ছবিঃ গৌতম মাহাতো
অমিয় কুমার সেনগুপ্ত-র কবিতাগুচ্ছ
আগুন যার প্রতিটি শব্দের কলমে-যিনি এযাবৎ অনেক পথ অতি দ্রুত পায়ে পেরিয়ে এসেছেন তিনি সময়ের অতন্দ্র প্রহরী কবি অমিয়, কবি অমিয়কুমার সেনগুপ্ত। সাহিত্য জগতে একটি বহুল পরিচিত নাম। রাঢ়ে এ অহল্যাভূমিতেই শুধু না—অক্ষরচাষি আজ এপার বাংলা ওপার বাংলা ছাড়িয়ে চষে ফেলেছেন মাটি। কবিতার প্রজাপতি বনে সবাই তাকে স্বাগত জানায় হৃদয়ের জ্যোৎস্নারাতে। কবিতার আবাসেই কবিতার নবজন্ম ঘটে। তার প্রতিটি কলম সকালের আলাে হয়ে অজস্র সৃষ্টিকে আমাদের স্বপ্নে জড়ায়। আমরা বিমােহিত হয়ে জেগে উঠি আনন্দে… কবির মনের অফুরন্ত ঝরণা এমনই বয়ে চলে নতুন চেতনা, নতুন আলােক। যার লেখা শিরায় শিরায় উদ্দীপনা জাগায়- তিনিই ব্যতিক্রমী কবি। অথচ গাঁয়ের মাটির গন্ধ তার সারা গায়ে মহানগরের আলাের বৃত্ত থেকে বহু দূরে।
আমাদের মূল্যবোধে দুর্নিবার মড়ক এখন..
দেখো হে আপনজন, অমল শস্যের মাঠে এখন কেমন অবেলায়
নেমেছে হাতির দল! মত্ত তারা, দুঃশাসন। নিষেধ মানে না।
কে তাদের বাধা দেবে ? বাধা পাওয়া নামক শব্দটি
ওদের যে অভিধানে নেই।
আরো দেখো, সুরভিত রূপের বাগানে
ষাঁড়ে খাচ্ছে লাল ফুল। বাগানের প্রহরী তো ভয়ে
পালিয়ে গিয়েছে। পাখি গান গেয়ে বিদ্রোহ জাগালে
চিতাবাঘ হাই তোলে। তোমার প্রাণের পাখি দেখো
ধরা আছে চিতার থাবায়।
(আহা কি সাদৃশ্য দেখো ষাঁড়ে ও চিতায় ! )
তাহলে এখন তুমি কোথায় দাঁড়াবে ?
বন্ধু বলে কাকে ডাকবে কাছে ?
কোথায় মানুষ পাবে ? মানুষেরই অদ্ভুত ম্যাজিকে
মানুষই তো হাতি, ষাঁড়, চিতাবাঘ আরো যা-ই বলো….
ফুল-পাখি-নদী-গান-শস্যকণা-বাতাস-রোদ্দুর
সবার ভেতরে এক সর্বভুক জীবন ঢুকেছে।
তার যে প্রতিভা কত, তুমি তা জানো না, প্রিয়জন !
ওরা জানে। ওরা সব জানে। তুমি নির্মল বিশ্বাস
কার কাছে খুলে দেবে, খুলে দিতে চাও এই ভরা খরা-দিনে !
জানো না বলেই তুমি তমোঘ্ন সূর্যের দিকে চেয়ে
রাত্রি হননের গান সোনাতে চেয়েছ এই মুঢ় পৃথিবী কে ?
পৃথিবীর শোনে না, গান ফিরে আসে তোমারি দু’কানে ।
এখন জগৎময় বড়ই আকাল ! বড় দুর্ভিক্ষের দিকেই সবাই
হাঁটছি। হে প্রিয়জন, আমাদের মূল্যবোধে দুর্নিবার মড়ক এখন।
ধ্বংসের কাজ কখনো হয়না ছবি
ধ্বংসের কাজ কখনো হয়না ছবি।
বললেন কবি কানে-কানে ওই ধ্বংসকারী কে। তবু
ধ্বংসের লীলা থামেনি। সে তার স্বভাব কে সংহত
করতে পারেনি। কবি বললেন : কংস কে মনে পড়ে ?
পরমহংসের মতন কি তার অতটা এলেম্ আছে ?
সে কি চুম্বক ? আবিষ্ট করে রেখে দেবে সব লোহা
ঝুলিয়ে আকাশে ? যে ভাসে সাগরে জাহাজ না প্রান বোঝা
যায় না । যাবে না রক্তকে তার পুনর্শুদ্ধ করা ।
বংশের বাতি জ্বলেও জ্বলে না । গলেনা পাথর। হরি
যাকে রাখে তাকে কে মারে, কে কার দ্বারে
কত্বাল নিয়ে কীর্তন গায়, হে চন্ডীদাস, শোনো—-
বাসলি তোমার মন্দিরে নেই। মনোমন্দিরে তালা
দিয়েছে পাতকচারিনী বাতাস, যে ঘাস হাতের তালু
সবুজ করেছে, অবুঝ শিশুর হাসিতে জমেছে কালি।
বহুরূপে নেই সম্মুখে কেউই— চোখের নজরে ধুলো
দিয়ে কে ভাঙতে উদ্যত হয় মানুষের ঘরবাড়ি—
উপনেত্রের ঝাপসা দৃষ্টি, আম্রবৃষ্টি রাতে
সৃষ্টিকে সব নাশ করে দেয়, কৃষ্টি-বিনাশে তবু
সব কালো হাত এক করে কার আগুনের ঘুড়িখানি
ওড়ে ! ওরে কোন্ হার্মাদ এল উঠোনে, ঘরের কোণে
যুবতী বৌয়ের গোঙানি, কী জানি সন্তান-প্রেমে পিতা
জীবন দিলেন ! খলনায়কের কীর্তির ধ্বজা খানি
ঘানিটানা সব গরু ধরে রাখে সন্ত্রাসে-সংক্ষোভে
এসবে তেমন জমে না নাটক ! আটক করেছে যাকে
সেই তো তোমার পরম সুহৃদ, বহুমানভাজনীয়—
কবি বললেও ধ্বংস তবুও ছবিরই আখ্যা পাবে।
কোথায় যে বসাবো তোমাকে
কোথায় যে বসাবো তোমাকে।
সেই তো অন্তিম কালে গলায় ঠরকা বেঁধে ছেড়ে দিয়েছিলে
আমাকে, আমার সেই দিন সেই কথা
মনেই পড়ে না আজ ! ঝড়ের মাতনে একদিন এক শোকার্ত সন্ধ্যায়
হাত পেতে, ওঁত পেতে বসেছি এক জংগলের নির্জন ছায়ায়—-
মনেই পড়ে না আজ। ঘরের বাঁধন ছেড়ে যতই বেরিয়ে যেতে চেয়েছি বাহিরে
একটি অস্পষ্ট মুখ দুইটি অদৃশ্য হাত বেমালুম শিহরিত করেছে আমাকে__
ফিরে এসে সেই হাত সেই মুখ প্রত্নতত্ত্বে পুরাতন ধাঁচে
আবার সামনে এসে দেদীপ্যমানতা নিয়ে রৌদ্ররেখ দোদুল বলয়ে
ক্রমশ জীবন্ত হয়। হাত দুটি ধরে সেই ফুটন্ত খইয়ের মতো কথা–
বলা এক মুখ, এক শরীরের জলীয় প্রতিমা, বাষ্পে ভরন্ত হৃদয়।
অন্ধকারে কথা কয় কে যে !
রোদের ঝালরে যার বায়োবীয় বিভা, যার কবোঞ্চ মনের রেণুকণা
চকিতে উড্ডীয়মান, প্রিয় ফুলে পুজো দেব বলে
বাগানে ঢুকেছি যেই, কেউই নেই, কেউই
ডাকে না আমাকে, পাখিটাকে
দৃষ্টিবদ্ধ আঘাতের বলয়ে বাঁধতে গিয়ে ক্ষতদীর্ণ হই– ব্যথা পাই।
সে–ব্যাথায় ঋদ্ধ হই। সমৃদ্ধ হওয়ার মত কিছুই ছিল না। আজও নেই।
অথচ অন্তিমকালে খোদার খাসির মতো বেহিসাবী বিহার করেছি।
আঃ খোদা-ঈশ্বর, ওগো জগতের নিয়ন্ত্রক সুদর্শনদেহী
পুরুষ, তোমার কাছে ভিক্ষা চাই, দীক্ষা চাই, শিক্ষা চাই । দাও।
তিতিক্ষা–বিকীর্ণ হৃদে কোথা যাই ! কোন হারাতে গিয়ে কোন দুরাত্মার জালে
আবদ্ধ মরণাবধি ! যদি পাই দেখা, একা থাকার অনীহা
কেটে যাক, হেঁটে যাক আমার পৌরুষ ঐ দিগন্তের বাগানের দিকে—
তা হয় না । ভাবি,
কোথায় যে বসাবো তোমাকে !
গান শোনানোর যতই তুমি…
গান শোনানোর যতই তুমি চেষ্টা করো, কন্ঠে তোমার
শব্দ ফুঁড়ে কোন কথাই বের হবে না !
ভাববে সবাই, হয়ত বোবা, ভাববে তুমি হয়তো হবে…
চিনতে তোমায় পারবেনা কেউ, পারবে তুমি চিনতে ওদের ?
পারবে না। কেউ আর যাবে না তোমার বাড়ির দরজা গোড়ায়।
বলবে না কেউ, গান শোনাবে, অমল ভায়া !
দেখতে ওদের পেলেও চোখে চিনতে কি আর পারবে তেমন,
যেমন ভাবে ওদের তুমি চিনতে আগে ?
যেমন ভাবে বলতে কথা, চলতে ওদের সঙ্গে পথে,
সেই পথটার নকশা কি আর স্মরণ আছে ?
ক্ষরণ যতই হোকনা প্রবল রক্তে হিমোগ্লোবিন বেশি।
অ্যানিমিয়া তাই হবে না তোমার আদৌ।
একটু-আধটু ইঞ্জুরি যা ওষুধ খেলেই উঠবে সেরে।
অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে অ্যানালজেসিক একটু । এবং
একটু ড্রেসিং, একটু মলম, একটু ওয়েট….
ততদিনে গলায় তোমার ধস্ নেমেছে । এবং তোমার
এরা কাটেও রেপুটেশন নিচের দিকে।
দাঁত আছে । তাও হাসির মোহর আর ঝরে না, আর ঝরে না !
দুহাতে আর ধরে না কেউ তোমার ওজন। তোমার ভোজন
পাকস্থলী বের করে দেয়। কলিকি পেন্, বৈদ্য ডেকে
পাদুটোকে আবার তুমি সচল করো, অচল করো
তোমার ওপর জনগণের এই সময়ের আইডিয়াটা।
পারবে কি তা ? কন্ঠ তোমার শব্দরোধক মেশিন এখন।
শৈশবের খেলাশাল আজ …
নিখিলেশ মনে পড়ে আমাকে ? আমার
কথা মনে পড়ে ?
আমার যখন সাত চড়ে
কোন কথা বের হতো না। কারো সাথে ঝগড়া কদ্যপি
হয়নি। বন্ধুত্ব শুধু তোর সাথে । তোর
সমস্ত আমার মনে গেঁথে আছে। শুধু
ভুলে গেছি তোকে বেমালুম।
আজ এই ক্ষয়ে- যাওয়া বর্ণহীন অপরাহ্নে কেন যে সে-সব
মনে পড়ে যায়… মনে পড়ে
বাল্যের ছবিটি আজ বার্ধক্যের দুয়ার গোড়ায়
ঝাপসা কাঁচের ফ্রেমে বাঁধানো …. ধাঁধানো জলছবি —-
আজ আমার মনে পড়ছে সবই।
অথচ কিচ্ছুতে
তোর মুখ মনেই পড়ছে না।
তোর মনে পড়ে ?
