শশাঙ্ক এবং হর্ষবর্ধন –নিয়ে গৌড়ের ইতিহাস(Sasanka & Harsha)—লিখছেনঃ দুর্গাশঙ্কর দীর্ঘাঙ্গী

দুর্গাশঙ্কর দীর্ঘাঙ্গী

শশাঙ্ক এবং হর্ষ
Sasanka & Harsha

The death of Rajyavardhana in 606 A. D. left Sasanka the muster of the situation. But he was prudent enough not to push his successor too far. His main object was accomplished by the complete discomfiture of the Maukharis, and we may presume that his aggressive campaign in the West was at an end.
As soon as the news of the death of Rajyavardhana reached Harshavardhana,
he took a solemn vow to punish Sasanka, and marched with a vast army for taking
Vengeance upon the king of Gauda.
On his way he met the messenger of
Bhashkaravarman, king of Kamrupa, and
Concluded an alliance with him, Presumably against the common enemy , Sasanka. Proceeding still further, he met Bhandi who told him about the details of
Rajyavardhana’s murder and of the escape oh his sister Rajyasri from the prison.
Harsha- thought it to be his first duty to find out his sister, and leaving the army in charge of Bhandi,he went out in search of her. After a great deal of difficulty he traced her in the Vindhya forest just in time to save her from an act of self immolation
in fire along with her companions. In the meantime Bhandi proceeded with the army
against the Gauda king, and Harsha- himself joined it on the bank of the Ganges
after rescuing his sister (Ibid) .Of the further progress of his vast army and the development of his “everlasting friendship”
With Bhaskaravarman, we process no definite information, nor are the results of
Harsha’s diplomatic and military preparations reported by either Banabhatta or Hiuen Tsang.
The only reference to an actual conflict
between Sasanka and Harsha- occurs in
Arya-manjusri-mulakalpa.(The text was
first edited by Ganapati Shastri and
subsequently Mr. Jayaswal , An Imperial
History of India in a San script Text, by
K. P. Jayaswal). It is a late Buddhist chronicle narrating history, like Puranas,
in the guise of prophecies regarding future
Political events…… .. …………….
while the chronicle had no claim to be
treated as historical, it can justly regarded
as a collection of old and genuine traditions preserved in the Buddhist world in the mediaeval age.
For according to Hiuen Tsang’s own testimony, Sasanka was in possession
of Magadha at the time of his death,
(Watters, II, 115.The passage, which had been quoted infra p. 66, shows that Sasanka was in possession of Bodh Gaya shortly before 637-638 A. D.) This is
confirmed by the statement recorded by
MA- Twan-Lin that Siladitya assumed the
title of king of Magadha in 641 A. D.
(Indian Antiquary, Bombay).

রাজ্যবর্ধনের মৃত্যু সংবাদ শুনে হর্ষবর্ধন প্রতিজ্ঞা করলেন যে, নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে তিনি যদি পৃথিবীকে গৌড় শূন্য করতে না পারেন তাহলে
প্রদীপে যেমন কীট পুড়িয়ে মরে, সেইরূপ তিনিও
অগ্নিতে ঝাঁপ দিয়া প্রাণ বিসর্জন করিবেন। (“I swear that unless in a limited number of days I can clear this earth of Gaudas……
than I will hurl my sinful self, like a month
into an killed flame” Harsha-Cha
rita, quoted in the Classical age.) এরপর হর্ষবর্ধন
সেনাবাহিনীসহ শশাঙ্কের বিরুদ্ধে অগ্রসর হলেন।
কিন্তু পথিমধ্যে তিনি সংবাদ পেলেন যে, তাঁর
ভগিনী রাজ্যশ্রী কনৌজের কারাগার হতে পালিয়ে
গিয়ে বিন্ধ্যপর্বতে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। হর্ষবর্ধন
সেনাপতি ভান্ডির উপর শশাঙ্কের বিরুদ্ধে সৈন্যসহ অগ্রসর হবার ভার অর্পণ করে রাজ্যশ্রীকে উদ্ধার
করবার জন্য বিন্ধ্যপর্বতের দিকে যাত্রা করলেন।
ইতিমধ্যে কামরূপের রাজা ভাস্করবর্মা শশাঙ্কের
শক্তি ও প্রতিপত্তিতে ভীত হয়ে হর্ষবর্ধনের সহিত
মিত্রতাবদ্ধ হলেন। যাই হোক, হর্ষবর্ধন ও শশাঙ্কের
মধ্যে কোন সম্মুখ সমর কখনও হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের কারণ আছে। একমাত্র
“মঞ্জুশ্রীমূলকল্প” নামক বৌদ্ধগ্রন্থে হর্ষবর্ধন
শশাঙ্ককে পরাজিত করেছিলেন বলে উল্লেখ আছে। এই বৌদ্ধগ্রন্থখানি পুরানের ন্যায় ভবিষ্যদবাণী করবার ছলে এই সব কথায় উল্লেখ
করেছে। হিউয়েন সাঙ- এর বিবরণে উল্লিখিত শশাঙ্কের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের উপর অত্যাচার;
শশাঙ্ক কর্তৃক বোধিবৃক্ষ ছেদন, বুদ্ধগয়ায় বুদ্ধ-
মূর্তিটিকে নিকটবর্তী হিন্দু মন্দিরে স্থাপন, ফলে
নানাপ্রকার রোগভোগ ও মৃত্যুর কাহিনী ইত্যাদি
“মঞ্জুশ্রীমূলকল্পে” পাওয়া যায়। এগুলির সত্যতা
সম্পর্কে সঠিক কিছু বলা যায় না। এগুলি
বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের মধ্যে প্রচলিত কাহিনী-
কিংবদন্তী ভিন্ন আর কিছু নহে। আর এই বৌদ্ধগ্রন্থে
উল্লিখিত বিবরণ সত্য বলে মনেকরলেও হর্ষবর্ধন
শশাঙ্কের অধীন ‘বর্বর দেশে’ যথাযোগ্য সম্মান
না পেয়ে নিজ রাজ্যে ফিরে গেছলেন —- এই উক্তি
হর্ষের সাফল্যের পরিচয় বহন করে না।
নতুবা বাণভট্টের হর্ষচরিতে হর্ষের হস্তে শশাঙ্কের
পরাজয়ের কোন উল্লেখ না থাকিবার কারণ কি?

(Sasanka’s political and military Career)
শশাঙ্কের রাজনৈতিক ও
সামরিকপরিচালনার ক্ষমতা

Gauda king sasanka’s political and military career was a successful one. Beginning his life as a vassal chief, he made himself master of Gauda, Magadha, Utkala, and
kongoda, and consolidated his position by defeating the powerful Maukharis. This involved him in hostility with two of the most powerful potentates in Northern India
viz., the kings of Thaneswar and Kamrupa, he held his own against this powerful combination and maintained his extensive dominions till his death.
The date of his death cannot be exactly determined, but it must have taken place after 619 A. D. and before, probably very shortly before, 637 A. D.
The account of Sasanka’s death, which is
reproduced in MMK., (Manjusri-mulakalpa.
Ed. T. Ganapati Shastri. (J) after the abbreviation, denotes the text edited by
K. P. Jayaswal in Imperial History of India
in Sanskrit Text, by K. P. Jayaswal) is undoubtedly inspired by the hatred which
the Buddhists felt for him on account of
anti-Buddhistic activities. (Watters, II. Beal-Records.) Curiously enough, an echo
of this tradition is found even in late
genealogical works of Bengal Brahmanas
(Vanger Jatiya Itihas,Rajanya – Kanda
(in Bengali) by Nagendranath Vasu.
. . . . . . ………….. . . . ………………………….
………….. This is, in way, a confession that
Buddhism suffered a great decline on
account of the activities of Sasanka. The
later was a devotee of Siva, and his active
Patronage of Saivism might have hastened
the process of decline which had already
set in Buddhism.

Although the sufficient data are not available for forming a correct estimate
of the character and achievement of Sasanka, he must be regarded as a great
king and a remarkable personality during the first half of the seventh century A. D.
He was the first historical ruler of Bengal
who not only dreamt imperial dreams, but
also suçceeded in realising them.
He laid the foundations of the imperial
fabric in the shape of realised hopes and ideals on which the Palash built at a later age. He successfully avenged the
humiliation inflicting upon his country by the Maukharis rulers, and gave a new turn
to that age-long duel between Gauda and
Kanauj which constitutes an important
feature in North Indian politics for more
than five hundred years.

বাঙালী ও বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজা শশাঙ্ক
এক শ্রদ্ধার আসন অধিকার করে আছেন।
আর্যাবর্তে বাঙালীর সাম্রাজ্য বিস্তারের কল্পনা
তাঁর মনে উদিত হয়েছিল এবং তাঁর জীবদ্দশায়
এই কল্পনা আংশিক ভাবে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছিল। গৌড় রাজ্যকে স্বাধীন করে এক সার্বভৌম বাঙালী সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা
করেছিলেন। শশাঙ্কের প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন গৌড় রাজ্যের ভিত্তির উপরই পরবর্তী সময়ে পালরাজাগন বিশাল পাল সাম্রাজ্য পত্তন করেছিলেন।
শশাঙ্কের কৃতিত্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল
এই যে, তিনি সামান্য একজন মহা সামন্ত হিসাবে
জীবনারম্ভ করে গৌড়কে একটি স্বাধীন রাজ্য
হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তদানীন্তন উত্তর-
ভারতের অন্যতম প্রধান শক্তি হিসাবে তুলে ধরবার কৃতিত্ব শশাঙ্কের প্রাপ্য। সবচেয়ে বড় কথা
হ’ল উত্তর ভারতের শ্রেষ্ঠ শক্তি হর্ষবর্ধনের সহিত
সংগ্রামে লিপ্ত হয়ে প্রমাণ করলেন যে, গৌড়ের
রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তিকে অবহেলা করা সম্ভব নয়।
বাণভট্ট ও হিউয়েন সাঙ উভয়েই শশাঙ্ককে
“গৌড়ের অধিপতি বলে বর্ণনা করেছিলেন।
রাজ্য বিস্তার করেছিলেন ও জয় করেছিলেন দণ্ডভুক্তি, উৎকল ও কঙ্গোদ। কঙ্গোদের (দক্ষিণ-
উড়িষ্যা) রাজা শৈলোদ্ভবরা শশাঙ্কের আনুগত্য
স্বীকার করেছিলেন। শশাঙ্ক দক্ষিণে গঞ্জাম জেলার
মহেন্দ্রগিরি পর্যন্ত জয় করেছিলেন এবং পশ্চিমে
মগধ পর্যন্ত তাঁর অধিকার এলাকাভুক্ত ছিল।
বলতেই হয়, তাঁর সামরিক ক্ষমতা ছিল অপরিসীম।
৬৩৭-৬৩৮ খ্রীষ্টাব্দের কিছু পূর্বে রাজা শশাঙ্কের
মৃত্যু হয়।

শশাঙ্কের মৃত্যু পর বাংলার রাজনৈতিক পালাবদলের আগে দুর্যোগ পূর্ণ অবস্থা ও পাল বংশের উত্থান
(Political disintegration after death of King, Sasanka, foundation of Pal Dynasty.

” The death of Sasanka proved to be a
Political disaster of first magnitude. Not
only were the dreams of a far-flung Gauda
empire rudely shattered, but within a few
Years his kingdom, including the capital
City Karnasuvarna, passed into the hands of Bhaskaravarman, the hostile kingdom,
The events that led to this complete collapse are not known, and only a few facts of this obscure period in the history of Bengal may be gleaned from the documents at present available to us.

Hiuen Tsang who travelled in Bengal about
638 A. D., shortly after the death of Sasanka, mentions, besides Kajangala(territory round Raj mahal), four
Kingdoms in Bengal proper, viz., Pundravardhana, Karnasuvarna, Samatata,
and Tamralipti. (Watters , II .Beal-Records. )
The first two undoubtedly denote the two
Component parts of Sasanka’s kingdom
viz., North Bengal and northern parts of West Bengal including Burdwan,Birbhum,
Murshidabad, and Nadia districts…….. It is obvious from Hiuen Tsang’s account that Sasanka’s death loosened the bonds which United North
and West Bengal, and these formed separate kingdoms in 638 A.D.”
Son of Sasanka’s Manab ruled
Gauda for eight months five days only

“গৌড়াধিপতী শশাঙ্কের মৃত্যুর পর হতে পালবংশের
উত্থান পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস এক দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় ছিল। শশাঙ্কের মৃত্যুর পর
হিউয়েন সাঙ বাংলাদেশ পরিভ্রমণে এসেছিলেন।
তিনি বাংলাদেশের পাঁচটি পৃথক রাজ্যের উল্লেখ
করেছিলেন। এগুলি হ’ল কঙ্গো, পুণ্ড্রবর্ধন, কর্ণসুবর্ণ, সমতট ও তাম্রলিপ্ত। উৎকল ও কঙ্গোদ
তখন স্বাধীন হয়ে গেছল। বৌদ্ধগ্রন্থ মঞ্জুশ্রীমূলকল্পে
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ যে অন্তর্দন্দ্ব ও
বিদ্রোহে ছিন্নভিন্ন হয়েছিল, এ-কথার উল্লেখ আছে। শশাঙ্কের পুত্র মানব মাত্র আট মাস পাঁচ
দিন এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রাজা
অতি সামান্য কাল রাজত্ব করেন। সেই সময়
কামরুপরাজা ভাস্করবর্মা গৌড় এবং সম্রাট হর্ষবর্ধন উৎকল ও কঙ্গোদ জয় করেন।

References:
The History of Bengal-1943
Dr. (Prof.) R. C. Majumda
r

ভারতের ইতিহাস কথা
ডঃ কিরণচন্দ্র চৌধুরী

ক্রমশঃ……..

★★★

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *