গৌড়াধিপতী, রাজা শশাঙ্ক।
( Sasanka , the King of Gauda.)ঃলিখছেন –দুর্গাশঙ্কর দীর্ঘাঙ্গী
৩২
” The Maukharis had considerably improved their position by an alliance with
the powerful rulers of Thaneswar, for the
Maukhari king Grahavarman, the son of
Avantivarman, had married Rajyasri, the daughter of Prabhakaravardha, the Pushyabhuti ruler of Thaneswar.The Maukharis were also freed from any danger from the side of the Later Gupta’s. For Mahasenagupta was probably the maternal uncle of Prabhakaravardhana, and in any case was definitely attached to his cause, as his two sons Kumaragupta and Madhavagupta were sent to the court of
Thaneswar to act as companions of the
two young princes, Rajyavardhana and
Harshavardhana.
The prospect of Sasanka was, therefore gloomy in the extreme. But he was not slow to take advantage of the political situation. It seems that by shrewd diplomacy he succeeded in winning over
to his side king Devagupta of Malava who
had evidently taken possessions of the
dominions of Mahasenagupta and was
naturally hostile to the Thaneswar court
for its alliance with the Maukharis, the
hereditary enemies of his family.
It is probable that Sasanka had gradually
extended his authority up to Benares before he decided to strike the final blow.
The fatal illness of Prabhakaravardhana
gave the allies the required opportunity.
The Malava king defeated and killed
Grahavarman and imprisonment his queen
Rajyasri at Kanauj.
His next move was an invasion of Thaneswar itself. As soon as these news
reached Thaneswar, Rajyavardhana, who had just ascended the throne on his father’s death, marched against Devagupta
With a hastily collected army of ten thousand cavalry, leaving his younger brother Harsha- in charge of the Kingdom.
It is difficult to trace in exact sequence the course of events that rapidly followed.
The only facts of which we are certain are that Rajyavardhana defeated Devagupta,
the Malava king, and captured a large part of his army, but before he could relieve
Kanauj, or establish any contact with his sister ‘Rajyasri, the widowed captive,
Maukhari queen, he was himself killed
by Sasanka. While both Banabhatta’s and
Hiuen Tsang agree that Rajyavardhana was treacherously murdered by or at the instance of Sasanka, they give different accounts of the incident. Again, Harshavardhana’s own inscriptions tell us
that Rajyavardhana met with his death in the house of his enemy owing to his adherence to a promise (satyanurodhena).
শশাঙ্ক পশ্চিমে তাঁহার বিজয় বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হ’লে প্রথমে মগধ এবং বারাণসী রাজ্য তাঁর নিকট
পরাজয় স্বীকার করে। উভয় অঞ্চল শশাঙ্কের রাজ্য ভুক্ত হয়। শশাঙ্ক মৌখরিদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র
অভিযানে অগ্রসর হলে থানেশ্বরের পুষ্যভূতিবংশের রাজার সহিত যুদ্ধ বাধে, কারণ
কনৌজের মৌখিরাজ গ্রহ বর্মা ছিলেন পুষ্যভূতিবংশের রাজা প্রভাকরবর্ধনের জামাতা।
শশাঙ্ক ছিলেন সামরিক দূরদর্শিতা সম্পন্ন রাজা।
তিনি মালবের দেবগুপ্ত কে সঙ্গে নিয়ে মৌখরিদের বিরুদ্ধে অভিযানের ব্যবস্থা আগে থেকেই করেছিলেন। মৌখরিবংশ ছিল গুপ্ত বংশের চিরশত্রু। স্বভাবতই শশাঙ্ক যখন বারাণসী জয় করে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে লাগলেন তখন
মাধবরাও দেবগুপ্ত ও কনৌজের দিকে সসৈন্য অগ্রসর হতে লাগলেন ইতিমধ্যে থানেশ্বরের রাজা ফলে। প্রভাকরবর্ধনের মৃত্যু হলে তাঁর প্রথম
পুত্র রাজ্যবর্ধন সিংহাসনে বসেন। বাণভট্টের
হর্ষচরিত হতে জানা যায় যে রাজ্যবর্ধন সিংহাসনে আরোহণ করিবার অনতি কালের মধ্যে কনৌজ
হতে সংবাদ এল যে মাধবরাও দেবগুপ্ত গ্রহবর্মাকে
পরাজিত ও নিহত করে রাজশ্রীকে কারারুদ্ধ করেছেন এবং থানেশ্বর আক্রমণ করিবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রাজ্যবর্ধন কনিষ্ঠ ভ্রাতা হর্ষবর্ধনের উপর রাজ্যভার
দিয়া ভগিনী রাজ্যশ্রীর উদ্ধারের জন্য দশ সহস্র
অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে অগ্রসর হলেন। দেবগুপ্ত
অল্পকালের মধ্যেই থানেশ্বরের দিকে সৈন্য সামন্ত নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন। শশাঙ্কও অল্পকালের মধ্যে ই থানার দিকে সৈন্য অগ্রসর হবার কথা ছিল। রাজ্যবর্ধনের সহিত দেব গুপ্তের যুদ্ধে
মালবরজ দেবগুপ্ত পরাজিত ও নিহত হলেন।
এরপর কনৌজের দিকে অগ্রসর হতে গিয়ে রাজ্যবর্ধনের শশাঙ্কের সহিত যুদ্ধ বাধিল। এই
যুদ্ধে রাজ্যবর্ধন পরাজিত ও নিহত হলেন।
শশাঙ্কের হস্তে রাজ্যবর্ধনের পরাজয় ও প্রাননাশক
(৬০৬ খ্রীঃ) সম্পর্কে নানা তথ্য আছে।
Sasanka ,Rajyavardhana & Rajyasri
33
শশাঙ্কের হস্তে রাজ্যবর্ধনের পরাজয় ও প্রাণনাশ(৬০৬ খ্রী:) সম্পর্কে নানারকম বর্ণনা পাওয়া যায়। এই বর্ণনাগুলির মধ্যে বাণভট্ট ‘হর্ষচরিত’, হিউয়েন-সাঙ্-এর বিবরণ ও
হর্ষবর্ধনের শিলালিপি প্রণিধানযোগ্য। রাজ্যবর্ধনের
ভ্রাতা হর্ষবর্ধনের সভাকবি বানভট্টের বিবরণে শশাঙ্ক রাজ্যবর্ধনকে নিজ শিবির আমন্ত্রণ করেন।
রাজ্যবর্ধন আসিলে, তাঁকে হত্যা করেন। এ-কথা
রয়েছে। হিউয়েন -সাঙ- এর মতে শশাঙ্ক নিজ
মন্ত্রিগণের অনুরোধে রাজ্যবর্ধনকে এক সভায় আমন্ত্রণ করে এনে হত্যা করেন, কারণ মন্ত্রী গণ
তাঁকে এই মন্ত্রনা দিয়েছিলেন যে, প্রতিবেশী রাজ্যে
রাজ্যবর্ধনের ন্যায় ধার্মিক রাজার উপস্থিতিতে গৌড় রাজ্যের কোন কল্যাণ হবে না। আর
হর্ষবর্ধনের শিলালিপিতে পাওয়া যায় যে, রাজ্যবর্ধন সত্য রক্ষার জন্য শত্রুর শিবিরে প্রাণ
হারিয়েছিলেন। ” এইরূপ পরস্পর-বিরোধী বিবরণ
হতে রাজ্যবর্ধনের হত্যা সম্পর্কে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন সম্ভব নয়। তদুপরি, রাজ্যবর্ধন ও
হর্ষবর্ধনের পরম শত্রু বৌদ্ধধর্ম- বিরোধী শশাঙ্ক
সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বাণভট্ট ও হিউয়েন
-সাঙ্গ যে পক্ষপাতিত্ব করেন নি, এ-কথা জোর করে বলা যায় না।
যাইহোক, হর্ষবর্ধনের দুটি শিলালিপি হতে এ-কথা
প্রমাণিত হয় যে, রাজ্যবর্ধন ও শশাঙ্কের শিবিরে
মল্লযুদ্ধে রাজ্যবর্ধন নিহত হয়েছিলেন। শশাঙ্কের
বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে কোন ইঙ্গিত এই দুটি
শিলালিপিতে নেই। ( Advance History of India,
R. D. Banerjee, Prehistoric Ancient &Hindu
India, The classical Age, ; History of Bengal(D.U) The early History of India;
ডঃ রমেশ চন্দ্র মজুমদারঃ বাংলাদেশইতিহাস)
References:
The History of Bengal ( 1943)
Dr. (Prof.) R.C . Majumdar
ভারতের ইতিহাস কথা (১৯৭৯)
ডঃ কিরণচন্দ্র চৌধুরী
ক্রমশ……