জ য় ন্ত কু মা র ম ল্লি ক–র একটি ধারাবাহিক গদ্য(ত্রয়োদশ পর্ব)
অথ নেকড়ে-মানব-মানবী কথাঃ গল্প বনাম সত্যি ঘটনা (ত্রয়োদশ পর্ব)
সুন্দরবন
আগেই বলেছি বহু বছর পর এক ধূসর নেকড়ের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল বাংলাদেশে। ১৯৫৭ সালে পশ্চিমঙ্গ সরকার থেকে প্রকাশিত শচীন্দ্রলাল মিত্রের লেখা “বাংলার শিকার প্রাণী” বইতে উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৪০ সালে নোয়াখালির চরাঞ্চলে সর্বশেষ নেকড়ে দেখা যায়। বাংলাদেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার কারণ ছিল নির্বিচারে হত্যা। নেকড়ে মারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই দেশে পুরস্কার পর্যন্ত ঘোষণা করেছিল। আবারও সেই বিরল প্রজাতির প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ নেকড়েকেই পিটিয়ে মেরে ফেলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কিছু কৃষক। কৃষকদের অভিযোগ, নিজেদের পোষা গোরু-ছাগলদের বাঁচাতেই তাদের বাধ্য হয়ে এমনতর কাজ করতে হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে মে’র শুরুর দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী চলে যাবার পর বরগুনার তালতলিতে বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। রাতের আঁধারে গৃহপালিত পশুদের উপর আক্রমণ করতে থাকে। এরই মধ্যে একটি বাছুরকে খেয়ে ফেলে। গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারা দেওয়া শুরু করে বাঘ আতংকে এরই মধ্যে কুকুরের মত একটা প্রাণীর দেখা মেলে তবে তা অনেক দূর থেকে দেখায় কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি কুকুর নাকি বাঘ। অবশেষে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পরে প্রাণিটি। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তখন অনেকেই মনে করেছিল এটা সোনালী শিয়াল (Canis aureus)। পরে মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহের পর প্রকাশিত ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায় এটি নেকড়ে। বরগুনার তালতলিতে পিটিয়ে হত্যা করা নেকড়েটির পরিচয় আবিষ্কারের পেছনে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও প্রাণী গবেষক মুনতাসির আকাশ। তিনি জানান, যখন এটি লোকালয়ে এসে বিভিন্ন গৃহপালিত প্রাণীর উপর হামলা করতে থাকে এবং সর্বশেষ একটি বাছুরকে হত্যা করে অংশ বিশেষ খেয়ে ফেলে স্বাভাবিক ভাবে সাধারণ মানুষ এবং গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়। পরে পিটিয়ে হত্যা করে। কিন্তু কেউই বলতে পারছিল না এটা কি প্রাণী। আমার নেকড়ে হিসেবে সন্দেহ হলে আন্তর্জাতিক কয়েকজন মাংসাশী প্রাণী বিশেষজ্ঞকে জানাই এবং এই এলাকায় পাঠাই তারা হলেন ড. যাদবেন্দ্র দেব, ড. উইল ডাকওয়ার্থ, ড. জান কামলার এবং আমি নিজেও এই এলাকায় গিয়ে আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বলি তারা জানান, এমন প্রাণী তারা এর আগে এই এলাকায় দেখেনি এবং পার্শ্ববর্তী টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনেও এমন কিছু তারা দেখেনি।
ব্যাপারটির শেষ দেখতে চেয়েছিলেন আকাশ। আর তাই বরগুনার ডিসি অফিস থেকে গ্রামবাসীর পিটুনিতে মৃত ওই প্রাণীটির আরও কিছু ছবি সংগ্রহ করেন তিনি। সুন্দরবনের যে এলাকাটিতে প্রাণীটিকে হত্যা করা হয়, তা বরগুনারই অংশ। নতুন এই ছবিগুলো আকাশ ও তার সহকর্মীদের সন্দেহকে আরও ঘনীভূত করে। তারা প্রাণীটির সঙ্গে ভারতীয় এক ধরনের নেকড়ের সাদৃশ্য খুঁজে পান। বাদামি নেকড়ের এই প্রজাতিটি পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন একটি প্রাণী। এমন পরিস্থিতিতে পরদিন সন্ধ্যাতেই ঢাকা থেকে সুন্দরবনগামী একটি নৌযানে চড়ে বসেন আকাশ। কুকুরসদৃশ প্রাণীটিকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে সেই তালতলি তার গন্তব্য। পরে রিকশা ও মোটরসাইকেল, তারপর আবারও নৌযান এবং তৃতীয়বারের মতো আরেকটি নৌযানে চড়ে তালতলি পৌঁছাতে পরদিন দুপুর হয়ে যায় আকাশের। তিনি যখন তালতলি পৌঁছালেন, তারও এক সপ্তাহ আগে প্রাণীটিকে হত্যা করা হয় এবং বন বিভাগের স্থানীয় একটি শাখা অফিসের পাশেই এটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। বন বিভাগের এক রেঞ্জারের সাহায্য নিয়ে রহস্যময় ওই প্রাণীটিকে আবারও মাটির ওপর তুলে আনার ভয়ংকর কাজটি করেন তিনি। ‘মাথার অংশটিকে দেখেই আমার ধারণা আরও মজবুত হয়’, বলেন আকাশ। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো শেয়াল বা কুকুরের কোনো প্রজাতি হতেই পারে না। এটা যে একটি নেকড়ে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রাণীটির চামড়া পচে গিয়েছিল। অক্ষত ওই চামড়াটি চর্বিযুক্ত ছিল। আকাশ প্রাণীটির শরীর থেকে পশম এবং একটি পা থেকে টিস্যু সংগ্রহ করেন। ডিএনএ নমুণা নিয়ে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করে আকাশ জানতে পারেন এটি নেকড়ে। আকাশ বলেন, ‘নেকড়েটিকে যেভাবে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা নতুন কিছু নয়। কুকুর ও বিড়ালের মতো কোনো বন্যপ্রাণীকে দেখতে পেলেই হত্যা করা, বাংলাদেশের পুরনো রীতি। গন্ধগোকুল ও মাছুয়া বাঘের মতো প্রাণীগুলো প্রায়ই এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।’
কিন্তু কিভাবে এই নেকড়েটি বাংলাদেশের ভেতর আসল সে তথ্য জানাতে গিয়ে এই গবেষক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ফণীর তান্ডবে এটি ভারত থেকে আসতে পারে বানের জলে ভেসে অথবা যদি বাংলাদেশে থেকে থাকে তাহলে সুন্দরবনের গভীরে থাকতে পারে যদিও এর পক্ষে কোন প্রমাণ নেই।
ভারতে যেসব নেকড়ের কথা শোনা যায়, সেগুলো মূলত তৃণভূমি, ঝোপঝাড়, পাতাঝরা বন এবং জঙ্গলাকীর্ণ কৃষিজ অঞ্চলগুলোতে বিচরণ করে। সুন্দরবনের মতো ঘন, কর্দমাক্ত ও জলজ ম্যানগ্রোভের বনে নেকড়ের মতো প্রাণী ২০১৭ সালে জুনের আগে আরও একবার দেখা গিয়েছিল। ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার ঋদ্ধি মুখার্জি আলোচিত একটি নেকড়ের ছবি তোলেন। যদিও ভারতের যে অংশে নেকড়েরা বিচরণ করে সেই পুরুলিয়া জেলা থেকে ঋদ্ধির দেখা নেকড়েটি ছিল অন্তত ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে।
এর মানে কি এই যে, দুই বছর আগে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে যে নেকড়েটিকে দেখা গিয়েছিল, সেটিই বাংলাদেশে চলে এসেছে? একা একটি নেকড়ের পক্ষে এমনটি করা একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা। আকাশ বলেন, ‘ওই নেকড়েটিই এই নেকড়ে এমনটি হওয়া কখনোই সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি, একটি নেকড়ে অনেক দূরত্বের পথও অতিক্রম করতে পারে। কিন্তু সুন্দরবন এমনভাবে গঠিত হয়েছে, এই অঞ্চলের মধ্যে অসংখ্য ম্যানগ্রোভ দ্বীপভূমি রয়েছে। ছোট-বড় অসংখ্য নদী-নালা দ্বারা এই ভূমিগুলো একটি আরেকটির থেকে বিচ্ছিন্ন। এর মধ্যে কিছু নদী রয়েছে, যেগুলো ভয়ংকর রকমের বিপদসংকুল। আর ওই নেকড়েটি তালতলিতে আসা মানে পুরো সুন্দরবন পাড়ি দিয়ে আসা। এর মধ্যে তাকে পাড়ি দিতে হবে একটি বিশাল নদীর মোহনাও। এ ছাড়া তাকে পাড়ি দিতে হবে বেশ কিছু লোকালয়। তাই এই দূরত্ব অতিক্রম করা অসম্ভব একটি ব্যাপার।’
তবে আকাশের তথ্য মতে, এ ব্যাপারে আরেকটি থিওরি দিয়েছেন হইরাজ মাঝি নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের যে অংশটিতে প্রাণীটিকে হত্যা করা হয়, সেই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ অতিক্রম করে যাওয়ার আগে এ ধরনের প্রাণীকে কোনো দিন দেখেনি। তারপর থেকেই হঠাৎ করে গৃহপালিত পশু-পাখির ওপর আক্রমণ শুরু করে একটি অজানা প্রাণী। একটি বাছুরকেও মেরে ফেলেছিল প্রাণীটি। স্থানীয়দের অনেকেই ভেবেছিল, এটি হয়তো কোনো বাঘ। কিন্তু অন্তত চারটি ঘটনায় স্থানীয়রা কুকুরের মতো একটি প্রাণী দেখতে পাওয়ার দাবি করে। অবশেষে তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে এটিকে তারা আটক ও হত্যা করে।
হইরাজ মাঝির থিওরি সত্য হলে মুনতাসির আকাশের বিশ্বাস নেকড়েটি হয়তো ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দরবনের ওই অংশটিতে ভেসে ভেসে চলে এসেছিল এবং লোকালয়ের কাছাকাছি ওই নিচু এলাকাটিতে কোনোক্রমে টিকে থাকার চেষ্টা করছিল। স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ার আগে সে হয়তো টেংরাগিরি অভয়ারণ্যের ওই এলাকাটিতে বসবাসের পাশাপাশি গ্রামের ভেতরে শিকার করে বেড়াত। আকাশ বিশ্বাস করেন, টেংরাগিরি অভয়ারণ্যে নেকড়েদের টিকে থাকা সম্ভব নয়। কারণ সেখানে শিকারের সুযোগ খুব কম। বলা যায়, ওই এলাকাটিতে একটি হরিণও নেই। স্থানীয়রাও এই তথ্যটিকে নিশ্চিত করেছেন। তবে, আকাশ এই ধারণাটিকেও উড়িয়ে দিয়েছেন, এটি একটি নিঃসঙ্গ নেকড়ে, কোনোভাবে হয়তো ওই এলাকায় চলে এসেছে। এর বদলে তার ধারণা, নেকড়েটি হয়তো এখনো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি, এমন কোনো দলের সদস্য হতে পারে।
আকাশ বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই সুন্দরবনে কিছু নেকড়েও রয়েছে।’ এদের পর্যাপ্ত শিকার পাওয়ারও মতো অসংখ্য এলাকা আছে সুন্দরবনে। এসব শিকারের মধ্যে বুনো শূকর আর হরিণ তো আছেই। আকাশ আরও বিশ্বাস করেন, পাঁচ বছর ধরে ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে বাঘ জরিপের সময় এসব প্রাণীকে হয়তো আরও বেশ কয়েকবার ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে। কিন্তু এই নেকড়েগুলোকে হয়তো নিতান্ত শেয়াল বলে গণ্য করা হয়েছে।
