ছোটগল্প — হৃদয়ের সেতুঃ লিখছেন-মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি

ছোটগল্প

হৃদয়ের সেতু

                                                                                       ছবিঃ গৌতম মাহাতো

লিখছেনমঙ্গলপ্রসাদ মাইতি

                                           

গল্পকার হলেও কবিতার প্রতি তাঁর টান অন্তরের।এপার বাংলা ওপার বাংলা জুড়ে তিনি লিখে চলেছেন বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনসহ বানিজ্যিক পত্রিকাতেও।শিক্ষাশ্রী ও রাষ্ট্রপতি সম্মানে ভূষিত এবং তিনি সকলের বড্ড কাছের মানুষ।

নীলিমেশ শুনেছিল ইব্রাহিমরা গরিব – কিন্তু এতখানি গরিব তা সে জানত না। ইব্রাহিমের বাড়িতে পা দিয়ে আজই প্রথম সেটা অনুভব করল নীলিমেশ। আজই সে প্রথম দেখল কি অসহনীয় দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছে তার বন্ধুর গোটা পরিবারটা।
   যে ঘরটায় নীলিমেশকে বসতে দেওয়া হয়েছে সেটি ছিটেবেড়ার তৈরি একটি জীর্ণ কুঁড়েঘর। স্যাতসেঁতে মেঝে। চালের হেথায় হোথায় খড় উঠে গেছে। সেই ফুটো দিয়ে সূর্যের আলো অনায়াসে ঢুকে পড়েছে ঘরের ভিতর। এক একটা ছোট বড়ো গোলাকার চাঁদ হয়ে হাসছে তারা। বৃষ্টির দিনে য’ ফোঁটা জল পড়ে ত’ ফোঁটাই যে বিনা বাধায় ঘরের ভিতর চলে আসে তা সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায়। এক কোণে একটা বাঁশের খুঁটির সঙ্গে ঠেস দিয়ে দাঁড় করানো কতকগুলো টিনের বাসনপত্র। অনেকদিনের ব্যবহারে সেগুলোর শ্রী-ছাঁদ সবই নষ্ট হয়ে গেছে। একপাশে ছোটো-বড়ো কতকগুলো মাটির হাঁড়ি-কলসি। আর একদিকের ফাটল ধরা দেওয়ালে মরচে ধরা টিনের একটা আলমারি; তাতে গুটিকয়েক ওষুধের শিশি-বোতল এবং খানকতক বাটি-প্লেটে এলোমেলো করে সাজানো ঘোড় গেরস্থালির কাজে ব্যবহার্য আসবাবপত্রের সঙ্গে মানানসই হয়ে একজন শীর্ণকায় বৃদ্ধ একটা ছেঁড়া মাদুরের উপর শুয়ে আছে। বেলা সাড়ে আটটা তখনো সে ঘুমোচ্ছে। হাড় জিরজিরে রোগগ্রস্ত চেহারা। বুকের মাঝে চাপা সর্দি নি:শ্বাস নেওয়ার সময় ঘড় ঘড় শব্দ তারই প্রমাণ দিচ্ছে। যে কোনো সময় প্রাণবায়ু বের হয়ে যেতে পারে তারই সীমায় যেন এসে দাঁড়িয়েছে বৃদ্ধ। এই অসুস্থ বৃদ্ধটি যে ইব্রাহিমের বাবা তা বুঝে নিতে নীলিমেশের এতটুকুও অসুবিধা হল না। 
   একটা চৌকির উপর নীলিমেশ বসেছিল। যেখানে বসেছিল সেখান থেকে বাইরের দিকে তাকিয়ে সে দেখল – এই ঘরটার গা’ ঘেঁষে আর একটা অনুরূপ কুঁড়েঘর – সেটারও অবস্থা একই। তারও খড়ের চাল উঠে গিয়ে বাতাগুলো দাঁত বের করে যেন খিঁচিয়ে আছে। সেখান থেকে চোখ ফিরিয়ে পাশের খোলা জানালাটায় দৃষ্টি ফেলল নীলিমেশ। কিন্তু সেখানেও দেখতে পেল সেই একই বেদনার ছবি। একটা বড়ো আমগাছ। তারই তলায় একটা উনুনে ধান সেদ্ধ হচ্ছে। পঁচিশ-ছাব্বিশ বছরের এক বিবাহিতা রমণী একটা লাঠি করে উনুনে শুকনো পাতার জ্বাল ঠেলছে। কপালে তার বিন্দু বিন্দু ঘাম। পরণের শাড়িটা শত ছিন্ন। ব্লাউজের কিছু অংশ ছিঁড়ে গিয়ে বামদিকের বুক ও পিঠের মাঝ বরাবর ঝুলছে। তার কোলে একটা বছর দু’য়েকের বাচ্চা। মায়ের বুকের দুধ খেতে খেতে ঘুমিয়ে পড়েছে। এ রকটা বছর পাঁচেকের বালক খানিক দূরে দাঁড়িয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। দু’গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে চোখের জল। ছেলেটার দু’হাতে খোস-পাঁচড়ায় ভর্তি আর পায়েও কি সব দগদগে পচা ঘা। ছেলের কান্না শুনেও মা কিন্তু নিস্পৃহ, নির্বিকার। শুকনো করুণ মুখে কি যেন ভাবছে সে। নীলিমেশ শুনেছিল, ইব্রাহিমের একজন বৌদি আছে। নীলিমেশ ভাবল – এটিই  তাহলে সেই বৌদি। কিন্তু একি নিরাভরণ আসজ্জিত দেহ! নিদারুণ দারিদ্র্য আর অভাব যে তার দেহের সৌষ্ঠব আর সৌন্দর্যের যাবতীয় রসকে শুষে নিয়ে একেবারে শ্রীহীন – কালি করে দিয়েছে তা বুঝে নিতে বিন্দুমাত্র সময় লাগল না। যে বৃদ্ধা তাকে বাড়ির ভিতর এনে চৌকি পেতে দিয়ে গিয়েছিল সেই বৃদ্ধাকেও দেখা  গেল ধানসেদ্ধর কাছে। কুলোয় করে ধান পাচুড়ছে সে। তারও পরণে তেল চিটচিটে অনেক কালের পুরোনো একখানি কাপড়। তার শীর্ণ-দুর্বল দু’চোখে এক অসহায় দৃষ্টি। আর্থিক অসচ্ছলতা এবং সাংসারিক দুশ্চিন্তা তাকে যেন পঞ্চাশ বছরের সীমা টপকে আশি বছরের কোঠায় নিয়ে চলে গেছে। 
   বাড়িটার যেদিকে তাকাচ্ছে সেদিকেই নীলিমেশ দেখছে দারিদ্র্যের সকরুণ চিত্র। তার দু’চোখের পাতায় ভেসে উঠছে অভাবগ্রস্ত আর দারিদ্র্য-লাঞ্ছিত একটি পরিবারের দু:খ জ্বালা ও যন্ত্রণার এক অতি ভয়ঙ্কর অথচ সত্যিকারের এক বাস্তব ছবি। সে যেন শুনতে পাচ্ছে দুর্ভাগ্যপীড়িত কতকগুলো জীবনের এক করুণ সঙ্গীত। যে ছবি, যে দৃশ্য, যে গান তার কাছে এতদিন ছিল সম্পূর্ণ অপরিচিত-অজ্ঞাত। বুকের মধ্যে কেমন যেন একটা অস্বস্তি অনুভব করে নীলিমেশ। এ 
                           
বাড়ির বাতাসে দম যেন তার আটকে যেতে চাইছে। একবার ভাবে-এখনই এখান থেকে পালিয়ে না গেলে সে বাঁচবে না। মরণোন্মুখ জীবনগুলোর বিরূপ-ভ্রূকুটি তাকে বুঝি পাগল করে দেবে। পরক্ষণেই ভাবে-বন্ধুর বাড়ি এসে বন্ধুর সঙ্গে দেখা না করে কী যাওয়া যায়? তাছাড়া এখনই উঠতে গেলে তাকে মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে উঠে যেতে হবে। তাই উঠতে গিয়েও উঠল না সে। হাহকারে পরিকীর্ণ পরিবেশের মধ্যে একবুক কষ্ট নিয়েও সে তেমনি ভাবেই বসে রইল। 
   নীলিমেশ আর ইব্রাহিমের বন্ধুত্ব একেবারে বাল্যবেলার না হলেও সেই কিশোরকাল থেকেই গড়ে উঠেছে। ক্লাস নাইনে যখন পড়ে তখন থেকেই তাদের পরিচয় তখন থেকেই দু’জনের মধ্যে জমে উঠেছে প্রেম। তারপর যত সময় গেছে ততই তাদের বন্ধুত্ব আর প্রেমের বন্ধন দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত একই সঙ্গে থেকেছে-একই সঙ্গে পড়াশুনো করেছে। পরীক্ষার নম্বর পাওয়ার দিক থেকে দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুটা ফারাক থাকলেও দু’জনের বন্ধুত্বে ছিল না কোনোরকম ঘাটতি। নীলিমেশের অমায়িক ব্যবহার, সদা হাস্যোচ্ছল কথাবার্তা আর ইব্রাহিমের সারল্য ও সততা পরস্পরকে অতি কাছে টেনে নিয়ে এসেছে, একে অন্যের উপর হয়েছে মুগ্ধ। এক সময় নিজেদের অজান্তে হৃদয়ের বড়ো কাছাকাছি এসে পড়েছে তারা। 
   কখনো বন্ধুর অনুরোধে কখনো দরকারি বইপত্র নিতে মাঝে মধ্যে ইবাহিম নীলিমেশের বাড়ি গিয়েছে কিন্তু প্রচণ্ড ইচ্ছা সত্ত্বেও নীলিমেশ এর আগে কোনোদিন ইব্রাহিমের বাড়িতে আসেনি। অথচ এমন কোনো প্রয়োজন ছিল না। শুধুমাত্র বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতেই নীলিমেশ আজ ইব্রাহিমের বাড়িতে এসেছে। আর এসে থেকেই তার মনের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অদ্ভুত এক ভাবান্তর। সে যেন নতুন করে সঞ্চয় করতে বসেছে জীবনের আর এক অভিজ্ঞতা যে পাঠ তার এতকাল নেওয়া হয়নি। ইব্রাহিমের বাড়িটাকে যতই দেখছে কেমন যেন এক ধূসর বিষণ্ণতায় ভরে উঠেছে তার অন্তর। যে ঘরটাতে সে বসে আছে সেই ঘরের ফাটল ধরা দেওয়াল, ফুটো চাল, দাঁত বের হওয়া বাতা, বিছানায় শায়িত অসুস্থ এক বৃদ্ধের করুণ চাহনি, স্বপ্নবিধ্বস্ত এক যুবতী নারীর নীরব বেদনা, পচা দগদগে ঘা’তে জরাজীর্ণ এক বালকের করুণ কান্না –সব সব তাকে আনন্দের পৃথিবী থেকে সরিয়ে এনে দাঁড় করিয়েছে যন্ত্রণাক্লিষ্ট এক ব্যথার কঠিন ভূমিতে। চারদিক থেকে মৃতোন্মুখ কতকগুলো অশরীরী মূর্তি তার কানে কানে এসে যেন বলছে – কি ধনীর দুলাল, কি ভাবছ তুমি? দেখে যাও-দু’চোখ ভরে দেখে যাও তোমার বন্ধুর অভাব-লাঞ্ছিত পরিবারের দৈন্যদশাটা। এখনই উঠে পড়বে কী?
   শিক্ষিত বুদ্ধিমান নীলিমেশ কেমন যেন বোকার মতো বসে থাকে। কি উত্তর দেবে – কাকেই বা দেবে ভেবে পায় না সে। বুক জুড়ে ভীষণ এক ব্যথার দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে তার। সে ভাবতে থাকে-এই কষ্টের সংসার থেকে ইব্রাহিম কি করে এতদূর পড়াশোনা করল? আত্মধিক্কারের গ্লানিতে ছটপট করতে থাকে সে। এতদিন মনে মনে সে গর্ববোধ করত-ইব্রাহিমের থেকে তার বুদ্ধি বেশি। কিন্তু এখন সে পরিষ্কার বুঝতে পারছে আসল রহস্যটা কি। ইব্রাহিমের বুদ্ধি-মেধা তার থেক অনেক অনেক বেশি। ছোটবেলা থেকেই অভাবের স্বাদ কি তা বুঝতে পারেনি নীলিমেশ। পড়াশুনোর সময় যখন যা চেয়েছে তাই সে পেয়েছে। চাওয়ার অনেক আগেই পেয়েছে সমস্ত রকম সুখ, সুবিধা আর স্বাছন্দ্য। কিন্তু ইব্রাহিম সেই সুযোগ কতটুকু পেয়েছে?
   এরই মাঝে সেলিমা বলে মেয়েটি নীলিমেশকে জল দিতে এল। বয়স পনেরো-ষোলো হবে। তারও সাজ-পোশাকেও সেই অভাবের ছাপ। ছেঁড়া ফ্রকে সম্পূর্ণ ঢাকা পড়েনি কিশোরী সেলিমার সন্ধিকালের যৌবন। বোধহয় লজ্জা পেল তাই জলটা দিয়েই সেলিমা সেখান থেকে দ্রুত চলে যায়। সেলিমা চলে গেলে বৃদ্ধটি বলে – ‘এটি ইব্রাহিমের বোন। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। দেখো না বাবা কিছুতেই আর পেরে উঠছি না। তবু ইব্রাহিমের জেদ তার বোনকে সে মাধ্যমিক পরীক্ষাটা দেওয়াবেই।’
   বৃদ্ধকে সান্ত্বনার সুরে বলে, ‘আপনার ছেলে তো ঠিকই বলেছে। শিক্ষা ছাড়া মানুষের মুক্তির কোনও পথ নেই। আমরা মেয়েদের অবহেলা করেছি এটা দেশের দুর্ভাগ্য, কিন্তু আজ পাড়া-গাঁয়ের মেয়েদেরও শিক্ষিত করে তোলাটা একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।’
   এই কথা শুনে কেমন যেন একটা করুণ চোখে বৃদ্ধ নীলিমেশের দিকে তাকায়। বলে – ‘সে তো ঠিক বাবা। কিন্তু আমি যে আর পারছি না। ইব্রাহিমকে মানুষ করতে গিয়েই আমি আজ সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। ওর মায়ের, বৌদির যা গয়না-গাঁটি ছিল তা সবই ওরই পিছনে শেষ হয়ে গেছে। আজ আর কিছু নেই। দেখছো তো আজ সংসারের অবস্থাটা কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। ইব্রাহিমটা যদি একটা চাকরি পেত তাহলে হয়তো সুরাহা একটা হত। কিন্তু তার তো আর উপায় নেই। চাকরির যা অবস্থা আজ দেশে’- একনাগাড়ে কথাগুলো বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে বৃদ্ধ। 
   নীলিমেশ কি যেন একটা বলতে যাবে তা আর হল না। ইতিমধ্যে ইব্রাহিম ঢুকেছে ঘরে। বন্ধুকে দেখতে পেয়েই মুহূর্তের মধ্যে হারিয়ে যায় এলোমেলো যত চিন্তা। আনন্দে ইব্রাহিমকে জড়িয়ে ধরে। বন্ধুকে পেয়ে ইব্রাহিমও খুশি। পাশের 

                                     
ঘরে গিয়ে বসে দু’জনে। তারপর সেখানে চলে ফেলে আসা পুরোনো দিনগুলোর স্মৃতি টেনে কত কথা। বিষণ্ণ মধুর আলাপ আর সংলাপের মধ্য দিয়ে এইভাবে কেটে যায় বেশ কিছুক্ষণ। 
   ফেরার সময় ইব্রাহিম নীলিমেশকে রাস্তাগোড়া পর্যন্ত দাঁড়াতে এসেছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে নীলিমেশ ইব্রাহিমের কাঁধে হাত রেখে বলে – ‘চলি রে। পরে আবার দেখা হবে। আমাদের রাজেন্দ্রনাথ উচ্চবিদ্যালয় থেকে তো ইন্টারভিউ-এর ডাক এসেছে। তা তুই ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছিস তো?’
  -‘যাব। কিন্তু গিয়ে কী হবে বল?’
  -‘কেন?’ নীলিমেশ অবাক চোখে প্রশ্ন করে। 
   বিষণ্ণ-উদাস গলায় ইব্রাহিম জবাব দেয় – ‘ইন্টারভিউ দিতে তো তুইও যাবি। আর চাকরিটা তো হবে ওখানে। আমার যাওয়া সে তো বৃথা।’
  -‘কিরে, এত কী ভাবছিস?’ ইব্রাহিম প্রশ্ন করে।
  -‘অ্যাঁ, না না কিছু না।’ পরক্ষণেই চিন্তার রেখাটা মুছে দিয়ে হাসিমুখে বলে – ‘তুই আমাকে ভয় পেলি ইব্রাহিম? কিন্তু আমি ওখানে ইন্টারভিউ দিতে যাব না রে।’
  -‘যাবি না মানে?’ ইব্রাহিম অবাক হয়। 
   শান্ত গলায় নীলিমেশ বলে – ‘ওখানে প্রতিযোগিতা করতে আমার ভালো লাগছে না রে। তুই একটু ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে ইন্টারভিউ দিস কেমন?’
  -‘হঠাত্‍ সরে দাঁড়ানোর মতলব নিলি কেন?’
  -‘মতলব নয় ইব্রাহিম। বলতে পারিস এটা আমার সিদ্ধান্ত।’
  -‘কিন্তু চাকরিটা তো তোরও প্রয়োজন?’
  -‘হ্যাঁ, প্রয়োজন। তবে তার থেকেও অনেক বেশি প্রয়োজন তোর। তোর একটা চাকরির দিকে নির্ণিমেষ নয়নে তাকিয়ে আছে ক্ষুধায় দীর্ণ, রোগে জীর্ণ তোর পরিবারের সাতটা প্রাণী। আমি চাই তোর চাকরির ছোঁয়ায় সে মুমুর্ষু প্রাণীগুলো নতুন করে বেঁচে উঠুক, ফিরে পাক সত্যিকারের জীবন।’ বলেই কোনোকিছু শোনার অপেক্ষা না করে সাইকেলে উঠে দ্রুত প্যাডেল করে রাঙা মাটির পথ ধরে হুস হুস করে বেরিয়ে যায়। ইব্রাহিম নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকে। 

                                   ★★★

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *