অ রূ প দ ত্ত-র কবিতাগুচ্ছ
সে আর কিছু লিখবে না
এই অবেলায় বিদায় বেলায়,
যে আঙুল অশ্রু ছুঁলো আজ।
বালিচরে উঠে এলো
এক ঢেউ বিষণ্ণতা।
এই শরম, কান্না পেরিয়ে
বৃষ্টিভেজা আকাশের ঠিকানায়
সে আর কিছু লিখবে না কোনদিন।
নিরিবিলি একটি উঠোন অথবা
হাসপাতাল লাগোয়া মর্গের মাঠে
উড়িয়ে দেবে অজস্র মেঘ,
আর একটি কদম।
একটি প্রস্রবণ
লেজটা নাড়তে থাকি
আদুরে পোষ্যের মত।
আকাঙ্ক্ষা পেরিয়ে যাই
ভোররঙা দুটি পাহাড়ের দিকে।
যত উপরের দিকে যাই
বৃত্তাকারে ওড়ে কালো মেঘ।
ছুঁয়ে দেখি,
জাতকেরও পূর্বে লেখা গল্প এইসব।
দুয়ার খুলতে খুলতে সবাই পৌঁছয়,
ওখানে টিলার ওপর
অলীক সম্ভাষণ।
রাত্রি রং মখমলে নিবিড় মাতৃঘোর,
আর একটি প্রস্রবণ।
বিস্ময়
বিস্ময়ে টের পাই,
চিঠির অক্ষরে আমি ঠিক কতোটা স্থবির!
দেবী ও নারী অধিকার নিয়ে নেমেছে রাস্তায়,
নৈঃশব্দ্য না,
আমি জানি আরো অনেক বেশি ব্যথা।
হাহাকার নিয়ে দাঁড়াও বাংলাদেশ,
দুঃখ আছে, তবু
মৃত্যু আর আগের মত নিমগ্ন নয়।
বিকিকিনির বাজারে
একটা মনকেমন’কে ছুঁয়ে দেখা শুধু।
তোকে বলছি
বিবিধ নিষেধ পেরিয়ে
গেছি তোর ঠোঁটের ওপারে।
প্রবেশের সম্মতি ছিল কি কোথাও!
এতো উচ্ছ্বাস,
তবে সম্পর্কের নৌকাটিকে ভাসতে দে
মেঘের মতন।
কেন এতো শর্ত চাপাস?
বসবাস
অনন্তবার এসোনা এই ভাবে,
আঁজলা করে অশ্রু তুলেছো বারবার।
লুপ্ত স্মৃতি ফিরে এলে,
ইহজন্মে লজ্জা পাবে খুব।
যেহেতু আমাদের বসবাস,
ভিজে যাওয়া একটি রুমালের
এপার-ওপার।
কাঁটা
এক একটি কাঁটা
জীবনানন্দ অবধি পৌঁছে যায়।
পোষ্যের মত পায়ে পায়ে
কত মায়া নিয়ে ঘোরে।
লৌকিক এই সকল ব্যথা
কোন এক নারীর কাছে রেখে যেতে চাই।
যেভাবে মাছরাঙা,
আধডোবা খুঁটির ওপর রেখে আসে
একটি দুপুর।
যদি সে আমায় চেনে,
একটি বিষগ্ৰন্থিহীন সাপ
যে এক মস্ত ফণায়
মাইল মাইল পেরিয়েছে রোদ্দুর।