সুন্দরবনে নিহত ওই নেকড়ের ঘটনাটি নতুন কিছু নয়। ১৯৫৩ সালে সুন্দরবনের লাগোয়া অঞ্চল নোয়াখালীতে স্থানীয় এক শিকারি দাবি করেছিলেন, তিনি একটি নেকড়ে শিকার করেছেন। তবে, অনেকেই এটিকে শেয়াল মনে করেছিল। মুনতাসির আকাশ বলেন, ‘আমি মনে করি, ওই শিকারি সঠিক ছিলেন। কথায় আছে, বাঘের ভয়ে সুন্দরবনের শেয়ালরা ডাকে না পর্যন্ত। কে জানে গ্রামবাসী কাকে শেয়াল ভেবেছিল। হতে পারে, নেকড়েরা বাংলাদেশ থেকে কখনোই পুরোপুরিভাবে বিলুপ্ত হয়নি। হয়তো তারা শেয়াল সেজে সবাইকে বোকা বানিয়ে যাচ্ছে।’
যদি আকাশের চিন্তা সঠিক হয়ে থাকে, তবে এমনটি হতেই পারে যে, বন-জঙ্গল উজাড় হওয়ার ফলে বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড চাপে পড়ে কিছু নেকড়ে সুন্দরবনের মতো প্রতিকূল কিন্তু নিরাপদ স্থানকে বসবাসের জন্য বেছে নিচ্ছে। একইভাবে, ভারতীয় নেকড়েরাও মানুষের হাত থেকে বাঁচতে সুন্দরবনের গহিন বনে মিশে যেতে চাইছে।
মুনতাসির আকাশের চিন্তার সঙ্গে একমত নন অনেক বিশেষজ্ঞ। তাদের মতে, সুন্দরবনে কোনো নেকড়ে বসতি ও প্রজনন স্থল নেই। ভারতীয় বন্যপ্রাণী গবেষক ইরাবতী মাজগাঁওকার আকাশের সঙ্গে একমত না হওয়া বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ভারতে নেকড়ে এবং মানুষের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করছেন। তার মতে, সুন্দরবনে কোনো নেকড়ে বসতি অসম্ভব। বাংলাদেশে নিহত প্রাণীটি সম্পর্কে ইরাবতি বলেন, ‘ওই প্রাণীটি হয়তো সুন্দরবনের কাছাকাছি কোনো এলাকায় থাকত, পরে সে ম্যানগ্রোভ বনের সঙ্গে খাপ খেয়ে যায়। আর ম্যানগ্রোভ বনে বিচরণ করতে গিয়েই হয়তো সে হারিয়ে গিয়েছিল।’
নেকড়েদের বহুদূর ভ্রমণের ক্ষমতা এবং কষ্টসহিষ্ণুতা সম্পর্কে বেশ ভালো করেই অবগত ইরাবতী। তিনি বলেন, ‘নেকড়েটি কত দিন ধরে সুন্দরবনে অবস্থান করেছিল, এটা জানা সত্যিই অসম্ভব। হয়তো এটি নতুন বাসস্থান কিংবা সঙ্গী খুঁজতে খুঁজতে হারিয়ে গিয়েছিল। হতে পারে অন্য কিছুও।’
ইরাবতী আরও বলেন, ‘এই নেকড়েটি আর ২০১৭ সালে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে ফটোগ্রাফিতে ধরা পড়া নেকড়েটি একই হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। কারণ দুটিই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ নেকড়ে। যদি তাই হয়ে থাকে তবে এটা অবিশ্বাস্য যে, একা একটি নেকড়ে টিকে থাকার জন্য পুরো ম্যানগ্রোভ বন ঘুরে বেড়িয়েছে।’
ইরাবতীর মতে, ম্যানগ্রোভ বন ভারতীয় নেকড়েদের বসবাসের জন্য আদর্শ স্থান নয়। তবে, পর্যাপ্ত শিকারের অভাব এবং বন-জঙ্গল উজাড় হওয়ার কারণে তারা অনেকাংশেই বিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘নতুন কোনো স্থানের সঙ্গে প্রাণীরা খাপ খাইয়ে নিতে পারে। বেঁচে থাকার জন্য তারা তাদের আচরণেও পরিবর্তন আনতে সক্ষম।’ ধারণা করা হয়, বর্তমানে ভারতে দুই থেকে তিন হাজার নেকড়ে রয়েছে। তবে ইরাবতীর মতে, এই পরিসংখ্যানটি অনেক আগের, মেয়াদোত্তীর্ণ।
ক্রমশঃ…
আগের পর্বটি পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন