খুপরি চোদ্দোটি রুম চার বাই আটের।সব দরজার সামনে বাসি কাপড়ে ডাঁই করে রাখা। পলিথিনের বালতি জেরাকিন, মাথার উপর কাপড় শুকানোর প্লাস্টিকের দড়ি ঝোলানো।সেখানেও ভিজে সালোয়ার কামিজ নানান রংয়ের অন্তারবাস পেন্টি যাওয়া আসার সময় হুঁক লম্বা চুলের মাথায় ফেঁসে যায় তাপ্পর গালের ছলে ঠাট্টার রেশ।এই যেমন,দিলরুবি হন্তদন্ত হয়ে কোথায় বেরোচ্ছে, মর্জিনার হুঁক লম্বচুলে লেগে বওয়াল। “আরে শালী মর্জিনা,তর চুঁচকষ আমার বাল খারাাপ করি দিল” মাটির দিকে তাকিয়ে দুই আঙ্গুুলের কায়়দায়় চুল ছাড়ানোর চেষ্টা “ফাইন লাগবে” বলতে বলতে হাত ব্যাগ থেকে চিরুনী বের করে চুল ঠিক করে নিল। মোবাইলের ফ্রন্ট ক্যামেরা য় নিজেকে দেখে নিলো ঠিকঠাক। থানা মোড়ের মাথায় ক্লায়েন্ট দাঁড়িয়ে থাকবে। লিপস্টিক বুলিয়ে নিল ডানদিক বামদিক ঘুরে ফিরে নিজেকে দেখল ওভার অল লুকটা তো খারাপ নয়। মাথার ওপর মেঘলা গগলস চোখের উপর বড়বড় করে আঁকা চোখ, ফর্সা মুখের ওপর কালো। মাস্ক
মাস্ক পরে বাইরে বেরোতে হয়। শালার ক্লায়েন্ট ভয়ে এমুখো হয় না। ব্যাচেলর রা ঘরে ডেকে নেয়। কয়জনই বা।তারবাদে সরঞ্জাম রাখতে হয়।কোন্ডোম টোন্ডোম। বঁচকে রহনা রে বাবা বঁচকে রহনা রে। এদিকটাতে আবার গুদ্যার উপর বিষফোঁড়া হল হটসপট(হটস্পট) ইলাকা। সোস্যাল বাবুরা চাল ডাল তেল আলু মসলা দিছ্যা বটে, বাকি জিস্ম বিচে যে, রইসি হয়।তেমন কি আর পেটেভাতে হয় মাঝে মাঝে খিচূড়ি ভোজ। কতকিছু শিক্ষা হল।রেডযোন,অরেঞ্জ যোন গ্রীন যোন, কিন্তুক রসিক লালদের থকান নাইগ। শুলুকসন্ধানি।একহাতে বিড়ি অন্য হাতে লুঙ্গি ধরে গলির ভিতর হাজির। চাউনিটাই ভয়ানক।
–মর্জিনা
–ওর পেটের ব্যাথা গোলি খায়ে শুয়েছে।
–ই শালী বাবুদের টনটনালেই, ইয়াদের অসুক দেখা দেয়। এখনেই লোড লিইলিলো,বড় উপজাও জমিন বটে।
–তুমাদেরই বা কচিকাঁচা দেখলিই অমন লকলকাবেক ক্যানে? লিজের খোমাখানা শিশায় দেখেচিস। তুবড়াগাল খুবলা মাল। খুঁচাবাল মাগ খুঁজতে আইচে! শালো গা টায় দুর্গন্ধ সক্কাল সক্কাল ভাগ শালা।
–মাগনা লয়, লগদে।
–রাখ তর লগদ,খেঁদি প্যাঁদি চইলবেক?
–না; নাই চলবেক।প্যাঁদি? বাঁইচ্যা আছে এখুনো ! উয়ারত উখানটায় পচন ধরিগিচে। এই বয়সে উয়ার উইখানটই মুনেহয় কর্কটরগ।দুঃগন্ধ, ছাতিদুটায় ঘাও যখম পিপ। ডাগ্দর দ্যাখাচিস নাই? ইয়ার পরও উয়াকে ধান্দা করাবি? ধন্যি তুদের গুধ্যারবল জল, চল দেখি। মর্জিনায় লাগবেক।”
–চলচল আঁটকুড়া নিব্বংশা কামাইনা খালভরা চদনা ভাগশালা উদ্বগান্ডু।” রসিকলাল একটা চোখ ছোট করে। ভয়ঙ্কর চাউনি হেনে, যেনবা দেখে নেবো আসুক সময়।
এখানেও এই বাজারে কিছু পরিযায়ী যৌনকর্মীদের আসা যাওয়া আছে।পার ক্লায়েন্ট পাঁচ পার্সেন্ট। এই সময় লকডাউনে, তাই ঘরেই লকাপে। ইহাদের ব্যাপার হল আওসনম যাওসনম রাস্তায় দাঁড়াতে হয়। কানখি ইসারায় ডাকাহয়। এতো আর এমন নয় “মিলেতো মারি নেহিতো ব্রহ্মচারী” পরিযায়ীদের কর্ম দিনমানে। দুর দুর ফিরতে হয়।স্থায়িবাসিরা ফাস্ট নাইট। ঘুম কাটতে দুপুর। বাজার, মাছের ঝোল ঝাল ভাত আড্ডা হাসি মস্করা সবই বাইরে বাজারে। গলিঘরে তখন ফাস্টসিফ্ট,পান গুঠকা তামাক। জোর হল্লা হলে মাসি রাগে “বন্ধ হলে জুমড়া খাবি মাগি। পুলিশ গাঁড়াক্কায় মারলাঠি দিবেক ।তখন ঠাপাতে লারবি। কাস্টমার বলবেক সেটিসপেক্টেন সরকার বর্ণালী নাই। এমন চদঘরে আইসবনাই ইয়ারলে ডমপাড়া ভালো ব্যালতলা ভালো”।
–অ মাসি,মাসি মাস্কো লাগাঁয়ছি যে!
