★চন্দ্রকোনা হারিয়ে যাওয়া ছোট ছোট ইতিহাস নিয়ে
লিখছেনঃ– দুর্গাশঙ্কর দীর্ঘাঙ্গী
মেদিনীপুরের ভুলে যাওয়া ইতিকথা
পর্ব-৭
ঐতিহাসিক চন্দ্রকোণা
আসাম গভর্ণমেন্টের….
চন্দ্রকোণা, বরদা প্রভৃতি অঞ্চল জায়গীর হিসাবে
চন্দ্রভান ও অন্যান্য ভূ-স্বামীরা ভোগ ক’রতেন।বরদার জমিদার দলের তখন নাবালক ছিলেন
এবং তিনি চন্দ্রভানের নিকট আত্মীয় ছিলেন।
এই সব ভূ-স্বামীদের মোঘলদের পক্ষে যুদ্ধভিযানে
যোগ দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু চন্দ্রভান বা অন্যান্য
জমিদারেরা তা’ দেন নি”। বাহারিস্তানে’ আরও এক
স্হানে লিখিত আছে যে,………. “If he learnt that Bahadul Khan Hijiliwal and Zamindar
of Chandrakuna were unwilling to present
themselves (at the Governor’s court) they should be brought by force by any means
he thought best (Baharistan vol I. 328 p.)
সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্য ভাগ হ’তে অর্থাৎ আওরঙ্গজেব বাদশাহের রাজত্বকালের প্রারম্ভিক
যুগ হ’তে এতদ্দেশে বিদ্রোহানল ধূমাবতী হ’তেছিল,
শতাব্দীর শেষ ভাগে তা ভীষণ জ্বালাময়ী শিখা
বিস্তার করে। এ সময় সুবিখ্যাত রাজা শোভা সিং
চেতুয়া, বরদার জমিদার ছিলেন এবং বর্দ্ধমান
চাকলার অধীনে সরকার মান্দারণ, সরকার মান্দারণের অধীনে ছিল চন্দ্রকোণা, বরদা, চেতুয়া
ইত্যাদি পরগনা। বর্দ্ধমানাধিপতিগণের তখন রাজা
বা মহারাজা উপাধি ছিল না, চৌধুরী উপাধি ছিল।
চৌধুরী কৃষ্ণরাম রায়১৬৯৪ খৃষ্টাব্দে সম্রাট আওরঙ্গজেব নিকট হ’তে একখানি ফরমানে
বর্দ্ধমান পরগণার জমিদারী এবং সমগ্র চাকলা
বর্দ্ধমানের সরকারী রাজস্ব আদায়ের ভার প্রাপ্ত
হন। চন্দ্রকোণাধিপতি চন্দ্রভান ও বরদার রাজা
শোভা সিং তাঁদের দেয় রাজস্ব কয়েক বৎসর বাকি
ফেলেন। তখন চাকলার বর্দ্ধমানধিপতি কৃষ্ণরাম
রায়ের নিকট হ’তে রাজস্ব আদায়ের তাগিদ ও
পরোয়ানা আসে। শোভা সিং ও চন্দ্রভান পরোয়ানা
অগ্রাহ্য করে ফেরত দেন। চাকলাদার বর্দ্ধমানরাজ
ঢাকার সুবেদারের নিকট এই সংবাদ পাঠালেন।
ইত্যবসরে শোভা সিং চন্দ্রকোণারাজের সাহায্যে উড়িষ্যার পাঠান সর্দ্দার রহিম খাঁকে স্বপক্ষে যোগদানের জন্য আহ্বান করেন ।
তথ্য সুত্র : “ভগ্ন দেউলের ইতিবৃত্ত”
– শ্রী কানাই লাল দীর্ঘাঙ্গী।
চন্দ্রকোণা।
ক্রমশঃ….
★★★