মনে পড়ে নিখিলেশ, শৈশবের খেলাশাল আজ
জরত্বের শশান । সেখানে
কেউই নেই। কিছু নেই। পড়ে আছে শুধু
কিছুটা যন্ত্রণা, কিছু নিঃস্বতার বাসি ফুল আর
পচে যাওয়া মূল্যবোধ, ক্লীবত্ব এবং
বিবেকের ক্ষয়িষ্ঞু কঙ্কাল….
এরাই আমার আজ সঙ্গী সহচর।
তবে কি এরাই সব তোর প্রতিনিধি ?
তবে কি এরাই তোকে ভুলতে দেয়নি ? তবু কেন
তোর মুখ মনেই পড়ে না, নিখিলেশ।
এখনো আমার গায়ে ধুলোবালি, গু-গোবর,
ভিখারীর জরাজীর্ণ বেশ।
এত রক্ত হাতে
এত রক্ত হাতে মেখে কোথা হতে এলে হে মাধব।
এত ধুলো গায়ে,
এত কাঁদা পায়ে,
কাপড়-চোপড়ে দাগ রক্তের, দু’চোখে
লাল রঙ।
মাটির ওপরে স্থিত নরমূর্তি, নৃপতি স্বয়ং
দাঁড়িয়ে দেখেছে সব, কলরব করেছে পাখিরা।
গর্জন করেছে মেঘ, বাতাস তো উদ্দাম প্রতাপে
নাচানাচি করেছে। রাতের
নিঃস্তব্ধতা ভেঙে দিতে ঘুমন্ত জনপদে
কুকুর।
সমস্ত বসত গাঢ় ঘুমে।
সমস্ত আবহে কালো বস্ত্রঢাকা হৃদয়হীনতা–
আলো নেই । চোখ জ্বেলে মাঠ ভেঙে এসেছ কোথায়
মাধব, তোমার গায়ে উত্তেজক গন্ধের প্রলেপ।
নদীতে নামতে চাও, ডোবাতে চাও ? নদী অনুমতি
দেবে না তোমাকে।
রাতপাখি সকাতর বিক্ষোভ জানাবে।
বাতাস তোমাকে দেবে বাধা।
তোমার হবে না আর শুদ্ধিস্নান । ভোর হয়ে এলে
রোদ্দুর পড়াবে মুখ। আগুনের হালকা হাওয়ায়
ঝলসে যাবে তোমার দু’চোখ।
তখন কি পার পাবে ? হাতড়ে যাবে খড়কুটো।
পাবে না, পাবে না
আমরণ কোন শান্তি। রক্ত হাতে তোমার আঙুলে
গলিত ক্ষতের গর্তে ম্যাগটের কিলিবিলি। শাস্তি পেতে হবেই
তোমাকে, হে মাধব।
শরীরী প্রেম জলের ধারা
ঈশ্বরী গো দোহাই তোমায় ! বয়স ভেঙে চুরমার যে !
আমার বয়স হিসাব করো, তোমার বয়স কেউ জানে না।
কেউ জানে না কোথায় থাকো, একলা, নাকি সহবাসে,
এ-সব কথা বলতুম না। বলতে এখন শরম লাগে।
গরম যা তা মরম ভেঙে পড়ছে জলে হলের মতো।
জানে এতে কষ্ট পাবে। কষ্ট তোমার প্রাপ্যই। তাই
দুঃসময়ের গল্পগুলি ঝুলির থেকে বিড়ালছানার
মতন যদি লাফিয়ে পড়ে… ঝড়ে যদি যায় উড়ে সব
তখন কি আর তোমার থাকার অজ্ঞাতবাস-জায়গা
হবে?