–আমাকে ভকচদি ভাবিস? এ্যাঁ-
–ক্যানে ক্যানে?
–মাস্কুটিতে আওয়াজ বিরায় নাই।
“ওগো মহবুবা তেরি দিলকি বাতহি হ্যায় মেরি —।”
সোঁচা থা যো তুমকো হো পসন্দ, ঐহি বাত করেঙ্গে। তুমি দিনকে অগর রাত কহ ত রাত কহেঙ্গ- – -আদিখ্যাতা মর্জিনার মাথায় আগুন।
মর্জিনার সঙ্গে ফৈয়াজের, গালিগালাজ। ফৈয়াজ মর্জিনার সঙ্গে গল্পের ছলে বলে ফেলেছে সে গাজিয়াবাদ থেকে মরিজ সেজে এ্যাম্বুলেন্স করে চলে এসেছে।ব্যাশ আর যায় কোথায়।
–তুম অভি বাহার চল তুমকো স্যানিটাইজিং করনা হ্যায়।
–হমতো ঠিকই হ্যায়।
–আউর ঠিক করদেতা না!
–ফির ক্যায়া ঠিক করনা?
বলে বাইরে এসে সিগারেট ধরায়। এই ফাঁকে মর্জিনা এক বালতি ফিনাইল জল ওর মাথায় ঢেলে দেয় “চল তেরা সেনিটাইজিং হোগেলোও” তারপর বওয়াল। গলি জল থৈ থৈ করছে।
–ছিনার কুত্তিশালী পানি ডালদিয়ো,সেনিটাইজিং,কিতনা বদবু।
–শালে রোমিও বন্তা,গাজীয়াবাদ সে মরওয়ানে আয়েহো ইঁহাপর যো কোরেনটানি মে যো। আতে কে সাথে কোরনা বিমারমরিজ মিলনে আয়গওয়া যৈসন মৌগিভাতরা। ফৈয়াজ গালাগালি করতে করতে চলে গেল। জানাজানি হয়ে গেলে বিপদের শেষ নেই।ভা- – -গো – -ও – – জান বঁচেতো লাক্ষো উপায়।
(২)
দিলরুবি। সাদা রঙের অল্টো এসে দাঁড়াতেই সামনের গেট খুলে গেল ক্লায়েন্ট, রুবিকে ভালো করে দেখেনিল বিশেষতঃ ব্রেস্টের দিকে। যেনবা এক্স-রে। পাঁজর ফুসফুস ওজন আয়োতন জ্যামিতি ব্যাকারণ। চলেবুল মুর্গি হ্যায়।
কি়ম্বা ঠকা হয়েগেল নাতো। গাড়ি চাতালে রেখে আসপাশটা ভালো করে দেখে নিয়ে গেট খুলে দিল নিকলো।তারপর হনহন করে ভিতরে ঢুকে পড়ল।নিজে প্লাস দিলরুবিকে সেনিটাইজার বাড়িয়েদিল।”পিতি হো”?
–হাঁ, ভয়ে ভয়ে গাড়ি বাড়ি দেখে রহিসজাদা।দিলরুবার মনে হাজার প্রশ্ন। কিন্তু করা তার এক্তিয়ার ভুক্ত কদাপি নয়। টেবিলে গ্লাস বতল মিকচার। একটি গ্লাস দিলরুবার দিকে বাড়িয়ে দিল। দামি জিনিস বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ার মতো। চল্লিশ ইঞ্চির টিভি দেওয়াল জুড়ে, স্টার্ট করল সেখানেও যৌনতা। বোধহয় পেনড্রাইভ। ঝিমঝিম লড়খড়াতা নজর কিন্তু উড়ুক্কু মনপঞ্ছী স্বপ্ন দ্যাখে। সাহেব পাঁজাকোলে বিছানায় বিছিয়ে দেয়। তুলো ভিজিয়ে স্তনবৃন্ত সেনেটাইজ করে। করে যোনি ও পায়ুপথে।দিলরুবার শরীর জুড়ে শিহর। গরম জীউব্হার লেহন তাপ্পর শীৎকারও সুখের যাতনা। উলঙ্গাপ্পন দিলরুবার নতুন কিছু নয়, কিন্তু এই আলিসান মহল। ধবধবে বিছানা বাসর বাঘাপুরুষের সঙ্গে সহবাস জীবন তার ধন্য। কতবারে তার মূল্য উসুল হয় ‘খোদায় জানে।’ হাভাতের মত গোগ্রাসে,পরের পর। সারা রাত্রি অক্লান্ত এক রাক্ষস তার অলিগলির অলিন্দে দক্ষলাতি যেনবা অঘোষিত সৌহর। এ যতই যন্ত্রনাক্লিষ্ট হোক আনন্দঘন মুহুর্ত উড়ুক্কু মনপঞ্ছী স্থায়িত্বকালের তরে ডানা ঝাপটে চলেছে। মুহুর্ত হারানোর কালখন্ডে তার দুই চোখে অবিরল। জান্নাত হারানোর মোহনার ধারা।
তোবুও এ জান্নাত অন্য কারো। সেতো কেবল পরিযায়ী,মজুর কর্মি দিলরুবি নামের যৌনকর্মী। ওস্তাদ শেষ রাতের মারে মাজাভেঙ্গে নেশার ঘোরে, বাঘের মত গাঁক গাঁক নাসিকা গর্জন দিলরুবিও চেষ্টা করছিল এ্যায়াসি গরম বিস্তরে ওর ঘুম এলোনা খুন বেরিয়ে গেছে জ্বালা টের পায়। ধামসে ধামসে ধামসা মাদল বাজালো রাতভর। তার চোখে নিন্দ নেই। “ভোর না হোতেই ভেনেটিব্যাগ কাঁধে।পথপানে কে যায়। ওরে আমাদের দিলরুবি মাইয়া এদিক সেদিক চায়”। দক্ষিনা না পেলে যায় কি করে। অপেক্ষা করতেই হয়। টেবিল জুড়ে এঁটোকাঁটা বতল গ্লাস প্লেট। দিনের আলোর ডিম ফুটেফর্সা। পাখি সব করে রব। এমনই সৌহর তার স্বপ্নে ছিল।খোদা মুহূর্তের জন্যে দিলেনও। লোকটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে গিয়ে থামলো। তার এক্তিয়ারে নেই রেগে যেতে পারে। ওর ষলোআনা অধিকার, এক রাত্রির বাঁদি। বাঁদির এতবড় স্পর্ধা! মাথায় হাত বুলাতে যায়। ওয়াসরুমে যেতে পারলে ভালো হতো।তার হাত ধরে কপালে ঠেকিয়ে দেয়।দিলরুবি অন্যদিকে চেয়ে হাত বুলিয়ে দেয়। লোকটি তার হাত হাতে নিয়ে চুমু দেয়।এবার দিলরুবি ওর দিকে তাকায়।
রাত্রির হিঙ্গস্র জীবটার তাহালে মায়া দয়া আছে। সেটা লুটতরাজ করার সময় বোঝা যায়নি। আপনার ওয়াসরুমে ব্যাবহার করতে দেবেন। অফকোর্স যাও। দিলরুবি ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে এলো। মনে প্যাঁদি উঁকি মেরেগেল, ঐ তাদের ভবিতব্য পচে-গলে শেষ, নিস্তার নেই যম আছে পিছু পিছু। এমন মনখারাপ তো আগে কখনো!
–একটুখানি দেরি হলে ক্ষতি নেই তো। এগিয়ে দিতাম,
— চার্জ লেগি যাবে।
–ব্যাশ? লেট যাউ।
–স্যার প্লীজ আর নিতেপারবো না
–লেটযাউ বলা না।” কি জ্বালা মুখ ফোসকে চার্জের কথা ক্যানে যে,বেরায়ে গ্যালেক রাইক্ষসটা আজি জাহান্নুম পাঠাবে মনে হয়। লোয়ার নাবিয়ে যোনিতে অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে দিল।হাত ঢুকিয়ে ব্রেস্টের নিপলের চারপাশে দিলরুবা কান্না আঁটকাতে পারেনি। ইটা কি রাইক্ষস না ক্ষক্কইস ইয়ার মনে দরদ আছে! ই এক লইতুন তজরুবা খোদায় মালিক। আন্দাজেই ঢিলছুঁড়া না জানি রাইক্ষস না জানি ক্ষইক্কস শুনা কথা আর ভিজা কাঁথা একই। রুমাল দিয়ে চোখ করে লিলেক শোখ।
“চিনপিননানা ভয় দিলেক ভাইরাস দিলেক করুনা, না করে(কোরোনা)”
করতে কাখুকে ছাড়ান নাই,
তবুও কইচে কোরো না কোরো না ইতালি মিতালী পঙ্গপালের পারাই যেন জীবনসঙ্গী রহে গেলেক গো,ইয়ার ছাড়ান নাই। নাকাবপোশ, জীবন জীবিকার অঙ্গ হয়ে রইল। সারা পিথিমীতে জীবণ মশামছির পারা মড়ক লেগেছে।ইবার ধ্বংস কৌ আটকাতে লারব্যাক। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগলো বলে সব শ্যাষ। শালো হাত ধুয়ে ধুয়ে হাতে হাজা হয়েঁ গেল।নাকাবের জ্বালায় মেকাব গেল। গেল গেল সৌউব গেল আর কিচ্ছুটি থাকবার যো নাই।
–কি নাম?
–দিলরুবি
–দিলরুবা কেন নয়?
–জানি নাই
–কেন জানো নাই
–স্যার আপনি নিন্দ পুরা করিছেন। আমার নিন্দ আসেনি। একদম।
–বিরক্ত হচ্ছো রুবি!
–না স্যার।
–বাইরে যাবে?
–যাওয়া তো যায়, এতবার করে করলে পরাণ নিয়ে ফিরতে পারব? স্যার একটা কথা, আপনার পরিবার!
–আলাদা হয়ে গেছে, ডিভোর্স। আমদের কোন সন্তান না থাকায় আরো সহজেই হয়ে গেছে। উনি সাবলম্বি। আবার নতুন করে শুরু করেছেন। তো আমার পরিবার রুবি। পরিযায়ি পরিবার।”
আজ কেন এত কান্নার রোল প্রাণের ভিতর অগোচরে। রাতজাগা চোখ জ্বালায়। জোয়ারি কান্নাটা অন্তস্থল জুড়ে অবিরল চুইয়ে পড়া জুয়া অনড়। পৃথিবী পুরন্দর ঝিলসুন্দরির মত ঝকমকিয়ে হুলকাছ্যা। কিচ্ছু লাগেনা যেন, ভুখ তৃষ্ণা এই সময় সব থেমে থাক কোচিশিশুর আদুরে গালগল্পে বেলা কাবারের মতো, চন্দনে আতরে বিচ্ছিন্ন লকডাউনে। ছন্দমিল না থাউকগ্গা মিলন ট জরুরী অস্টেপৃষ্টে অস্টাঙ্গ জড়িয়ে। হাল্কা করে গাড়ির এফেমে হেমন্ত “আমি এতযে,তোমায় ভালো বেসেছি” কি টাইমিং দেখো। দিলরুবি মাস্ক এ নাকমুখ ঢেকে নেমে পড়ল রাস্তায়। হাত তুলে বিদায় জানাতেই।
–লকডাউন না উঠলে বাইরে র প্রোগ্রাম হচ্ছেনা ডিয়ার।
–জানাবেন।”গাড়ি হুউস- – -আপনি মঞ্জিল কি আউর চলপড়া। মনটার ভেতরে ভেতরে গান বাজছে। হঠাৎ ভীষণ ভালো লাগছে।
(৩)
চিরোসবুজের শরীরি ভাষায় ভঙ্গিমায় একটা আলাদা অনুভুতি। আলাদা প্যাশন আলাদা মাঠময়দান জল জঙ্গল ফুল ফল কুয়াশা আকাশ বাতাস সুর্য চাঁদ তারাদের আলোক উচ্ছব মোচ্ছব প্রাণী সম্পদ আরো সব কত্ত কি কি! হাগাপাদা মুতাছ্যাররা সৌব মিলাঁয় সবুজ সবুজ আর সবুজের সমাহার। শরীরের ছায়ার মত জীবনের ভিড় ঘিরেএইসব ছায়ার মতো।ছায়ারাও জুড়ে ঠিক এভাবেই,জীবন শরীর ছাড়লেই ছায়াও শরীর থেকে সোরে যায়। অদ্ভুত জীবন প্রকৃতি।খেঁদি প্যাঁদি হল এই অন্ধকার গলির সিনিয়র সিটিজেন, শরীর সায় না দিলেও পোড়া প্যাট্টোর লেগে শরীরটোই ছিঁড়াকানির পারা উলুঢ়িধুলুঢ়ি।ঝপ করি শ্যাষ বায়োবেয়ি বাতাস খান থম মেরে গ্যালেক।চখ জড়ান খুলা রহে গ্যাল, হুতাশ যন্ত্রণার ফিকা ফ্যাকাশ ছিল জ্যান্ত কঙ্কাল,হল মড়া কঙ্কাল। সমাজ সেবিরা মাথার কাছে রেখে গেছিল পার্শেল প্যাক, খিচুড়ি তরকারি।তেমনই পড়ে আছে প্যাঁদির নিথর নিঃপ্রাণ দেহ। শ্যাষ হল্যাক লড়াইয়ের দীর্ঘ যন্ত্রণা ক্লিষ্ট জীবনের অবসান।
–বল হরি
–হরি বল
–বল্ল হরে
–হরেবল
শেষের দিনে সে জন বিনে ও ক্ষেপি তর কে আপন হবে রে এ —-
দিলরুবি খাবার প্যাকেট কুকুর কে দিয়ে এলো। ভিড়ের মাঝে মা-লক্ষী মাড়িই দেয় যদি কৌ !চখগুলানে বাস্পো ভরা ঝাপসা পারা, প্যাঁদির চখে তুলুশি পাত, নারায়ণ। হিসাব নাই কত্তজন পুরুষের লেগে বিছানা গরম হয়েছিল। দিনে কতবার যৌনমিলন। শেষটায় নিজেকে ই বিড়বিড়িয়ে “যমের অরুচি হয়েও আর কতদিন হে নারায়ণ,” যম শুনলে নারায়ণও শুনলো তবে বড় কষ্ট দিয়ে।
মোটামুটি সব্বাই ঠিক করে ফেলেছিল দিলরুবি বাইরের লোকের ঘরেও যাবেনা। “কোরোনা” কার যে আছে কার নাই হলপ করে কিচ্ছুটি কি বলা যায়? শেষমেশ উয়ার লেগেই রেড যোন মোন না হয়! তাই তৈরী হয়েই চেতাবনি দিতে এরা।
–রুবি তুম বাহার নেহি যাতা!!
–কিঁউ নেহি যাতা?
–কোরোনা ভাইরাস লাতা।
–মাইফুট,
–তব তুম ইঁহাসে ফুটলৌ,আলাদা জায়গা দেখলো।
— দেখো ইসব ঠিক নেহি।
–আমরা সইছি কিনা? তো!
–তুও বর্দাস্ত কর।
রাগ দেখিয়ে রুমের দিকে চলে গেল। মর্জিনা জরীনা মেহবুব রুকশা মাস্ক লাগিয়ে বাইরে এল। রাস্তাঘাট শূনশান নির্জন প্যাঁদির শূন্যতা, বাজার ঠান্ডা। রুবি মোবাইল জোরে গান লাগিয়ে, রুপচর্চায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ল ক্লীনজিংমিলক, বেসন মুলতানি মাটি গুলাবজল, আরো কি কি সুন্দর লাগার লেপ লাগানো ফুররে ফুল্ল লাগে নাকি! ক্লায়েন্ট স্যাটিসপ্যাক্সশন। হোম সার্ভিস হো ইয়া স্পট। এফ এম বেজেই চলেছে, অনুরোধের গান। কখনো বা ইউটিউবে। “মেরে নয়না শাওন ভাদো— ফিরভি মেরা মন প্যায়াসা”। তারপর আবার বাংলা গানা “আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম, আমার ঠিকানা”।
“বিষ বিষ না বিশ বিশ টুয়েন্টি টুয়েন্টি না গরল যায়ই হোক পিয়োর অক্সিজেন প্রভাইড কর রাহা হ্যায় পর্যাবরণ।”
এই বিষ বিষ না বিশ বিশ টুয়েন্টি টুয়েন্টি।
যাইহোক এতো টেস্টের মতো চালিয়েই যাচ্ছে ভাইরাস বিদায় না হয়ে, মানুষ গুলানের অকালে বিদায় ঘটিয়ে চলেছে।
নিম্নাঙ্গে চর্বি গজানো শুরু
খাওয়া আর ঘুমালে যা হয়। লুতন দম্পতি,লকডাউনের আগে যাদের বিহা ছোট বাঁধাল্যাক(জোড়) ঘরেই হানিমুন, এমনকি পুয়াতি স্বাদ খোয়ানো গু—ভরাই ভরি দিলেক। আপিস কাছারি নাই ঘরটই সোউব। কোরুনায় ভয়ে যতোনা মোইরবেক তার চারগুণ পয়দার লেগে লোড হঁয়ে গ্যালেক।মা লক্ষী লগাউট মা ষোষ্টী লগডাউন। ইসব জনসংখ্যা বৃদ্ধি বৈকি লগডনের(লকডাউনের)খেল মুরুব্বী “কুতা কুতা খুঁজেচি তুমায়— তুমি জা নু না–
ইদিকে যাদের বিহাই লগডনের গেহণ লেগিগেল। ল্যান্ডিংয়ের আগুই, “ফাগুনেরো মোহনায় মন মাতানো— আকাশে বাতাসে ঘুরে বুলছে। তাঁরা ক্ষ্যাপাঁই যাবেক নাই! বল! তুমরাই বলদেখি যাবেক নাই ক্ষ্যাপাঁই? কি হব্যাক শুদ্ধ হাওয়া খাঁয়ে? সুর্যে র্আল্ট্রাভায়োলেট রদ দিলেক আর নাই দিলেক।ইয়াদের যে জোট বাঁধালেক নাই! তোব্যা? তোবা তোবা খালি খালি মোবিলটই চাটিং করে চাটাঁয় যাছে।
হে খুদা হে আল্লাহ পর্বদিগর,বসুধা পরজাপরতি বিহা র দেভতা গোলান।কুছুকরো কুছত কর। সোউব সায়লেন্ট হয়িগ্যালে হব্যাক কোহুন দেখি? ঈদ আছে জামাইষষ্ঠী— এ্যাই ঘুরে ফিরে আবার ষষ্ঠী– মোচ্ছোব গোলানও সাইলেন্ট সাইলেন্ট যদিও বা ভার্চুয়ালি দেখা সাক্ষাৎ হছে ঐ ভিডিও কলিং মলিং জমাবড়া গ্যাদারিং ম্যাদারিং নাই হৈচৈ নাই সামাজিক দূরত্ব,দৌরাত্ম্যির নামগন্ধ নাই। মনিষ্যি পিঞ্জরা বন্দি হল। পশুপক্ষী স্বাধীনতা পাইলো মনুষ্য খাঁচায় বন্দী হল।হোনাহো তোমার বানানো ফাঁদে তুমি ল্যাজে গোবরে। অদৃশ্য আন্তর্জালের পাতা ফাঁদে পরাণ বড় কান্দে।
–খাঁয়ে লিবি আয় সমাজ বাবুরা খাবার পার্সেল দিঁয়ে গ্যালেক।
–ভোখ নাই
–খাঁয়ে লে……
–চিচাঁছিস কেনে !!বললি ন ভোখ নাই।
–কাইল সেহরি জুটব্যাকনাই
–নাই ত নাই,রোজা রাইখবনাই।
–হাঁ ভাল; যার লেগে তুর দিলটই কাঁটার পারা চুভছ্যা উ তর ভাতার লয়।লাংটামরদ বটে জওয়ানির ফুর্তি লিতে, মিঠা মিঠা বুলির ঘাতক্ ঘাতক গাড়ি।
–হঁ,মর মর জ্বলে পুড়ে মর নাংটামাগি।
–ঐ, তর ভালোর লেগে বুললি! আমার জ্বলন হছে। উখানটই উয়ার লেগেই দমে খুজলাছে লয়? ” এফেমের গান থেমেছে অনেক ক্ষন একখানা যুদ্ধের মাহোল তৈরি হয়েগেছে অলরেডি। জরিনা গুগলি ছেড়েই যাচ্ছিল। দিলরুবা আন্তাবড়ি বাল্লা ঘোরাতে ঘোরাতে।উন্মাদের মত চুলের ঝুঁটি ধরে আছাড় ধ্বস্তাধ্বস্তি ঘস্টাঘস্টি খিস্তি “যো না যো ! বেল্লফাড় হো যেতেই ” “তরা ত শুরু সে মোকামাঘাট বহ্ রহল্যাই।” তারপর কুর্তি লেগিনস ধরে টানাটানি। সিন্থেটিক হওয়াই ছিঁড়ে না গিয়ে গায়ে কালশিটে পড়েগেল স্প্যাগেডি ফর্দফাই ঘুঁসি লাথি কামড়াকামড়ি আধনাংগা উপর পোর্শন উদুম উলঙ্গ আর লম্বা খিস্তি খেউড়। দুই হংসিকা।দুইপাশে থেকে দুজনার মাজা ধরে টানাটানি দুইটিদল ট্যাগ অফ ওয়ার দুই দলের টানাটানিতে পায়ের ধাম ধাম শব্দে গলির সান কেঁপে কেঁপে উঠছে। চলছে খন্ড যুদ্ধ যেনবা।
( ৪)
পরিযায়ি মজদুরকে
আগমন,বিদ্যার্থীদের আগমন, সংক্রমণ নেগেটিভ পজিটিভ জোড়ঘটাও আক্রান্ত করেন্টায়েন। কৌ বিগড়াচ্ছে কৌ সুধরাচ্ছো মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম। ক্রমশ লকডাাউন উঠে যাচ্ছে। দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে, গ্রসারি থেকে মশারি ওয়াইন থেকে চোলাইন সোউব ঢড্ডা খুলনা ইসটার্ট কলকারখানাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। বছরের শুরু থেকে মাঝবরাবর চলে এল। এতদিন দেওতাওঁকে ঘর আনাজানা না থা ভিড়ভাড় এড়ানোর জন্য। বাকি থাকল শপিংমল বিউটি পার্লার সেলুন। ইহাদের খুলার আদেশ দিয়া হয়নাই। সামাজিক বাবুদের খাবার পার্সেল প্যাকেট সাপ্লাই বন্ধ হয়েএল। কোরোনা জুজুর ভয়ে ঢ্যামনা গুলোও শালা গলির ধারকাছও মাড়ায় না। রাক্ষস গলানও ভদ্দর লুক হঁয়ে গেলে ইহাদের জীবিকা চলে কেমন করে! সে ভাব্বার ফুর্সৎ কাহারোও নাই। হঠাৎ করে এই কয়েক মাসের মধ্যেই যেন। সময় থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল। কারো বা বয়স কমেগেল। আবার কারো ঢের বেড়ে গেল, বিশ্রাম এর কারণও হতে পারে। মোদ্দাকথা হলো দানাপানি জোটাতে হবে তো। বেবুশ্যে মেয়েদের আবার বাড়ির কাজে কেউ রাখতেই চায়না। তাদের দু’বেলা পেট চালাতে লাগেনা? চন্ডাল পেট।খুদা য় দিছে।আহারে শিমুল পলাশ গাছে গাছে বড়ই সুন্দর, আকাশময় ফাগুনের আগুন রঙে রাঙ্গা আদর নাই মাটিতে লুটায়। লুটাতে লুকাতে ফাগুন গেল চোত বশেখ জৈষ্ঠ্য পেরাল ইবার আষাঢ় ঢুকব ঢুকব করছে। আমফান জামফান নামে ক্ষয়ক্ষতি ঝড় ঝঞ্ঝার দুর্গতি ঠিলতে ঠিলতে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো চিড়বিড়ানি সব যেন স্থির আগুবার নাম লিছেনাই, ইসব দিন গুলাই রুবির বড়ই কান্না পায়। এসময় জীবনটা বৃহন্নলাদের মতো। কেউই ঘুরে তাকায়না আড়চোখে তাকালেও ঘিন্না ঘিন্না ভাব, নাকমুখ ঢাকা তো আছেই এইখানেই কোরোনা লুকাঁই আছে। খালি কোরোনা! ক্যানসার টিবি টাইফয়েড যাবতীয় রোগের ডিপো এই গলি। তিতা বিষাক্ত বেজন্মা আগাছা র ঝোপজঙ্গল। মর্জিনা সেদিন ঠিক করেছিল ফৈয়াজকে ফিনাইল জল গায়ে ঢেলেছিল। বলে কিনা “সেনেটাইজ বাহার সে আয়া সবকো কোরোনা ভাইরাস ধরায়েগা।
“মেরে হমদম না রাহা,কইতো সাহারা না রাহা”
আগের মতো বর্ষায়না বর্ষা।
সাইক্লোন, নিম্নচাপ, এরাই মৌসুমী বায়ুর হাত ধরে নিয়ে আসে। আবার হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়, আবার আসে আমাশয়ের বেগের মতো। মাসদিন বেশ লেগে যায় ঐ রমই ইখনকার বর্ষা জলবৃষ্ট চাষাবাদ সব জলটুঙ্গির ভরশা,ছোটবেলায় দেখতুম লাগাতার বারিশ হপ্তা হপ্তাভর “রিমঝিম রিমঝিম গিরে শাওন”এখন মানুষ এতই পাতক,তাই দেখা যায়না চাতক। জল চাই জল চাই করে মেঘ দেখলেই,আকাশজুড়ে নাচন বাজন চ্যাটাং চ্যাটাং ঢাঁই গুড় গুড় ধাঁই কিড়ি কিড়ি,শুরু হয়ে যেত তখন সবার কন্ঠে কেত্তন। ব্যাঙ সর্প ছুঁচো মানুষের মনে কবতে,সবাই রবি সবাই কবি।
এদিকে ভিজা কাপড়ে সারাক্ষণ ক্লাইমেট আর ক্লায়েন্ট যেন রোমান্টিক হয়ে যায়। গরীবগুর্বর কথা আর কে ভাবে বল, দূখিয়ারি গাওনায় আর কাঁহাতক ভালো লাগে বল। ভিজা সালওয়ারের চিপকে থাকা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরিস্ফুট দেখনে ওয়ালারা তারিয়ে তারিয়ে নয়নাভিরাম উপভোগ করে।ডজনভর থাকলে নাহয় পাল্টে পুল্টে কাঁপুনি থেকে বাঁচা যেতো। যেখানে সেখানে সৌচ তো থাকেই বৃষ্টি অবারিত ধারা হলে, আঁসটে গন্ধে মম চোতুর্দিক জুড়ে। এখন সারোমেয়োদের বারোমাস মিটিং সিজন। দঙ্গল কে দঙ্গল ইধার উধার ছুটাছুটি জোটবাঁধা।আর ভৌ… ভৌ…
কান্না করা। মানুষেরই মতো আঁচড় কামড় ধ্বস্তাধ্বস্তি ধামসা-ধামসি।লিট্টীচোখার মতো নরম গরম। গ্রাসগ্রহণ। দুলার নাই কেবলি ঢক্কা নিনাদ।করার আগে বেবুশ্যেকে কত্ত প্রতিশ্রুতি দেন ইনারা মেয়েমানুষের কঠিন পরাণ তাইতো খেয়ে না খেয়েও। বাঁচতেই চাই পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই। কিন্তু পুরুষ পাই পাই উসুলি তাতে তুমার মাজা থাকলো আর গেল। দুমড়েমুচড়ে উল্টে পাল্টে মর্দনে গর্দানে আসবাব অথবা মেসিন মনেকরে করে, কোন পশুতেও এমন করেনা। ঢ্যামনাব্যাটা লোকেরা বোঝে থাউকা মালের পাক্কা উসুলি।
পৃথিবী সবুজের সাজে সাজতে শুরু করে উৎসবের অপেক্ষায়। এইসময় নতুন ভয় কোরোনা ভাইরাস,কেউই গলি মাড়ায় না। “প্যাট ট তো মানবেক নাই বল,লকডন করলিই হল ইবার যৌনকর্মী দের কি হব্যাক? রেশনের চালডাল। আর জনধনের পাঁচশটাকা যা একবেলার হাত খরচ ছিল বাজার চাঙ্গা থাকলে। নসিব নসিব নসিবকাকে বলে! ইক্যায় বুলে। “টকের জ্বালায় পালাঞ এলি, তেঁতুল তলায় বাসা।”
মনেপঢ়ে হামলা করে সৌহর ট অধিকার জাতায় তবু মনকে মানাতে হত লতুন লতুন নিকাহনামা হঁয়েছিল, লিজেরো টুকুন টুকুন আবার জব্বর হিচ্ছা হত বৈকি। কোরে কোরে যিখন লিজের দিল ট ভরিগেলেখ শরীলের ধার ভঁতা,যন্তর ডাঁঢ়ায় নাই উঠবার আগুই ল্যাতিয়ে পঢ়ে। তখুন পয়সার লেগে অন্য স্যাঙ্গাত ঢুকাতে লেগেছিল। শালো ঢ্যামনাচ- – -দনা।উ কি বলব্যাক? আমিয়েই আগুই বলিদিলি “ত লা ক – ত লা ক -ত লা ক “, তাপ্পর তল্পিতল্পা গুঁটায় এইঠিনে দশ বছর। কি দিন এলো ! ইনসাআল্লাহ ইনসান পিঞ্জিরায়। জীবজন্তু রাস্তায় ঘুরেবুলছ্যা ফুরাইলো রে বাগানের আম কি খাবিরে হুনুমান।
(৫)
জনধনের সোয়াদ কম,জনধোনের তুলনা নাই যিমন পার হড়পে লও।সিনসরের পারা কাঁচির কামাল,সোব্বাইতো বিজয় মাল্যর পারা লয়! মালহা্ পরহে্ নাই। কৌ কৌ আসে যুদ্ধু করার লেগে দেইখব্যা? নাত্সিবাহিনীর পারা যেনবা,চ্যাহারার তেমনই দম্ভ! স্টাউট ফিগার এককথায় হ্যান্ডসম হ্যান্ডপম্প্ কিন্তুক; ছাতি টয় আগুই মাথা ঢুঁসাবেক সাঁঢ়্যার পারহা। আর এই ছাতিই যত নষ্টের গড়া।ইহাতেই পিথিমী ট উলট-পালট হঁঞে যায়। দমে মদে থাকে ! “অরে বাপু তর লেগেই সব বিছানায় বিছাঞ রাইখ্যাছিরে জুয়ান মদ্য লে ক্যানে! কে লিবেক? কে লিবেক ? শালো ধামঢ়া, মৃতসৈনিক। অক্ষত মাগনা লগদলারায়ণ ইয়ারা বেশিয়েই গাড়ি ডাইভর। আবার নিম্নাঙ্গের ধুয়ামুছা সেনিটাইজিং। পরের ক্লায়েন্টের লেগে। সোব্বাই চায় টাইট ফিটিং। মাছের পারা বরফের মতো। মোমের পুতুল মোমের দেশেতে লেচে যায়,বিউহল চঞ্চল পায়। পাবেক কুথায়! মেসিনের পরিচর্যা নাই, স্টক শ্যাষ। পাগল করি দিবেক লকডন লকডন লকডন… আর লকডন। ধুনে জলচ্ছে তেমনি বাজ বাজনা বাজাছে গুম গুম গুম গুম ঘঢ় ঘঢ় ঘঢ় ঘঢ় চ্যাঠাং চ্যাঠাং দুনিয়া কাঁপন্ ধরানো কীত্যন। হাঁ ভাল্ যদি ভালবাসা টৌ কিনা যেথ। ভয়শব্দ যব্দ করতে পারথ হাঁকড়ে জাঁকড়ে একদেহের বাঁধনে লিন, শঙ্খলাগা লতা র পারা। বয়স ইখনো অবাক অলিন্দে র কথা ভাবায়,সইত্য বলব পয়সার লেগে ঠিকা ঝিয়ের করম করেও চলে যায়। রাক্ষসগলি না আয়লেও চলথ কিন্তুক শরীরে দুরকম ভোখ। অন্যটি শরীর বিচে অরিজিনাল ভালবাসা র আমদানি। হল্যাখ নাই। “দিলরুবির”অক্লান্ত অবিরল অবিরাম অনন্ত অভিরাম আকাঙ্খার কথায় ফাঁকি নেই ফাঁকও নেই বেশ্যা হলেও ব্যাভিচার চায়নি।তয়লে সৌহরের বিরোধী হতনা সে শরীর ও ভালবাসা, একসুত্রের দুটি ঋজু বিন্দুর সুনিশ্চিত সুনিপুণ সুন্দর সন্দর্ভের ইচ্ছা হরণ, নাহ্ রুবি শেষদিনতক একটা মানুষ নয় সজীব ভালোবাসা নামের একান্ত আপন পৃথিবীতে বাকি জীবনের জোড়িয়া, নদ, হোক নদী হোক জোয়ার ই হোক আর ভাটাই আসুক। অসুস্থ অসুখ সঙ্গে করে ক্ষণিকের জন্যও হোক প্যাঁদির মতো নয়। আর কারোর মতোই নয়।বদলতি সময়কে ইত্তেহার বৈ ত নয়।