একলা, নাকি সহবাসে, জানবে কি কেউ, ঈশ্বরী গো…
যখন ছিলে সঙ্গে আমার, রঙ্গে বুকের লোমগুলি সব
বাতাস থেকে আনত তুলে উজ্জীবনের জীয়নকাঠি।
মনে কি আর রইছে এ-সব, কোন্ দিগন্তে শব্দ কিসের,
ধানের শীষের সমস্ত দুধ শুকিয়ে কেমন পাথর হল !
আতর ভেবে সে-সব হরন করতে গিয়েই বরং যাকে
তাকেও স্মরণ হচ্ছে না আর ! ভাবলে কচি খুকির মতন
জীবন্তকাল অমর-অজর। হয় না তা । তা হয় না বলেই
গাছ-পাথরের বয়সটা কে আগলে রাখো মেয়েবেলায়।
আমার কিন্তু হচ্ছে বয়স, ইগো-তে নই প্রত্যয়ী আর।
জীবনচক্রে ঘুন ধরেছে। বিনাশ মুখী জরত্বকাল।
তোমার অবস্থানের খবর কেউ জানেনা। আমিই জানি।
সাহস করে বলতে গেলে কষ্ট না। বেশ শরম লাগে।
তথাপি কোন্ হাতছানিতে আজ এতদূর এসেও বিফল !
শেকল কেটে পালিয়ে যাব ! তেমন এলেম্ কোথায় আমার।
জড়িয়ে আমায় কোন্ ফাঁদে আজ শরীরী প্রেম জলের ধারা।
উথ্লে ওঠে শেষ যাত্রায়, বর্ণনা দাও, ঈশ্বরী গো….
তবুও মানুষ, তোমায়…
শোকতর্পণ টুইটারে কার, দর্পণ কার চোখে !
সৌররশ্মি- লালিত কোন্ প্রত্যাঘাতের শোকে
নির্মীয়মান বর্ণমালার লেটার টানাটানি—-
অ্যাডজেক্টিভ প্রযোজ্য নয়। অন্তত কাটমানি
পেলেই জীবন পূর্ণ হবে, পূণ্য হবে, সখা–
এই বয়সে নিষ্প্রয়োজন তেমন বকাঝকা।
তাতেও যদি ফল না-মেলে ডাকঘরে যাও; গিয়ে
চিঠি পাঠাও। পিন্ মেনশন করতে হবে। নিয়ে
আসতে হবে ফিরতি রশিদ। পাশবুকে কার জমা
টাকার নিকেশ করতে গিয়েই ঘেঁটেছ নর্দমা।
লাইফ স্টাইল পাল্টে ফেলে ছোকরা হতে হবে।
সাংবাদিকের গলায় দড়ি। অহেতু মোচ্ছবে
শোক প্রকাশের বাহুল্য না। কোন্ অফিসার কাকে
আনতে বলেন কারণবারি, যাও না গিয়ে তাকে
গ্রিটিংস জানাও জন্মদিনের। ধম্ম-মা’কে বলো :
প্রজন্ম-পাপ কইগো মোছে ! নাক বরাবর চলো
ওই বাজারের গলির পথে, দলিত স্পন্দনে
আজকে কেমন মনমরা সব কালের উদ্বহনে…
সেলুলয়েড নাও দেখে, আর কবিতা না পড়ো—-
শ্লোগানে গান, একরঙা সব পাখিরা হয় জড়ো….
কে কোন্ ফুলে নিচ্ছে পুজো ! কুঁজো হয়ে ওরা
হোমেজ্ জানায় কোন কবিকে ! কেমন যে রঙচোরা
প্রতিচ্ছবি, ফেসবুকে যার বার্তা দিলেন উনি—
রেগেই তাতে অগ্নিশর্মা মাটির নারদমুনি।
সংসদে কে বাজাচ্ছে ঢোল, বোল্ তুলে ডুগডুগি—
হর্স-ট্রেডিংয়ে এমপি পড়েন… খালের পাতা ঘুগি—
মাছ পড়ে না। কাঠপোকা সব কিলবিলিয়ে নড়ে।
তবু মানুষ, তোমায় ভালবাসতে ইচ্ছে করে।
★★★